তামিল সুপারস্টার থালাপতি বিজয়ের সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত সিনেমা ‘লিও: ব্লাডি সুইট’। নির্মাণ করেছেন ‘কাইথি’, ‘বিক্রম’র মতো সিনেমা বানানো লোকেশ কানাগারাজ। ফলে দর্শকের মনে আগ্রহের পারদও ছিল চরমে। যদিও গত ১৯ অক্টোবর মুক্তি পাওয়ার পর সমালোচকদের খুব একটা প্রশংসা কুড়াতে পারেনি ছবিটি।
এনডিটিভি, পিঙ্কভিলা, কইমই-সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘লিও’ ছবিটি ৫-এর মধ্যে মাত্র ২.৫ রেটিং পেয়েছে। ছবির একমাত্র ইতিবাচক দিক হিসেবে সমালোচকরা বিজয়ের পারফর্মেন্সকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। টাইমস অব ইন্ডিয়া থেকে অবশ্য ৫-এর মধ্যে ৩.৮ রেটিং পেয়েছে ছবিটি।
কিন্তু নায়ক যখন থালাপতি বিজয়, তখন অ্যাভারেজ মানের সিনেমাও বক্স অফিসে হিট হয়ে যায়। এমন নজির অনেক আছে। সেই ধারা অব্যাহত থাকছে ‘লিও’র ক্ষেত্রেও। ভারত এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ছবিটি বিপুল ব্যবসা করছে। সোজা কথায়, তামিল সিনেমা হিসেবে রেকর্ড পরিমাণ কালেকশন করছে।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুসারে, মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ভারতে ‘লিও’ সিনেমার ৩১ কোটি রুপির টিকিট বিক্রি হয়েছে। ৬ দিনে মোট অংকটা পেরিয়েছে ২৫০ কোটি রুপি। আর বিশ্বব্যাপী কালেকশন ছাড়িয়েছে ৪৫০ কোটি রুপি। যেটা শুক্রবার নাগাদ ৫০০ কোটির মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবে।
ইতোমধ্যে চলতি বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী তামিল সিনেমা হয়ে গেছে ‘লিও’। সেই সঙ্গে থালাপতি বিজয়ের ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ কালেকশন করা ছবিও এখন এটি। এছাড়া পুরো তামিল সিনেমার ইতিহাস বিবেচনা করলে, ‘লিও’র অবস্থান এরই মধ্যে তিন নম্বরে উঠে এসেছে। যে হারে ছবিটি আয় করছে, তা অব্যাহত থাকলে শীর্ষে চলে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
এখনও পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ‘২.০’ (২০১৮) ও ‘জেলার’ (২০২৩)। দুটি সিনেমারই মূল তারকা রজনীকান্ত। ছবি দুটির কালেকশন যথাক্রমে ৭০০ কোটি ও ৬০০ কোটি রুপি।
উল্লেখ্য, ‘লিও’ সিনেমায় বিজয়ের সঙ্গে রয়েছেন তৃষা, সঞ্জয় দত্ত, অর্জুনের মতো তারকা। ছবিটি নির্মিত হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি রুপি বাজেটে।