X
সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩
১৩ চৈত্র ১৪২৯

বিয়ের কপালটা আমার খারাপ: প্রসেনজিৎ

বিনোদন ডেস্ক
৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:২৯আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:২৯

তিন দশক ধরে বাংলা ছবির সবচেয়ে উজ্জ্বল মুখ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনিই আসলে টলিউড ইন্ডাস্ট্রি। অভিনয় তার রক্তে, লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের জগতে বড় হয়েছেন। তার অভিনয় জীবন যতটা চর্চায় থেকেছে ততটাই আলোচনায় থেকেছে বুম্বাদার ব্যক্তিগত জীবন। দু-বার বিয়ে ভেঙেছে প্রসেনজিতের। সেই নিয়ে আজও কম ফিসফিসানি নেই ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে।

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম প্রেম, প্রথম ক্রাশ- সবই দেবশ্রী রায়। ভালোবেসে পরস্পরকে বিয়ে করেছিলেন তারা। ছোটবেলার বন্ধুত্ব, যৌবনে পা দিয়েই দাম্পত্যে জড়ান তারা। সালটা ১৯৯২। তবে খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি এই সম্পর্ক। তিন বছর পরেই ভেঙে যায় প্রসেনজিৎ-দেবশ্রীর ঘর। এই বিচ্ছেদ নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি টলিপাড়ায়। এরপর কেটে গিয়েছে তিন দশক। দেবশ্রীর সঙ্গে ডিভোর্স নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুললেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।

জি চব্বিশ ঘণ্টাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান, দেবশ্রীর সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। দু’বছর বাড়ির বাইরে বের হননি। বুম্বাদা বলেন, ‘জীবনে প্রথম প্রেম, প্রথম ভালোবাসার একটা আলাদা জায়গা থাকে। আরেকটা ফ্যাক্টর ছিল আমার বয়সটা। আমি যে সময় বিয়ে করেছিলাম, যদি আরও পাঁচ বছর পর বিয়ে করতাম, হয়ত বিষয়টা আমরা দুজনেই অনেকটা ম্যাচিউরডভাবে হ্যান্ডেল করতে পারতাম। তবে আমি কোনও জায়গায় কাউকে দোষ দিইনি। বলেছি সবটা আমার দোষ।’

অভিনেতা আরও বলেন, ‘‘সবাই জানতো আমাদের প্রেম, আমাদের ভালোবাসার কথা। আমি ভয় পেতাম। লোকে ভাববে আমার ভালোবাসাটা বোধহয় জেনুইন ছিল না। হয়তো আমার ভালোবাসাটা ভুল ছিল, আমি ভালোবাসতে পারিনি। সেই ভাবনাটা থেকে ভেতরে ভেতরে কষ্ট পেতাম। লজ্জা, ভয়, অভিমান মিশিয়ে আমি সবার সামনে যেতে পারিনি। সেইসময় অনেক পরিচালক, কাছের বন্ধুরা আমার বাড়িতে এসে বলেছেন- ‘এটা জীবন নয়’। এরপর ধীরে ধীরে গৃহবন্দি দশা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। কাজে ফিরি।’’ 

তবে অভিনেতার কথায়, ‘বিয়ের কপালটা আমার খারাপ। এবং প্রত্যেক জায়গায় আমি একটাই কথা বলি যেটাই হয়েছে সেটা আমার দোষ, আমি তাকে বুঝতে পারিনি।’ 

দেবশ্রীর সঙ্গে পুরনো বন্ধুত্ব ফিরে পেতে চান প্রসেনজিৎ। অভিনেতা জানান, ‘আমি সব সময় বলেছি আমাদের সময়ের সবথেকে ভালো অভিনেত্রী চুমকি (দেবশ্রী)। আমার সঙ্গে ওর এখন দেখা হলে আমরা নিশ্চয় বন্ধু হতে পারব। অনেক সময় পেরিয়ে গেছে এখন।’

প্রথম বিয়ে ভাঙার পর অপর্ণা গুহঠাকুরতাকে বিয়ে করেছিলেন প্রসেনজিৎ, তাদের মেয়ে প্রেরণা। সেই সম্পর্কেও প্রসেনজিৎ ইতি টানেন ২০০২ সালে। এখন অর্পিতাকে নিয়ে তার সুখী গৃহকোণ। তাদের একমাত্র পুত্র তৃষাণজিৎ।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

/এমএম/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
রবীন্দ্রনাথের সকল গানের ভাণ্ডারি দিনেন্দ্রনাথ
গানের শিল্পী, গ্রামোফোন, ক্যাসেট ও অন্যান্য: পর্ব ১৬রবীন্দ্রনাথের সকল গানের ভাণ্ডারি দিনেন্দ্রনাথ
পিছিয়ে পড়া থিয়েটারকর্মীদের দ্বিগুণ তালে কাজের প্রত্যয়
বিশ্ব থিয়েটার দিবসপিছিয়ে পড়া থিয়েটারকর্মীদের দ্বিগুণ তালে কাজের প্রত্যয়
কেমন চলছে গায়িকা পড়শীর নায়িকা জীবন (ভিডিও)
মামানামা- আউট অব দ্য বক্স কেমন চলছে গায়িকা পড়শীর নায়িকা জীবন (ভিডিও)
জর্ডান টু আগরতলা: হিরু-চাঁদনীর আনন্দ অভিজ্ঞতা
জর্ডান টু আগরতলা: হিরু-চাঁদনীর আনন্দ অভিজ্ঞতা
ইফতার-সেহরি বিক্রিতে ব্যস্ত ওমর সানী ও মাহিয়া মাহি
ইফতার-সেহরি বিক্রিতে ব্যস্ত ওমর সানী ও মাহিয়া মাহি