মেহজাবীন চৌধুরী অভিনীত, সত্য ঘটনার অনুপ্রেরণায় নির্মিত সিনেমা ‘প্রিয় মালতী’ এবার মুক্তি পেতে যাচ্ছে চরকিতে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় চরকিতে পুক্তি পাচ্ছে সিনেমা ‘প্রিয় মালতী’। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্ল্যাটফর্মটি এ ঘোষণা দেয়।
এরই মধ্যে সিনেমাটি প্রদর্শিত হয়েছে কায়রো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ও ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়ায়। ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশ প্যানোরামা সেকশনে সেরা সিনেমার পুরস্কার পেয়েছে সিনেমাটি। সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় গত ২০ ডিসেম্বর। এই সিনেমার মাধ্যমে শঙ্খ দাশগুপ্ত এ সিনেমার মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে।
‘মালতী’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় মেহজাবীনেরও অভিষেক হয়। ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে নাটক, সিরিজে নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেহজাবীন। তবে ‘প্রিয় মালতী’ সিনেমায় তাঁর অনবদ্য অভিনয় আগের সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে বলে মত দিয়েছেন বিজ্ঞজনেরা।
অভিনেত্রী, পরিচালক ছাড়াও ফিচার ফিল্মের প্রযোজক হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছেন নির্মাতা-প্রযোজক আদনান আল রাজীব। বলা প্রয়োজন, সত্য ঘটনার অনুপ্রেরণায় নির্মিত সিনেমা ‘প্রিয় মালতী’। সিনেমার গল্প এমন- পলাশ আর মালতীর ছোট্ট ছিমছাম সংসার। পলাশ একটি দোকানের সাধারণ কর্মচারী। মালতী অন্তঃসত্ত্বা। বিবাহবার্ষিকীতে দুজন মিলে নৌকায় ঘুরতে বের হয়। কেক কাটে, ঘোরাঘুরি করে। আর দশটা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মতো সুখে সংসার করার স্বপ্ন দেখে তারা। মালতী পলাশকে বলে, ‘আমাকে একটা সেলাই মেশিন কিনে দাও, নায়িকা শাবানার মতো সেলাই করতে করতে একটা ফ্যাক্টরি দিয়া দিমু।’ উত্তরে পলাশ বলে, ‘আমিও তাহলে জসিমের মতো একটা ঠেলাগাড়ি কিনে নিই। ঘুরে ঘুরে লেইস–ফিতা বিক্রি করি।’ তাদের এই সাজানো সংসার হঠাৎ ওলট-পালট হয়ে যায়। অন্যান্য দিনের মতো পলাশ দোকানে যায়। কিছুক্ষণ পর মালতী টিভিতে দেখে, পলাশের দোকান যে ভবনে, তাতে আগুন লেগেছে। পলাশকে পাওয়া যায় না। নিমেষে তা বদলে দেয় তার জীবনের মোড়।
উল্লেখ্য, সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে ফ্রেম পার সেকেন্ড ও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি।