করোনাকালজুড়ে অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতির ব্যস্ততা ও পরিচিতি গড়ে উঠেছে উদ্যোক্তা হিসেবে। খাদ্যপণ্যের দোকান খনা অর্গানিক আর নির্মাণ প্রতিষ্ঠান গড়েছেন রে হাউজ নামে। বিপরীতে অভিনয় থেকে অনেকটাই দূরে গেছেন।
জানিয়েছেন, ‘ভালো মানের কাজ না হলে করবো না। বিকল্প পেশা হিসেবে ব্যবসা করার চেষ্টা করছি।’
জ্যোতির সেই চেষ্টা এখনও অব্যাহত। ক্যামেরার সামনে খুব বেশি মেলে না তাকে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নিজেকে ইউটার্ন করালেন মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’র সুবাদে। নুরুল আলম আতিকের নির্দেশনায় প্রায় ছয় বছর আগে এই কাজটি করেছেন তিনি। সেই আদরের মোরগটি সম্প্রতি ছাড়পত্র পেয়ে মুক্তির আলোয় ডানা ঝাপটে সবার ঘুম ভাঙানোর প্রহর গুনছে। অপেক্ষাটি জ্যোতিরও। টলিউডের ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’র পর আবারও এই সু-অভিনেত্রী উঠছেন বড় পর্দায়।
জ্যোতি বললেন, ‘‘১০ ডিসেম্বর মুক্তি পেতে যাচ্ছে আমার অভিনীত নবম চলচ্চিত্র ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’। বাংলাদেশ সরকারের অনুদান পেয়ে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন নুরুল আলম আতিক। দর্শকদের জন্য এই চলচ্চিত্রটি আমার তরফ থেকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বিশেষ উপহার।’’
ছবিটিকে ঘিরে জ্যোতির উচ্ছ্বাস যারপরনাই। বলেন, ‘এই চলচ্চিত্রে আমার চরিত্রের নাম দীপালি সাহা। প্রথাগত মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্রের যে নির্মাণশৈলী ও গল্প বর্ণনা, সেটা থেকে কাজটি বেশ আলাদা। গুণী সব অভিনয়শিল্পী আমার কো-আর্টিস্ট এখানে। এতে আমার বিপরীতে অভিনয় করেছেন দীপক সুমন। ভালো কাজের দৌড়ে নিজের একটা জায়গা করে নেওয়া কতটা কঠিন, আপনারা জানেন। তাই যখনই আমার কোনও একটা ভালো কাজ হয়, তখনই চেষ্টা করি নিজের সর্বোচ্চ ভালোবাসা দিয়ে সবার কাছে পৌঁছাতে। কারণ, যুদ্ধটা শুধু পরিচালক বা প্রযোজকের নয়, আমাদের শিল্পীদেরও।’
নানান চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে টানা প্রায় ছয় বছর পর মুক্তি পাচ্ছে ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’। পরিচালক বলছেন, ‘এটি সিনেমার মুক্তিযুদ্ধ, আর আমরা সকলে একেকজন মুক্তিযোদ্ধা!’ সেই রেশ ধরে জ্যোতির বললেন, ‘আমি সকলকে আমাদের সিনেমার মুক্তিযুদ্ধ অথবা মুক্তিযুদ্ধের এই সিনেমাটি হলে এসে দেখার বিনীত অনুরোধ রাখি।’
পাণ্ডুলিপি কারখানা প্রযোজিত ছবিটি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পায়। ২০১৬ সালে শুটিং শুরু হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের গল্পের এই চলচ্চিত্রের।
জ্যোতিকা জ্যোতি-দীপক সুমন ছাড়াও ছবিটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, লায়লা হাসান, আহমেদ রুবেল, অশোক ব্যাপারী, আশীষ খন্দকার, জয়রাজ, শিল্পী সরকার, ইলোরা গওহর, দিলরুবা দোয়েল, স্বাগতা, শাহজাহান সম্রাট, ভাবনা, খলিলুর রহমান কাদেরী, অনন্ত মুনির, সৈকত, যুবায়ের, মতিউল আলম, হাসিমুনসহ কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল ও গৌরীপুর এলাকার অসংখ্য সাধারণ মানুষ।
ট্রেলার: