আকাশি নীল টপসের সঙ্গে ডেনিমের শর্টস, চুলটাও অচেনা। তবে লুকটা আগের সেই ‘জংলি বিল্লি’!
নেটিজেনদের কাছে ইনস্টাগ্রামে নিজেকে এভাবে আনকোরা লুকে তুলে ধরার কারণ তো একটা আছেই। জানা গেছে, এটাই হতে চলেছে ক্যাটরিনা কাইফের নতুন সিনেমার লুক। এমনটাই জানালো বলিউড হাঙ্গামা।
সাল্লুর বিপরীতে ‘টাইগার-থ্রি’তে এই আবহে হাজির হচ্ছেন ক্যাট। ক’দিন আগে গুছিয়ে এনেছেন ‘ফোনভূত’ ছবির কাজও। বোঝাই যাচ্ছে, ৩৭-এ এসে ভালোই ঘাম ঝরাচ্ছেন আধা ব্রিটিশ-ভারতীয় এ অভিনেত্রী। তাই আগেভাগেই প্রচারের জন্য যতটা সম্ভব চালিয়ে যাচ্ছেন আরও চেষ্টা।
সামনে (৩০ এপ্রিল) আবার রোহিত শেঠির ‘সূর্যবংশী’তে অক্ষয় কুমারের বিপরীতেও দেখা যাবে তাকে। সুতরাং ফ্যান-ফলোয়াররা যে সামনে তার কাছ থেকে আরও আরও ঘুমকাড়া পোস্ট পাবেন, তাতে সন্দেহ নেই।
গুগলের সুবাদে জেনে নেওয়া যাক ক্যাটরিনা কাইফের কম-জানা কিছু কথা—
- তার নাম কিন্তু ক্যাটরিনা কাইফ ছিল না! ছিল ক্যাটরিনা টারকোট্টে। উচ্চারণে কঠিন, তাই ‘বুম’ ছবির পরিচালক আয়েশা শ্রফ তার নামের শেষাংশে যোগ করেন কাইফ।
- ক্যাটরিনারা আট ভাই বোন। এরমধ্যে ৪ বোন পাশাপাশি দাঁড়ালে ক্যাটকে খুঁজে পেতে মুশকিলই হবে।
- মায়ের কাছেই বড় হয়েছেন। বাবার সান্নিধ্য পাননি বললেই চলে।
- কোনও স্কুলে যাননি। বাড়িতে মায়ের কাছেই শিখেছেন সব।
- ২০০৪ সালে একটি তেলেগু ছবি মাল্লিস্বরিতে অভিনয়ের জন্য ৭৫ লাখ রুপি পেয়েছিলেন। ওই সময় এটাই ছিল দক্ষিণের কোনও নারী অভিনেতার সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক।
- ভালো হিন্দি বলতে পারেন না। তাই ‘নিউইয়র্ক’ ছবির আগ পর্যন্ত ক্যাটরিনার সব ছবিতেই কণ্ঠ দিয়েছিল অন্য কেউ।
- কুসংস্কারে দারুণ বিশ্বাস করেন ক্যাটরিনা। সিনেমা মুক্তির আগে মন্দির, গির্জা ও আজমির শরিফ, কোনও কিছুই বাদ রাখেন না।
- নিয়মিত মোটা অংকের দান করেন।
- তার আদলে একটা বারবি পুতুল আছে। ভারতের আর কোনও নায়িকার তা নেই।
- ক্যাটরিনা কিন্তু ব্রিটিশ নাগরিক। ভারতে সিনেমার কাজ করতে তাকে ভিসা নিতে হয়।
- ছবি আঁকেন নিয়মিত, দাবাও খেলেন দারুণ।