X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১
স্মরণ

সুবীর নন্দী ও সঞ্জীব চৌধুরীর সন্ধি!

বিনোদন ডেস্ক
১৯ নভেম্বর ২০২২, ০০:২৪আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২২, ১৫:৫৮

বাংলা গানে তাদের দু’জনের ভূমিকা স্মরণীয়। যদিও দুজনের গানের ধারায় পার্থক্য বিদ্যমান। তবে কালের সীমানা অতিক্রম করে তাদের কণ্ঠ-কথা-সুর গেঁথে আছে শ্রোতাদের মনে। তারা হলেন সুবীর নন্দী ও সঞ্জীব চৌধুরী।
 
১৯ নভেম্বর তারিখটি বাংলাদেশের শ্রোতাদের জন্য বিশেষ। কারণ এদিনটিতে একজনের জন্মদিন, আরেকজনের মৃত্যুবার্ষিকী। এর মধ্যে ১৯৫৩ সালের ১৯ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন সুবীর নন্দী। আর ২০০৭ সালের এই দিনে পৃথিবী ছেড়ে গেছেন সঞ্জীব চৌধুরী। জন্ম-মৃত্যুর সন্ধি ছাড়াও সুবীর-সঞ্জীবের মধ্যে আরেকটি মিল রয়েছে। তা হলো- তাদের দুজনেরই জন্ম ও বেড়ে ওঠা হবিগঞ্জে।
 
হবিগঞ্জের হোকুমার তেলিয়াপাড়ায় সুবীর নন্দীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা। মায়ের কাছেই সংগীতের প্রাথমিক দীক্ষা পেয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে একাধিক ওস্তাদের কাছ থেকে তালিম নিয়েছিলেন। যা তাকে শুদ্ধ সংগীতের অন্যতম শিল্পীতে পরিণত করে।
 
সিনেমা, টিভি-বেতার, অডিও আর মঞ্চ- সব ক্ষেত্রেই সুরেলা কণ্ঠের মুগ্ধতা ছড়িয়েছিলেন সুবীর নন্দী। সত্তরের দশকে তার প্লেব্যাক জীবন শুরু হয় ‘সূর্য গ্রহণ’ ছবির মাধ্যমে। এর আগে ১৯৬৭ সালেই বেতারের জন্য গান করেছিলেন তিনি। প্রায় পাঁচ দশকের ক্যারিয়ারে আড়াই হাজারের বেশি গান কণ্ঠে ধারণ করেছিলেন এই নন্দিত শিল্পী। তার গাওয়া কয়েকটি শ্রোতাপ্রিয় গান হলো- ‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘আমার এ দুটি চোখ পাথর তো নয়’, ‘বন্ধু হতে চেয়ে তোমার’, ‘কতো যে তোমাকে বেসেছি ভালো’, ‘একটা ছিলো সোনার কন্যা’, ‘ও আমার উড়াল পঙ্খীরে’ ইত্যাদি। 

শ্রেষ্ঠ সংগীতশিল্পী হিসেবে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন সুবীর নন্দী। এছাড়া রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদকেও ভূষিত হয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের ৭ মে মারা যান এই কিংবদন্তি গায়ক।
 
অন্যদিকে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামে জন্ম নেওয়া সঞ্জীব চৌধুরী ছিলেন নাগরিক গানের অন্যতম কবি। গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে কথাসমৃদ্ধ গানের প্রচলনে অসামান্য ভূমিকা রেখেছিলেন এই শিল্পী। ‘দলছুট’ ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতাও তিনিই। এই ব্যান্ডের হয়ে ‘আহ্’ (১৯৯৭), ‘হৃদয়পুর’ (২০০০), ‘আকাশচুরি’ (২০০২) ও ‘জোছনা বিহার’ (২০০৭) অ্যালবামগুলো উপহার দিয়েছিলেন সঞ্জীব।

সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশোনার পর এই পেশাতেই চাকরি নিয়েছিলেন সঞ্জীব চৌধুরী। তবে ছাত্র থাকাকালীন গানের দল গঠন করেন, জড়িয়ে পড়েন সংগীতের মায়াজালে। সেই মায়া ছড়িয়ে দেন শ্রোতাদের মনেও। তার গাওয়া ‘গাড়ি চলে না’, ‘বায়োস্কোপ’, ‘আমি তোমাকেই বলে দেবো’, ‘আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিল চাঁদ’, ‘কথা বলবো না’, ‘এই নষ্ট শহরে’, ‘রিকশা’, ‘চোখটা এতো পোড়ায় কেন’ ইত্যাদি গানগুলো এখনও শ্রোতাদের গভীর অনুভবে মিশে আছে। 

২০০৭ সালে বাইলেটারেল সেরিব্রাল স্কিমিক স্ট্রোকে আক্রান্ত হন সঞ্জীব চৌধুরী। ওই বছরের ১৯ নভেম্বর গান-কবিতার ভুবন ছেড়ে না ফেরার দেশে উড়াল দেয় তার প্রাণপাখি।

/কেআই/এমএম/
সম্পর্কিত
মৃত্যুর পাঁচ বছর পর নতুন গান!
মৃত্যুর পাঁচ বছর পর নতুন গান!
‘এই গানটি গাওয়া আমাদের কাছে সৌভাগ্যের মতোই ছিল’
স্মরণে সুবীর নন্দী‘এই গানটি গাওয়া আমাদের কাছে সৌভাগ্যের মতোই ছিল’
‌‘সবসময় তিনি আমাদের মা বলে ডাকতেন’
স্মরণে সুবীর নন্দী‌‘সবসময় তিনি আমাদের মা বলে ডাকতেন’
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
নকলের অভিযোগ, জবাব দিলেন ‘জংলি’র পরিচালক
নকলের অভিযোগ, জবাব দিলেন ‘জংলি’র পরিচালক
সব নারী সাধু না: রিচা
সব নারী সাধু না: রিচা
লন্ডনের স্টেডিয়ামে গাইবেন জেমস
লন্ডনের স্টেডিয়ামে গাইবেন জেমস
লাপাতা লেডিস: বিস্ময় জাগানো কে এই তরুণ
লাপাতা লেডিস: বিস্ময় জাগানো কে এই তরুণ
ধূসর ছবির ঝকঝকে প্রিন্ট!
ধূসর ছবির ঝকঝকে প্রিন্ট!