চলতি বছর নাট্যদল আরণ্যক পার করছে তাদের গৌরবময় ৫০ বছর। এ উপলক্ষে মঞ্চে এনেছে নতুন প্রযোজনা ‘রাজনেত্র’।
আজ (২৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে হবে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন। যার রচনা ও নির্দেশনায় আছেন হারুন রশীদ।
গতকাল (২৮ জুলাই) টেকনিক্যাল শোতে গিয়ে কথা হয় এর নির্দেশক হারুণ রশীদ ও আরণ্যকের প্রধান মামুনুর রশিদের সঙ্গে।
তারা জানান, সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দলটি নানা ধরনের আয়োজন করছে। তারই অংশ হিসেবে এসেছে নতুন নাটক ‘রাজনেত্র’। এটি তাদের ৬৪তম প্রযোজনা।
মামুনুর রশিদ বলেন, ‘‘এ নাটকটিতেও আমরা জনসাধারণের কথা বলেছি। আরণ্যক সৃষ্টির উদ্দেশ্যই ছিল সাধারণ ও শ্রমজীবী মানুষের কথা বলা। শুরুটা হয়েছিল কথা বলতে বলতে। টেলিভিশন সেন্টারে আমি, আলী যাকের আর আবদুল্লাহ আল-মামুন গল্প করছিলাম। বলেছিলাম, ‘একটা নাটকের দল করবো, কী নাম দেওয়া যায়?’ আবদুল্লাহ আল-মামুন বললেন, ‘নাগরিক তো আছেই, তোমরা আরণ্যক হয়ে যাও।’ তারপরই নাম দিলাম ‘আরণ্যক’। সেই থেকে নিরবচ্ছিন্ন আমরা নাট্যচর্চা চালিয়ে যাচ্ছি। আরণ্যক নাট্যদল সবসময় শ্রমজীবী মানুষের কথা বলে আসছে। নতুন নাটক ‘রাজনেত্র’তেও সেই কথাটাই বলা হয়েছে। এর গল্পটা রাজা ও প্রজাদের নিয়ে হলেও এখনকার বাস্তবতার সঙ্গেই মিল রেখেই হারুনুর রশীদ এটা লিখেছেন।’’
হারুন রশীদ বললেন, ‘গত ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা নাটকটির মহড়া চালিয়ে আসছি। গত ২৭ ও ২৮ জুলাই হয়েছে আমাদের টেকনিক্যাল শো। ৪০ মঞ্চকর্মী এতে পারফর্ম করছেন। বেশ বড় পরিসরে আয়োজনটি করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি ভালো লাগবে।’ 
তিনি জানান, এর গল্প গড়ে উঠেছে প্রাচীন এক রাজাকে ঘিরে। যিনি জনগণের আসল আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা জানেন না। তার চোখে পরিয়ে দেওয়া হয় রঙিন চশমা ‘রাজনেত্র’। এটি দিয়ে যা দেখানো হয়, তিনি তা দেখেন। সবসময়ই ক্ষমতায় থাকা সর্বোচ্চজনও কিন্তু তা-ই। তারা জনগণের আসল অবস্থা সম্পর্কে অবগত নন। এটি নিয়েই নাটকের গল্প এগোবে।
