X
রবিবার, ০৪ মে ২০২৫
২১ বৈশাখ ১৪৩২

সিরিজের নেশা কাটিয়ে সিনেমায় মন...

বিনোদন রিপোর্ট
০৪ মে ২০২৫, ১৭:১০আপডেট : ০৪ মে ২০২৫, ১৭:১০

‘শাটিকাপ’ ওয়েব সিরিজ দিয়ে একঝাঁক অপরিচিত অভিনয়শিল্পী এবং এক নবীন নির্মাতার রাজকীয় উত্থান ঘটে ২০২০ সালে। রাজশাহীর ভাষায় তৈরি সিরিজটি মানুষ বিস্ময়ে দেখেছে, আর মুগ্ধ হয়েছে। সেইসাথে সময়ের অন্যতম মেধাবী নির্মাতার কাতারে উঠে আসে আরেকটি নাম, মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম।

৭ পর্বের এই সিরিজের সফল অধ্যায় পেরিয়ে তিনি এরপর নির্মাণ করেন ‘সিনপাট’। এখানেও তিনি রাজশাহীর ভাষা এবং অপরিচিত শিল্পীদের তুলে আনেন।

বহুল আলোচিত ও প্রশংসিত সিরিজ দুটির অন্যতম অনুষঙ্গ ছিলো নেশা। যে ঘোর দর্শকদের মাঝেও ছড়িয়ে দিতে সমর্থ হয়েছেন নির্মাতা। তবে এবার সেই নেশা ছাপিয়ে তাওকীর ইসলাম মন বসালেন পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমার প্রতি।

এখনই সিনেমা নাম-পরিচয় জানাতে নারাজ নির্মাতা। গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাওকীর জানিয়েছেন, এরইমধ্যে সিনেমাটির শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। খুলনার একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে এর শুটিং হয়েছে। যেমনটা করেছিলেন তার দুটি সিরিজ। এখন চলছে সিনেমার পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ।

সিনেমাটির প্রেক্ষাপট বা পটভূমি সম্পর্কে তাওকীর বলেন, ‘গল্পটা এখনই প্রকাশ করতে চাই না। এটা আসলে সিনেমায় দেখার ব্যাপার।’

এই সিনেমার নির্মাণ প্রক্রিয়াকে মজা করে ছিপ দিয়ে মাছ ধরার সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি।

তাওকীর বলেন, “এই প্রজেক্টকে আমরা ‘ছিপ দিয়ে মাছ ধরা’ বলি। পৃথিবী সবসময় ঘটনাবহুল ছিল। এই ঘটনাবহুল পৃথিবীকে যদি আমরা রিয়াল টাইমে ধরে রাখতে পারি, তাহলে ওটা খুব ইন্টারেস্টিং একটা ছবি হবে। আরেকটু ভেঙে যদি বলি, একটা ঘটনা যখন ঘটছে, তার কাছাকাছি কোনও সময়ে সেটা নিউজ অথবা ডকুমেন্টারি ফিল্ম বাদেও আমরা যদি সিনেমায় দেখতে পারি, তাহলে বোধহয় সেটা আমাদেরকে আরও বেশি স্পর্শ করবে। আবার সেটার একটা আর্কাইভাল ভ্যালুও আছে, যেটা কিনা সময়ের সাথে সাথে ওই ইতিহাসটাও বহন করবে। সেই সময়টার সাক্ষী হিসেবে থাকবে। আমরা মূলত ওই ধরনের একটা ভাষা সৃষ্টির চেষ্টা করছি, যাকে আমরা বলছি ছিপ দিয়ে মাছ ধরা।” 

এই নির্মাতা জানিয়েছেন, সিনেমাটিতে যেমন আছে সত্য ঘটনা, তেমনি আছে ফিকশন। যেহেতু এটা সময়ের ছবি এবং নির্দিষ্ট সময়ের কথা বলছে, সেই হিসেবে বাস্তব চিত্রের একটা প্রতিচ্ছবি তো থাকছেই।

তাওকীর বলেন, ‘খুলনার খুবই প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমরা এটির শুট করেছি, গ্রামটা অনেকটা দ্বীপের মতো; জায়গাটার চারদিকেই নদী। এই ছবিতেও কোনও পেশাদার অভিনয়শিল্পীকে দেখা যাবে না। এটাও আসলে অপেশাদার অভিনয়শিল্পীদের নিয়েই একটি কাজ। কাজটা সেই এলাকার মানুষজনকে নিয়েই করা। ক্যামেরার পেছনেও অনেক মানুষ ছিলেন, যারা স্থানীয়। আমরা ৭-৮ জনের একটা টিম ছিলাম, বাকি সবাই ওখানকার। ক্যামেরার সামনে তো তারাই, ক্যামেরার পেছনেও তারা খুব বড় ভূমিকা রেখেছেন।’ 

ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হবে সিনেমাটি। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তাওকীর। তবে এর আগে সেটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার করতে চান আন্তর্জাতিক কোনও উৎসবে। এরপর সেটি দেশের প্রেক্ষাগৃহে দেখার সুযোগ পাবেন দর্শকরা।

বলা প্রয়োজন, আরও দুটি চলচ্চিত্রের কাজ রয়েছে তাওকীরের হাতে। এর মধ্যে একটি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পাওয়া শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘অদ-ভুত’। এরইমধ্যে এর প্রি-প্রোডাকশনের কাজ শেষ, চলতি বছরেই শুটিং হবে। অন্যদিকে, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে যে ৮টি মাঝারি দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ চলছে, সেই প্রকল্পে রাজশাহী বিভাগের চলচ্চিত্রটি নির্মাণের দায়িত্বও পেয়েছেন এই নির্মাতা।

/সিবি/এমএম/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
মা-মেয়ের গল্পে ‘তুমি রবে নীরবে’
মা-মেয়ের গল্পে ‘তুমি রবে নীরবে’
সিরিজের নেশা কাটিয়ে সিনেমায় মন...
সিরিজের নেশা কাটিয়ে সিনেমায় মন...
উর্দুভাষায় ‘জংলি’, মুক্তি পাচ্ছে পাকিস্তানে
উর্দুভাষায় ‘জংলি’, মুক্তি পাচ্ছে পাকিস্তানে
ভালো কাজ করতে সব দেশেই ধক লাগে: মহসিনা
ভালো কাজ করতে সব দেশেই ধক লাগে: মহসিনা
আগস্টের উত্তাল দিনগুলোতে নেহা
আগস্টের উত্তাল দিনগুলোতে নেহা