অস্কারে এমন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই খুব কমই দেখা গেছে, এবারের আসরে যতটা হচ্ছে। এর কারণ পুরস্কার মৌসুমের বিজয়ী তালিকায় বৈচিত্র্যের সাক্ষী হয়েছে হলিউড। যেসব পুরস্কারকে অস্কারের সূচক ভাবা হয়, সেগুলোতে এবার একেক তারকা একেকটিতে শেষ হাসি হেসেছেন। ফলে ৯৭তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের বিভিন্ন বিভাগে মনোনীত কয়েকজনের মধ্যে যে কেউ পুরস্কার বাগিয়ে নিতে সক্ষম। এরমধ্যে সামনের সারির কয়েকটি বিভাগ নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা যাক।
সেরা চলচ্চিত্র
এবারের আসরের সেরা চলচ্চিত্র বিভাগ নিয়ে নির্দিষ্টভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন! এ বছর হয়ে যাওয়া অন্যান্য পুরস্কার অনুষ্ঠানের বিচারে বলা চলে ‘অ্যা কমপ্লিট আননোন’, ‘ডুন: পার্ট টু’, ‘এমিলিয়া পেরেজ’, ‘আই অ্যাম স্টিল হিয়ার’, ‘নিকেল বয়েজ’, ‘দ্য সাবস্ট্যান্স’, ‘উইকেড’ এই বিভাগে জেতার সম্ভাবনা একেবারেই কম। এরমধ্যে গোল্ডেন গ্লোবসে সেরা চলচ্চিত্রের (মিউজিক্যাল অথবা কমেডি) পুরস্কার জয়ী ‘এমিলিয়া পেরেজ’-এর সম্ভাবনা ধুলিস্যাৎ করে দিয়েছে ট্রান্সজেন্ডার অভিনেত্রী কার্লা সোফিয়া গাসকোনের পুরোনো একাধিক আপত্তিকর টুইট। অন্যদিকে ‘দ্য ব্রুটালিস্ট’ গোল্ডেন গ্লোবসে সেরা চলচ্চিত্রের (ড্রামা) পুরস্কার জিতলেও কোনও মোমেন্টাম তৈরি করতে পারেনি।
সেরা চলচ্চিত্র বিভাগে ‘আনোরা’ ও ‘কনক্লেভ’ মোটামুটি ফেভারিট। তিন ছবির মধ্যে দর্শকপ্রিয় হিসেবে ‘আনোরা’ সম্ভাব্য বিজয়ী ধরে নেওয়া যায়। কান উৎসবে স্বর্ণপাম পাওয়ার পর ৩০তম ক্রিটিকস’ চয়েস মুভি অ্যাওয়ার্ডস, ৪০তম ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্পিরিট অ্যাওয়ার্ডস ও ৩৬তম প্রডিউচার্স গিল্ড অব আমেরিকা অ্যাওয়ার্ডসে সেরা চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে তুলনামূলক এগিয়ে আছে ‘আনোরা’। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে জিতে যেতে পারে ‘কনক্লেভ’। ৭৮তম বাফটা ও ৩১তম স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড অ্যাওয়ার্ডসের সর্বোচ্চ পুরস্কার জিতে সেই সম্ভাবনা জাগিয়েছে ছবিটি। এমন হতে পারে, এই বিভাগে প্রথম পছন্দ হিসেবে ভোটাররা বিভিন্ন ছবি বেছে নিলেও ‘কনক্লেভ’ দুই নম্বরেই রাখলো সবাই। এমন ঘটলে বেশিসংখ্যক ভোট পেয়ে জিতে যেতে পারে ছবিটি। মনে রাখতে হবে, স্যাগ অ্যাওয়ার্ডসের ভোটাররাই অস্কারেরও ভোটার।
সেরা পরিচালক
সেরা পরিচালক বিভাগে মনোনীতদের মধ্যে ফরাসি নারী কোরালি ফারজাঁ (দ্য সাবস্ট্যান্স) মনে হয় না সুবিধা করতে পারবেন। ‘এমিলিয়া পেরেজ’কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জ্যাক অঁডিয়ারকে অস্কার থেকে দূরে ঠেলে দিয়েছে। ‘অ্যা কমপ্লিট আননোন’ ছবির নির্মাণশৈলী অতো আলোচিত হয়নি, ফলে জেমস ম্যানগোল্ডকে বাদ দেওয়া যায়। রইলো বাকি দুই। শন বেকার (আনোরা) ও ব্র্যাডি কোর্বে (দ্য ব্রুটালিস্ট)। তাদের মধ্যে