টানা ২৫ দিনের সফরে বের হলো সিয়াম-পরীমনিসহ ১২০ জনের একটি শুটিং দল। এ সফর সড়কে নয়, সরাসরি নৌপথে। যার জন্য ভাড়া করা হলো আস্ত একটি দোতলা লঞ্চ!
এই লঞ্চেই হবে তাদের থাকা-খাওয়া-শুটিং! আর ভিন্ন ধারার এই ঘটনা ঘটলো নির্মাণাধীন শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’-এর সূত্র ধরে।
নির্মাতা আবু রায়হান জুয়েল জানান, ১৪ মার্চ সকালে রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনাল থেকে মোট ১২০ সদস্য নিয়ে তাদের এই লঞ্চের যাত্রা হয়। সূচনা হয় সদরঘাট টার্মিনালে সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ মুহাম্মদ জাফর ইকবালের উপস্থিতিতে। তিনি সিনেমা সংশ্লিষ্টদের মিষ্টিমুখ করিয়ে বিদায় জানান। কারণ, তার লেখা ‘রাতুলের রাত রাতুলে দিন’ উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে এই শিশুতোষ সিনেমা।
রবিবার (১৫ মার্চ) সকালে আবু রায়হান জুয়েল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এটা অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা। মনে হচ্ছে আমরা পিকনিকে যাচ্ছি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। এ পরিবারের সদস্য ১২০ জন। আগে থেকেই পুরো লঞ্চ শুটিং উপযোগী করে রেখেছি। ফলে গতকাল সদরঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শুটিং শুরু হয়ে গেল। এখন (রবিবার বেলা ১২টা) আমরা অতিক্রম করছি বরিশাল অঞ্চল। শুটিং এখনও চলছে। সিয়াম, পরীমনিসহ সবার অসম্ভব সহযোগিতা পাচ্ছি। এটাই বড় বিষয়।’
জুয়েল জানান, বরিশাল হয়ে কটকা অঞ্চলে গিয়ে তারা লঞ্চ থেকে নামবেন। সমতলে ৪ দিনের শুটিং করে আবার লঞ্চে উঠে ছুটবেন সুন্দরবনের গহিনে। এভাবে মোট ২৫ দিনের মাথায় তারা ফিরবেন সদরঘাটে। এরইমধ্যে শেষ করবেন পুরো ছবির শুটিং।
নৌপথে ২৫ দিনের এই অ্যাডভেঞ্চার উঠে আসবে পুরো ছবিজুড়ে। ছবির অন্যতম দুই চরিত্রে অভিনয় করছেন সিয়াম আহমেদ ও পরীমনি। তাদের সঙ্গে আছে একদল শিশুশিল্পী।
সরকারি অনুদান পাওয়া এই ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছেন জাকারিয়া সৌখিন।
সরকারি অনুদানের এই বিশেষ সিনেমাটির সহ-প্রযোজনা করছে বঙ্গ।
কাজটি প্রসঙ্গে পরীমণি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এই সিনেমাটা আমার জন্য একটা অ্যাডভেঞ্চারের মতো। সেটা যেমন বাস্তবে, তেমন পর্দাতেও।’
সিয়াম আহমেদ বলেন, ‘আমরা সবাই বন্ধু হিসেবে এ অ্যাডভেঞ্চারে অংশ নিলাম। যেখানে আমি কোনও সমস্যায় পড়লে শিশু-বন্ধুরা সমাধান খুঁজে বের করছে। কাজটা করতে এসে একেবারে নতুন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।’