X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২১ বৈশাখ ১৪৩১

আজ তাদের জন্মদিন

বিনোদন রিপোর্ট
১৫ এপ্রিল ২০২১, ০১:৩৫আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২১, ১৩:৫৪

সফলতার ১৬ পেরিয়ে ১৭ বছরে পা রাখলো শিশু-কিশোরদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় শিক্ষণীয় পাপেট শো ‘সিসিমপুর’। সেইসঙ্গে ইকরি, হালুম, টুকটুকি আর শিকুদেরও জন্মদিন আজ (১৫ এপ্রিল)!

২০০৫ সালের এই দিন (১৫ এপ্রিল) থেকে কার্যক্রমটির প্রচার শুরু হয়েছিল বিটিভিতে। প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের শেখাকে আনন্দদায়ক ও উপভোগ্য করার লক্ষ্য নিয়ে এই শো’য়ের যাত্রা হয়।

‘সিসিমপুর’র প্রথম পর্ব প্রচারের দিন হিসেবে প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল ‘সিসিমপুর দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

‘সিসিমপুর’-এর টেলিভিশন অনুষ্ঠান ও মুদ্রিত বিভিন্ন উপকরণের মাধ্যমে শিশুকে বর্ণ চেনা, শব্দ থেকে বর্ণ চিহ্নিত করা, বর্ণ দিয়ে শব্দ মেলানো, শব্দ দিয়ে বাক্য তৈরি করতে সাহায্য করে। চারপাশের পরিবেশ থেকে উপকরণ খুঁজে নিয়ে সেগুলোর মাধ্যমে বর্ণ ও শব্দ চিনতে সাহায্য করে। যেমন: ঘর, কলা, আম, টেবিল, ঘড়ি, গরু, গাছ, পাতা, কলম, বই ইত্যাদি শিশুর পরিচিতি বিভিন্ন শব্দ কোন বর্ণ দিয়ে শুরু হয়, তা খেলার ছলে শেখানো হয়।

বাংলাভাষার শুদ্ধ উচ্চারণের বিষয়টিকে ‘সিসিমপুর’ সবসময়ই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে থাকে। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রমিত বাংলা শোনার ও চর্চা করার সুযোগ পায় শিশুরা। আবার একইসাথে বিভিন্ন অঞ্চলের ভাষা, ঐতিহ্য আর জীবনযাপনকেও তুলে ধরা হয়। যাতে করে শিশুরা সমানভাবে আঞ্চলিক ভাষা-সংস্কৃতি এবং ভিন্ন ভাষা-সংস্কৃতির মানুষের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল হয়।

বর্তমানে ‘সিসিমপুর’র ১৩তম সিজনের প্রচার চলছে। জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠানটি দুরন্ত, মাছরাঙা ও বিটিভিতে প্রচার হচ্ছে নিয়মিত। তবে শুরু থেকেই বাংলাদেশ টেলিভিশনে বিগত ষোল বছর বিরতিহীনভাবে ‘সিসিমপুর’ সম্প্রচার একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা, যা বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ এবং ‘সিসিমপুর’র আন্তরিক প্রচেষ্টার ফল বলেই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

তিনটি টেলিভিশনের মাধ্যমে সারা দেশের প্রায় এক কোটি দর্শক অনুষ্ঠানটি উপভোগ করছে এখন।

‘সিসিমপুর’র ষোল বছর পূর্তি উপলক্ষে এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘‘১৬ বছর ধরে শিশুতোষ এই অনুষ্ঠানটি নির্মিত হচ্ছে তিন থেকে আট বছর বয়সী শিশুর প্রারম্ভিক শিক্ষার চাহিদা পূরণের লক্ষ্যকে সামনে রেখে। আমাদের লক্ষ্য শিশুর পিতা-মাতা এবং শিক্ষকরাও। আনন্দ আর খেলার ছলে ‘সিসিমপুর’ ভূমিকা রেখে চলেছে শিশুর সামগ্রিক বিকাশে। সামনের দিনগুলোতে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, মমত্ববোধ ও বৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধাসহ দেশের সকল মানুষের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার বিষয়ে আরও গুরুত্ব দেবো আমরা।’’

ইউএসএআইডির অর্থায়নে ‘সিসিমপুর’র পথচলা শুরু এবং ইউএসএআইডির এই সহায়তা অদ্যাবধি অব্যাহত রয়েছে।

প্রতি বছর অমর একুশে গ্রন্থমেলায় শিশুদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের বিষয়ে পরিণত হয়েছে ‘সিসিমপুর’। মেলায় প্রতি শুক্র-শনি আর ছুটির দিনগুলোতে ইকরি, হালুম, টুকটুকি আর শিকুর সঙ্গে মজার সময় কাটাতে শিশুদের ঢল নামে। যা ইতোমধ্যেই অমর একুশে গ্রন্থমেলার অন্যতম অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। যদিও করোনা মহামারির কারণে চলতি বছর এই আয়োজন থেকে বিরত থেকেছে ‘সিসিমপুর’।

নিউইয়র্কভিত্তিক সিসেমি স্ট্রিট নামক শিক্ষামূলক টেলিভিশন-ধারাবাহিকের সহপ্রযোজনা ‘সিসিমপুর’র কার্যক্রম বাংলাদেশে পরিচালনা করছে সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ।

/এমএম/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
‘দেওরা’ সফলতার পর ‘মা লো মা’ চমক
‘দেওরা’ সফলতার পর ‘মা লো মা’ চমক
জন্ম আর মৃত্যুর সুরেলা মেলবন্ধনের প্রতিধ্বনি
৩৫তম জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসবজন্ম আর মৃত্যুর সুরেলা মেলবন্ধনের প্রতিধ্বনি
যে গল্পের জন্ম ওষুধের দোকান থেকে!
যে গল্পের জন্ম ওষুধের দোকান থেকে!
উদ্বোধক মেরিল স্ট্রিপ, পাচ্ছেন স্বর্ণপাম
কান উৎসব ২০২৪উদ্বোধক মেরিল স্ট্রিপ, পাচ্ছেন স্বর্ণপাম
ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র
ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র