কে জিতবেন সেই ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন। দুই পরিচালকের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। ‘দ্য ব্রুটালিস্ট’ ছবির জন্য ৩৬ বছর বয়সী ব্র্যাডি কোর্বে ৮১তম ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব, গোল্ডেন গ্লোবস ও বাফটায় সেরা পরিচালক স্বীকৃতি পেয়েছেন। ‘আনোরা’র সুবাদে ৫৪ বছর বয়সী শন বেকার কান উৎসবের স্বর্ণপাম, ৪০তম ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্পিরিট অ্যাওয়ার্ডস ও ৭৭তম ডিরেক্টরস গিল্ড অব আমেরিকা অ্যাওয়ার্ডসে সেরা পরিচালক বিভাগের পুরস্কার জিতেছেন। অস্কারের গুরুত্বপূর্ণ দুই সূচক ডিরেক্টরস গিল্ড ও প্রডিউচার্স গিল্ড পুরস্কার পেয়েছে ‘আনোরা’। ফলে শন বেকারের সুযোগই বেশি থাকছে।
সেরা অভিনেতা
কোলম্যান ডমিঙ্গো (সিং সিং), র্যালফ ফাইনস (কনক্লেভ), সেবাস্টিয়ান স্ট্যান (দি অ্যাপ্রেন্টিস)– সেরা অভিনেতা বিভাগে মনোনীত এই তিন জনকে বাদ দিয়ে আলোচনা করা যাক। কারণ মূল লড়াইয়ে আছেন অ্যাড্রিয়েন ব্রডি (দ্য ব্রুটালিস্ট) ও টিমোতি শ্যালামে (অ্যা কমপ্লিট আননোন)। গোল্ডেন গ্লোব, বাফটা ও ক্রিটিকস’ চয়েস মুভি অ্যাওয়ার্ডস জিতে বেশ এগিয়ে ছিলেন ৫১ বছর বয়সী অ্যাড্রিয়ান ব্রডি। তবে বব ডিলান চরিত্রে নৈপুণ্যের সুবাদে স্যাগ অ্যাওয়ার্ডস জিতে খেলা জমিয়ে তুলেছেন টিমোতি শ্যালামে। অস্কারের ভোটারদের বরাবরই বায়োপিকের প্রতি আলাদা ভালো লাগা কাজ করে। যদিও উচ্চাকাঙ্ক্ষী অভিবাসী চরিত্রে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য অ্যাড্রিয়েন ব্রডির এখনও জয়ের সম্ভাবনা বেশি। ২০০২ সালে ‘দ্য পিয়ানিস্ট’ ছবির জন্য ২৯ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ অস্কার জয়ী হয়ে ইতিহাস গড়েন তিনি। আমেরিকান-ফরাসি অভিনেতা টিমোতি শ্যালামের বয়স এখন ২৯ বছর। পুরস্কারটি জিতলে তিনি হয়ে যাবেন সর্বকনিষ্ঠ অস্কার জয়ী।
সেরা অভিনেত্রী
এ বছর ভবিষ্যদ্বাণী করা সবচেয়ে কঠিন বিভাগের মধ্যে এটি অন্যতম। যদিও ‘এমিলিয়া পেরেজ’ তারকা কার্লা সোফিয়া গাসকোন পুরস্কার পাবেন না এটা মোটামুটি অবধারিত। টুইটারে তার আপত্তিকর পুরোনো মন্তব্য সামনে আসায় সেই সুযোগ নষ্ট হয়েছে। তারপর ‘উইকেড’ তারকা সিনথিয়া এরিভোর সম্ভাবনা ক্ষীণ বলা চলে। ‘দ্য সাবস্ট্যান্স’ তারকা ডেমি মুর গোল্ডেন গ্লোবসে সেরা অভিনেত্রী (মিউজিক্যাল অথবা কমেডি) ও ‘আই অ্যাম স্টিল হিয়ার’ ছবির জন্য ফার্নান্দা তোরেস সেরা অভিনেত্রী (ড্রামা) পুরস্কার পেয়ে আলোচনায় এগিয়ে আছেন। তবে বাফটা জিতে লড়াইয়ে ফিরেছেন মাইকি ম্যাডিসন (আনোরা)। যদিও ৬২ বছর বয়সী ডেমি মুর এই বিভাগে বেশি ফেভারিট। তার ঝুলিতে এ বছর এসেছে ক্রিটিকস’ চয়েস মুভি অ্যাওয়ার্ডস ও স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড অ্যাওয়ার্ডস। এরমধ্যে স্যাগ অ্যাওয়ার্ডসের জয় তাকে এগিয়ে রাখছে।
সেরা পার্শ্ব অভিনেতা
