একসঙ্গে দুটো সুখবর দিলেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এক- প্রথমবার অভিনয় করলেন সিনেমায়। দুই- সেই সিনেমা নির্বাচিত হয়েছে বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগে। স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বাস উপচে পড়ছে তার মনে।
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির উদ্যোগে ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ সিরিজের অংশ হিসেবে দুটি সিনেমা নির্মাণ করেছেন ফারুকী। এগুলো হলো ‘মনোগামী’ এবং ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’। বুধবার (৩০ আগস্ট) দ্বিতীয় সিনেমাটিতে তার অভিনয়, টিজার এবং বুসান উৎসবের সুখবর একসঙ্গে প্রকাশ করলেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রথমবার অভিনয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে ফারুকী বললেন, “আমি নানা রকম গল্প বলার চেষ্টা করেছি। সেগুলোর একেকটা একেক রকমভাবে মানুষকে স্পর্শ করেছে। অভিনয় কেমন হওয়া উচিত, কোন গল্প বলা জরুরি- এসব নিয়ে সারাক্ষণই নিরীক্ষা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু যে কাজটা কখনোই করার চেষ্টা করিনি, সেটা হলো অভিনয়। প্রথম দিকে এটা নিয়ে আমার মধ্যে ইতস্তত ভাব থাকলেও তিশা আমাকে একটা কথা বলে আমার সংশয় দূর করে দেয়। ও বলে, ‘এই গল্প তুমি জীবনে একবারই করতে পারবে। করে ফেলো প্লিজ!’ শুটিং শুরু হয়ে যাওয়ার পর তেমন কোনও আলাদা অনুভূতি হয়নি। মনে হয়েছে, এটাই তো স্বাভাবিক। শুধু একটা জিনিস আলাদা ছিল। শটের সময় মনিটরে থাকা হতো না। আমার ছোট ভাই কিবরিয়া মনিটরে থাকতো। আর আমি শট শেষে গিয়ে প্লেব্যাক করতাম।”
আগামী ৪ অক্টোবর পর্দা উঠবে বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৮তম আসরের। ১০ দিনব্যাপী এই উৎসবে বাংলাদেশের আরও দুটি সিনেমা নির্বাচিত হয়েছে। এগুলো হলো ইকবাল এইচ চৌধুরী নির্মিত ‘দ্য রেসলার’ ও বিপ্লব সরকার পরিচালিত ‘দ্য স্ট্রেঞ্জার’। ছবি দুটি লড়বে সম্ভাবনাময় নির্মাতাদের জন্য নির্ধারিত বিভাগে। আর ফারুকীর ছবিটি নির্বাচিত হয়েছে এশিয়া থেকে প্রতিষ্ঠিত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বিভাগ ‘কিম জিসুক’-এ।
‘অটোবায়োগ্রাফি’ সিনেমায় ফারুকীর সঙ্গে অভিনয় করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। তিনি তার অনুভূতি প্রকাশ করলেন এভাবে, ‘ইলহাম হওয়ার পর এত তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করতে পারবো, এটা ধারণা ছিল না। থ্যাংকস টু ফারুকী! ও আমাকে সেই আত্মবিশ্বাসটা দিয়েছে যে আমি আবার ফিট হয়ে কাজ করতে পারবো। ফারুকী খুব ভালো ডিরেক্টরের পাশাপাশি ভালো অভিনেতা আগে থেকেই ছিল। কিন্তু সেটা ক্যামেরার পেছনে। এখন সেটা সবার সামনে চলে এলো আরকি। এজন্য এখন একটু ভয় লাগছে! অন্য ডিরেক্টর যদি ওকে নিয়ে কাজ শুরু করে, ও যদি নায়ক হয়ে যায়, তখন কী হবে!’
শুধু অভিনয় নয়, এই সিনেমার চিত্রনাট্যও একসঙ্গে লিখেছেন ফারুকী-তিশা দম্পতি। তাই কাজটিকে তাদের কাছে অনেক বেশি আপন, বিশেষ।