হাজং সম্প্রদায়ের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং জীবনযাত্রা তুলে ধরার লক্ষ্যে শুক্রবার (১৪ মার্চ) থেকে শহরের আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারিতে শুরু হয়েছে আলোকচিত্র প্রদর্শনী। ছবিগুলো তুলেছেন মোহাম্মদ আসাদুরজামান আসলাম মোল্লা।
এদিন বিকালে প্রদর্শনীটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক ও লেখক নুরুল কবির।
মোহাম্মদ আসাদুরজামান আসলাম মোল্লা, যিনি একজন ফটোগ্রাফার এবং থিয়েটারকর্মী। তিনি বর্তমানে নিউ এজ পত্রিকায় কর্মরত। তার ছবি স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র ও ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। তার প্রধান প্রদর্শনীগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘কলম্বো আর্ট এক্সপো ২০২৪’ ও ‘২৫তম জাতীয় শিল্প প্রদর্শনী ২০২৩’।
প্রদর্শনীটি চলবে ১৮ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
হাজং সম্প্রদায় বাংলাদেশের উত্তরপূর্বাঞ্চল, বিশেষ করে সুনামগঞ্জ, সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে বসবাস করে এবং তাদের নিজস্ব ধর্ম, সামাজিক আচারআচরণ ও প্রথা রয়েছে। হাজংরা হিন্দু ধর্মের মতো একটি ধর্ম অনুসরণ করে, তবে তাদের প্রধান দেবতা শিব। তারা দেবী দুর্গা ও অন্যান্য হিন্দু দেব-দেবীকে পূজা করে এবং পৈতা পরিধান করে, যা তাদের ধর্মীয় চিহ্ন।
১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজনের পর বেশিরভাগ হাজং জনগণ ভারত অভিবাসী হয় এবং এক সময় তারা জমিদারদের শোষণের বিরুদ্ধে কমিউনিস্ট পার্টির আন্দোলনে যুক্ত হয়। হাজং সম্প্রদায়ের অনেক নেতৃস্থানীয় সদস্য টঙ্কো, তেভাগা এবং হাতী খেদা বিদ্রোহে অংশ নেন। ১৯৬৪ সালে প্রায় ৩০,০০০ হাজং শরণার্থী ভারত অভিবাসী হয়ে যায়। বর্তমানেও বাংলাদেশে হাজং জনগণের সংখ্যা মাত্র ২০,০০০। অধিকাংশ হাজং ভূমিহীন, তারা শিক্ষা ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে এবং দিনমজুর বা কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করে।