এবারের অস্কার নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা তুলনামূলক কঠিন। তবে সেরা পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগ ব্যতিক্রম। ইউরা বরিসভ (আনোরা), এডওয়ার্ড নর্টন (অ্যা কমপ্লিট আননৌন), গাই পিয়ার্স (দ্য ব্রুটালিস্ট), জেরেমি স্ট্রং (দি অ্যাপ্রেন্টিস) খালি হাতে ফিরবেন বলে দেওয়া যায়! কারণ সেরা পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে কিয়েরেন কালকিন নিরঙ্কুশ ফেভারিট। ‘অ্যা রিয়েল পেইন’ ছবিতে চঞ্চল, রসিক ও বিরহী তরুণ বেনজি চরিত্রে হৃদয়ছোঁয়া অভিনয় করেছেন তিনি। ৪২ বছর বয়সী এই তারকার ঘরে এসেছে গোল্ডেন গ্লোব, বাফটা, স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড, ক্রিটিকস’ চয়েস ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্পিরিট অ্যাওয়ার্ডস। এতেই বোঝা যাচ্ছে, তিনি ছাড়া কেন আর কারও বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নেই! ফলে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তার কোনও প্রতিদ্বন্দ্বীর আসার কোনও মানে হয় না!
সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী
‘এমিলিয়া পেরেজ’ তারকা জোয়ি সালদানিয়ার জয় প্রায় নিশ্চিত! সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগের পুরস্কার তার হাতে ওঠা সময়ের ব্যাপার। গোল্ডেন গ্লোব, বাফটা, স্যাগ অ্যাওয়ার্ডস জিতে অনেক এগিয়ে আছেন তিনি। ফলে মনিকা বারবারো (অ্যা কমপ্লিট আননোন), আরিয়ানা গ্রান্ডে (উইকেড), ফেলিসিটি জোন্স (দ্য ব্রুটালিস্ট) ও ইজাবেলা রসেলিনি (কনক্লেভ) শূন্য হাতে ফিরতে পারেন। যদিও সহশিল্পী কার্লা সোফিয়া গাসকোনের ধর্মান্ধ মন্তব্যের কারণে জোয়ি সালদানিয়ার সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু ৪৬ বছর বয়সী এই তারকা নিজেকে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বিতর্ক থেকে দূরে রাখতে পেরেছেন। ফলে তিনিই ‘এমিলিয়া পেরেজ’ ছবির অন্যতম প্রতিনিধি হিসেবে অস্কার পেতে যাচ্ছেন। মেক্সিকান মাদক সম্রাটকে নারীতে রূপান্তর হতে সহায়তা করা আইনজীবী রিটা চরিত্রে নৈপুণ্য দেখিয়েছেন জোয়ি সালদানিয়া।
সেরা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র
মনোনয়ন তালিকা ঘোষণার পর এই বিভাগে ফ্রান্সের ‘এমিলিয়া পেরেজ’ বনাম ব্রাজিলের ‘আই অ্যাম স্টিল হিয়ার’ ছবি দুটিকে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু কার্লা সোফিয়া গাসকোনের বিস্ফোরক টুইটের কারণে ‘এমিলিয়া পেরেজ’ দৌড় থেকে ছিটকে পড়েছে। ফলে ব্রাজিলের রাস্তা এখন পরিষ্কার! সেরা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র বিভাগের পুরস্কারটি ওয়াল্টার সালেস পরিচালিত ‘আই অ্যাম স্টিল হিয়ার’ই জিতবে বলা চলে। কারণ সেরা চলচ্চিত্র আর সেরা অভিনেত্রী বিভাগেও মনোনয়ন পেয়েছে এটি। ফলে সেরা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র বিভাগে এর অবস্থান সুদৃঢ় হয়েছে। সত্তর দশকে ব্রাজিলে স্বৈরশাসনের সময় পরিবারের মূল ব্যক্তির অন্তর্ধানের পরের পরিস্থিতি