X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

৪০ বছরে মাইলস, চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

সুধাময় সরকার
১৫ জুন ২০১৯, ১৭:২৫আপডেট : ১৭ জুন ২০১৯, ১৯:৩১

মাইলস- জুয়েল, মানাম, শাফিন, হামিন ও তূর্য (বাঁ দিক থেকে) দেশের অন্যতম ব্যান্ড মাইলস পার করছে ৪০তম বসন্ত। ১৯৭৯ সালে ফরিদ রশিদের হাত ধরে ঢাকায় জন্ম নেয় ঐতিহ্যবাহী এই ব্যান্ড। যার নেতৃত্ব এখন দিচ্ছেন হামিন আহমেদ, শাফিন আহমেদ, মানাম আহমেদ, ইকবাল আসিফ জুয়েল ও সৈয়দ জিয়াউর রহমান তূর্য।
দলটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ফরিদ রশিদ ১৯৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেলেও বাকি ৩ সদস্য এখনও অটুট রয়েছেন। সঙ্গে আছেন ইকবাল আসিফ জুয়েল ও সৈয়দ জিয়াউর রহমান তূর্য।
মাইলস প্রধান হামিন আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, প্রতিষ্ঠার ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বড় পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন তারা। যার মধ্যদিয়ে তারা সংযুক্ত রাখবেন দেশ-বিদেশের দর্শক ও মিউজিশিয়ানদের। থাকছে শ্রোতাদের জন্য নতুন উপহারও।
তবে এসব বিষয়ে এখনই বিস্তারিত বলতে নারাজ হামিন। বললেন, ‘আমরা দেশ ও বিদেশে মাইলস এর একটি ধারাবাহিক কনসার্টের প্ল্যান করছি। আমাদের এই জার্নিতে অংশ নেবেন অনেকেই। সেগুলো এখন বলতে চাই না। ১৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে একটি কনসার্টের মাধ্যমে আমাদের এই কার্যক্রম শুরু হবে। আর শেষটা হবে ডিসেম্বরে বড় একটি ওপেন এয়ার কনসার্টের মাধ্যমে। হতে পারে সেটা আর্মি স্টেডিয়ামে। তবে এখনও এসব বিষয় চূড়ান্ত নয়।’
এসব বিষয়ে প্রাথমিক তথ্য জানানো হবে ১৭ জুন একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে। জানান হামিন আহমেদ।
মাইলস-কে বিবেচনা করা হয় দেশের সবচেয়ে পুরনো, পারফেক্ট ও সফল বাংলা ব্যান্ড হিসেবে। কারণ, দলটির মধ্যে সদস্যদের স্থিরতা, অ্যালবাম সংখ্যা, গানের জনপ্রিয়তা এবং স্টেজ শোতে উপস্থিতি- অন্য যে কোনও ব্যান্ডকে ছাপিয়ে গেছে বার বার। যে ধারা অব্যাহত রয়েছে এখনও। মাঝে দলের অন্যতম সদস্য শাফিন আহমেদকে ঘিরে খানিক জটিলতা তৈরি হলেও, সেটি এখন স্থিরতা পেয়েছে।
মাইলস-এর শুরুটা হয় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল (সাবেক হোটেল শেরাটন)-এ ইংরেজি গান পরিবেশনার মাধ্যমে।
১৯৮২ সালে তাদের প্রথম অ্যালবাম বের হয় ইংরেজি ভাষায়। ঐ সময় কিছু লোক বলেছিল যে, মাইলস বাংলা গান রচনা করতে পারে না! মূলত এমন কথার জবাব দিতে গিয়েই মাইলস তাদের প্রথম বাংলা অ্যালবাম প্রকাশ করে। অ্যালবামটির নাম ‘প্রতিশ্রুতি’। ‘চাঁদ তারা’সহ অ্যালবামটির প্রতিটি গান তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি দলটিকে। যে অ্যালবামই বের করেছেন, সেটিই সুপারহিট। শুধু বাংলাদেশেই নয়, গানগুলো সমান জনপ্রিয়তা পেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গেও।
