X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১
স্মরণে আলাউদ্দিন আলী

ফোন ধরেই কেঁদে উঠতো আলাউদ্দিন আলী: মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান

বিনোদন রিপোর্ট
০৯ আগস্ট ২০২০, ২০:৩৫আপডেট : ০৯ আগস্ট ২০২০, ২৩:১০

আলাউদ্দিন আলী ও মোহাম্মমদ রফিকউজ্জামান প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলীকে ‘মহাবিশাল নক্ষত্র’ বলে অভিহিত করেছেন দেশের আরেক সংগীতজ্ঞ মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান।
রবিবার (৯ আগস্ট) আলাউদ্দিন আলীর মৃত্যুর খবর পেয়ে এই গীতিকবি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘গত পরশুও ফোনে কথা বললো। কতো আশা ছিল আবার আমার সাথে কাজ করবে। মনে সাহস রাখার কথা বারবার বললাম।’
মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান আরও বলেন, ‘‘ফোন ধরেই কেঁদে উঠতো আলাউদ্দিন আলী। বলতো, ‘কতদিন আপনারে দেখি না’। আমি জোর দিয়ে বলতাম, ‘দেখা হবে’। আর হলো না, দেখা হলো না আমাদের। অলক্ষেই নিভে গেলো সংগীতের মহাবিশাল নক্ষত্র আলাউদ্দিন আলী।’’




রবিবার (৯ আগস্ট) বিকাল ৫টা ৫০ মিনিট নাগাদ রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে কিংবদন্তি সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী। তার মৃত্যুর খবরে শোক নেমে আসে দেশের সংগীতাঙ্গনে।
২০১৫ সালের জুন মাসে আলাউদ্দিন আলীর শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর থেকে তিনি কয়েক দফায় বিদেশেও চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে এরপর থেকে তিনি আর উঠে দাঁড়াতে পারেননি। ফিরতে পারেনি স্বাভাবিক জীবনে, সংগীতে।
আলাউদ্দিন আলী বাংলাদেশের বরেণ্য সুরকার, সংগীত পরিচালক ও গীতিকার। এ পর্যন্ত ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এরমধ্যে ১৯৭৮ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত টানা তিনবার পুরস্কৃত হয়ে সংগীত পরিচালক হিসেবে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। যে রেকর্ড আজও কেউ ভাঙতে পারেনি।
আলাউদ্দিন আলী ১৯৭৫ সাল থেকে সংগীত পরিচালনা করে বেশ প্রশংসিত হন। ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’ এবং ‘যোগাযোগ’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া ১৯৮৫ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি খ্যাতিমান পরিচালক গৌতম ঘোষ পরিচালিত ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেছেন। তার সুর করা গানের সংখ্যা ৫ হাজারেরও বেশি।
আলাউদ্দিন আলী বাংলা গান, বিশেষ করে বাংলা চলচ্চিত্রে অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান তৈরি করেছেন। তিনি ছিলেন একই সঙ্গে সুরকার, সংগীত পরিচালক, বেহালাবাদক ও গীতিকার। ১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামে তার জন্ম। বাবা ওস্তাদ জাদব আলী। মায়ের নাম জোহরা খাতুন।
দেড় বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে ঢাকার মতিঝিলে এজিবি কলোনিতে চলে আসেন আলাউদ্দিন আলী। তিন ভাই ও দুই বোনের সঙ্গে সেই কলোনিতেই বড় হন এই গুণী শিল্পী। সংগীতে প্রথম হাতেখড়ি ছোট চাচা সাদেক আলীর কাছে। পরে ১৯৬৮ সালে বাদ্যযন্ত্র শিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন। শুরুটা শহীদ আলতাফ মাহমুদের সহযোগী হিসেবে, পরে প্রখ্যাত সুরকার আনোয়ার পারভেজের সঙ্গে কাজ করেন দীর্ঘদিন।

/এমএম/এমওএফ/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
চার বছরে আট ফ্লপ, আসছে আরও এক হালি!
চার বছরে আট ফ্লপ, আসছে আরও এক হালি!
প্রেক্ষাগৃহ থেকে না নামতেই উঠলো পাঠ্যসূচিতে!
প্রেক্ষাগৃহ থেকে না নামতেই উঠলো পাঠ্যসূচিতে!
গানে গানে সরকারের সমালোচনা, ইরানি গায়কের মৃত্যুদণ্ড
গানে গানে সরকারের সমালোচনা, ইরানি গায়কের মৃত্যুদণ্ড
ঢাকাই নির্বাক ছবির মস্কো জয়, যেমনটা বললেন নির্মাতা
ঢাকাই নির্বাক ছবির মস্কো জয়, যেমনটা বললেন নির্মাতা
ফুরফুরে মেজাজে পান্নু
ফুরফুরে মেজাজে পান্নু