মোকাবিলা করা একটি পরিবারের মর্মস্পর্শী গল্প দেখানো হয়েছে ছবিটিতে। এর আগে ১৯৯৮ সালের অস্কারে ওয়াল্টার সালেসের ‘সেন্ট্রাল স্টেশন’ ছিল ব্রাজিলের সর্বশেষ মনোনয়ন। লাতিন আমেরিকার দেশটি এবার অস্কারজয়ের দ্বারপ্রান্তে। সেরা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র বিভাগে আরও মনোনয়ন পেয়েছে ডেনমার্কের ‘দ্য গার্ল উইথ দ্য নিডেল’, জার্মানির ‘দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ’ ও লাটভিয়ার ‘ফ্লো’।
সেরা অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র
১৯ বছর আগে ‘ওয়ালেস অ্যান্ড গ্রমিট: দ্য কার্স অব দ্য ওয়্যার-র্যাবিট’ ও ৯ বছর আগে ‘ইনসাইড আউট’ সেরা অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র বিভাগে অস্কার জিতেছে। দুটি ছবিরই সিক্যুয়েল এবারের অস্কারে লড়ছে। তবে পরিবেশ বিষয়ক দুটি অ্যানিমেটেড ছবির মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে বলা যায়। এরমধ্যে ৭৭তম কান উৎসবের আঁ সাঁর্তে রিগায় নির্বাচিত লাটভিয়ার সংলাপহীন ‘ফ্লো’ ছবির গল্প একটি বিড়ালকে নিয়ে, যে বন্যা থেকে বাঁচার চেষ্টা করে। অন্যদিকে ইউনিভার্সেল পিকচার্সের ‘দ্য ওয়াইল্ড রোবট’ ২০১৬ সালে প্রকাশিত পিটার ব্রাউনের উপন্যাস অবলম্বনে পরিচালনা করেছেন ক্রিস স্যান্ডার্স। এর গল্পে দেখা যায়, জনবসতিহীন দ্বীপে একটি বুদ্ধিমতী রোবটকে বন্যপ্রাণী থেকে শুরু করে চারপাশের সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। সেই সঙ্গে একটি অনাথ হংসের দত্তক মা হয়ে ওঠে সে।
‘ফ্লো’ ৮২তম গোল্ডেন গ্লোব, অ্যানি অ্যাওয়ার্ডস ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্পিরিট অ্যাওয়ার্ডসে সেরা অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছে। অন্যদিকে ৩৬তম প্রডিউচার্স গিল্ড অব আমেরিকা, ক্রিটিকস’ চয়েস, ৫২তম অ্যানি অ্যাওয়ার্ডস, ২৯তম আর্ট ডিরেক্টরস গিল্ড ও ২৩তম ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস সোসাইটি অ্যাওয়ার্ডস জিতেছে ‘দ্য ওয়াইল্ড রোবট’।
এবারের সেরা অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র বিভাগে মনোনীত ছবির মধ্যে পিক্সারের ‘ইনসাইড আউট টু’, অস্ট্রেলিয়ার ‘মেমোয়ার অব অ্যা স্নেইল’ ও নেটফ্লিক্সের ‘ওয়ালেস অ্যান্ড গ্রমিট: ভেনজেন্স মোস্ট ফাউল’ অস্কার জিতবে বলে মনে হয় না! যদিও দুটি বাফটা জিতেছে ‘ওয়ালেস অ্যান্ড গ্রমিট: ভেনজেন্স মোস্ট ফাউল’।
অন্যান্য বিভাগ নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী
সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য: আনোরা (শন বেকার)/অ্যা রিয়েল পেইন (জেসি আইজেনবার্গ)
সেরা রূপান্তরিত চিত্রনাট্য: কনক্লেভ (পিটার স্ট্রাউহ্যান)
সেরা প্রামাণ্যচিত্র: নো আদার ল্যান্ড/পর্সেলেন ওয়ার
সেরা মৌলিক আবহসংগীত: দ্য ব্রুটালিস্ট (ড্যানিয়েল ব্লুমবার্গ)/কনক্লেভ (ফলকার বারটেলম্যান)
সেরা চিত্রগ্রহণ: দ্য ব্রুটালিস্ট (লল ক্রলি)/নসফেরাটু (ইয়ারিন ব্লাশকা)