মাইলস-ই প্রথম ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশে সিডি অ্যালবাম প্রকাশ করে। ডিস্কো রেকর্ডিং নামে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে প্রকাশিত এই সিডির নাম ‘বেস্ট অব মাইলস’। ১৯৯৬ সালে ভারতে পাঁচটি, আবুধাবি ও দুবাইতে দুটি কনসার্ট করে। চ্যানেল এম ও এমটিভি সরাসরি এই কনসার্ট রেকর্ড করে। ১৯৯৬ সালে তারাই প্রথম বাংলাদেশী ব্যান্ড ছিল, যারা প্রথম যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফরে যায়।
মাইলস এর ইতিহাসে একটি অন্যতম কনসার্ট হয়েছিল ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে, যেখানে প্রায় ৬০,০০০ দর্শক হয়েছিল। এই কনসার্টটি আয়োজিত হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড এর তত্ত্বাবধানে, এবং স্পন্সর ছিল পেপসি । ২০০১ সালে মাইলস নয়াদিল্লির জহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে কনসার্ট-এর জন্য আমন্ত্রিত হয়। ঐ কনসার্টে আরও ছিল জুনুন এবং সিল্ক রুট ব্যান্ড।
মাইলস-এর অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে- মাইলস (ইংরেজি- ১৯৮২), প্রতিশ্রুতি (১৯৯১), প্রত্যাশা (১৯৯৩), প্রত্যয় (১৯৯৬), প্রয়াস (১৯৯৭), প্রবাহ (২০০০), প্রতিধ্বনি (২০০৬), প্রতিচ্ছবি (২০১৫) ও প্রবর্তন (২০১৬)।
মাইলস-এর জনপ্রিয় গানের তালিকাটি এমন- চাঁদ তারা সূর্য, জ্বালা জ্বালা, ধিকি ধিকি, সে কোন দরদিয়া, ফিরিয়ে দাও, স্বপ্নভঙ্গ, আর কতকাল খুঁজব তোমায়, পলাশীর প্রান্তর, পাহাড়ী মেয়ে, প্রথম প্রেমের মতো, ভুলবোনা তোমাকে, অনাবিল বিশ্বাসে, ভালবেস না, নীরবে কিছুক্ষণ, হ্যালো ঢাকা, তুমি নাই, প্রতীক্ষা, হৃদয়হীনা, চাই না, প্রিয়তমা মেঘ, নীলা প্রভৃতি।
প্রসঙ্গত, হামিন ও শাফিন আহমেদ নজরুল সংগীতের সাধক-গবেষক দম্পতি কমল দাশগুপ্ত ও ফিরোজা বেগমের পুত্র। আরেক সদস্য মানাম আহমেদ হচ্ছেন বিশিষ্ট সংগীত পরিচালক মনসুর আহমেদের পুত্র।

/এমএম/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
আমার পাপ আর বাড়াবেন না: ইমন চক্রবর্তী
আমার পাপ আর বাড়াবেন না: ইমন চক্রবর্তী
একযুগ পর দলছুট, সঙ্গে সঞ্জীব চৌধুরী
একযুগ পর দলছুট, সঙ্গে সঞ্জীব চৌধুরী
শিল্পী সমিতির নির্বাচন: সভাপতি মিশা, সম্পাদক ডিপজল
শিল্পী সমিতির নির্বাচন: সভাপতি মিশা, সম্পাদক ডিপজল
জাপানি ছবির দৃশ্য নিয়ে কানের অফিসিয়াল পোস্টার
কান উৎসব ২০২৪জাপানি ছবির দৃশ্য নিয়ে কানের অফিসিয়াল পোস্টার
১৬ বছর ধরে পুনরুদ্ধার করা ‘নেপোলিয়ন’ দেখাবে কান
কান উৎসব ২০২৪১৬ বছর ধরে পুনরুদ্ধার করা ‘নেপোলিয়ন’ দেখাবে কান