৫০ বছর বয়সী বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ছিল পদ্মার বুকে একটি সেতু। যে সেতুটি একটি সুতোয় মালা গেঁথে দিলো বাংলাদেশের উত্তর-দক্ষিণ আর পূর্ব-পশ্চিমাঞ্চলকে। সেতুটি সব ক্ষেত্রেই ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বাংলাদেশের জীবন ও অর্থনীতিতে। সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষদের আশা, শুধু জীবন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নয়, দেশের নাটক ও চলচ্চিত্রের দৃশ্যপটে বৈচিত্র্যের স্বাদ এনে দেবে এই সেতু।
পদ্মা সেতু নিয়ে এমনই স্বপ্ন বুনছেন খুলনার মেয়ে মডেল-অভিনেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া-
ভাবতে ভাবতেই পদ্মা সেতু হয়ে গেলো! এটা ভাবলে এখনও বিশ্বাস হয় না। কারণ, প্রথম আমরা কেউ ভাবতেই পারিনি এমন একটি সেতুবন্ধন দেখতে পাবো কখনও। এরপর যখন বিদেশি সমর্থন হারালাম, তখন তো সেই অবিশ্বাস আরও গভীর হলো আমাদের মনে।
সব মিলিয়ে খুলনার মেয়ে হিসেবে এই সেতুটি আমার কাছে মনে হয় রাষ্ট্রীয়ভাবে সর্বোচ্চ প্রাপ্তি। তারচেয়েও বড় গর্ব, সেতুটি আমাদের টাকায় হয়েছে। এটাও বাস্তবতা, টাকা থাকলেই সবকিছু হয় না। এটি বাস্তবায়ন করার মানসিকতা বা ভিশন লাগে। সেই সূত্রে শত বাধার মুখেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটা করে দেখিয়েছেন। হ্যাটস অফ টু হার।
অনেকে অনেকভাবে এই প্রাণের সেতুটি দেখেছেন এরমধ্যে। আমি সেটা পারিনি। কিংবা ওভাবে দেখতে চাইনি। কারণ, আমার স্বপ্ন এই সেতু দিয়ে নিজের গাড়ি নিয়ে আমি বাড়ি যাবো। এতকাল গাড়ি নিয়ে বাড়ি যাওয়ার সাহসটা পাইনি। এখন আমি দ্রুত সময়ের মধ্যে যে কোনোদিন গাড়ি নিয়ে দৌড় দেবো পদ্মা সেতুর বুকে। সেদিন আমার জন্য হবে সবচেয়ে আনন্দের।
মনে পড়ে, ১৪ বছর আগে যখন খুলনা থেকে ঢাকা এসেছিলাম, তখন মহাখালী ফ্লাইওভারটাও ছিল না। চোখের সামনে সেটি হলো। ঢাকার উন্নতি দেখলাম। আমাদের সবচেয়ে বড় স্থাপনা পদ্মা সেতুও হয়ে গেলো!
এবার দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নটাও নিজের চোখে দেখতে চাই। মংলা পোর্ট, সুন্দরবন, কুয়াকাটা- সবকিছু বদলে যাবে ক্রমশ।