X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

করোনার কারণে নিভৃতে কেটে গেল সুচিত্রা সেনের জন্মদিন

পাবনা প্রতিনিধি
০৭ এপ্রিল ২০২০, ১২:০২আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০২০, ১৪:৪০

করোনার কারণে নিভৃতে কেটে গেল সুচিত্রা সেনের জন্মদিন ৬ এপ্রিল। বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়িকা সুচিত্রা সেনের জন্মদিন। প্রতিবারই নানা আয়োজনে পৈতৃক নিবাস পাবনায় এই দিনটি উদযাপন করা হয়। কিন্তু চলমান করোনাভাইরাসের প্রভাবে এবার কোনও আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই নিভৃতে কেটেছে দিনটি।


দিনটিকে ঘিরে বরাবরের মতো এবারও বেশ কিছু আনুষ্ঠানিকতার পরিকল্পনা ছিল সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন, সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ, পাবনা টাউন গার্লস হাইস্কুল (মহাকালী পাঠশালা), নাট্য সংগঠন ড্রামা সার্কেলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সব বাতিল করা হলো করোনাভাইরাসের কারণে।
পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে সব অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। এ কারণে এবার মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের জন্মভূমি পাবনায় কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি।’
সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সদস্য সচিব ড. নরেশ মধু বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে এক ভয়াবহ বিপর্যয়। মানুষ বিপন্ন। প্রকৃতি স্বাভাবিক ভারসাম্য হারিয়েছে। এই বিপন্নতায় মহানায়িকার জন্মদিন উৎসবে রূপান্তরিত হোক সেটা আমরা চাইনি। বরং বিশ্ব মঙ্গল কামনায় এই দিনটি উৎসর্গ করেছি। তিনি যেখানেই থাকুন নিশ্চয়ই ভালো আছেন।’
ড. নরেশ মধু জানান, সুচিত্রা সেনের মেয়ে মুনমুন সেন ৬ এপ্রিল দুপুরে এক বার্তায় তাদের সংগঠনকে জানিয়েছেন, সবাই যেন তার মায়ের জন্য প্রার্থনা করেন এবং পরিষদের সবার মঙ্গল কামনা করেছেন তিনি।
এদিন সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সদস্যরা মহানায়িকার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার হেমসাগর লেনের একতলা পাকা পৈতৃক বাড়িতে সুচিত্রা সেনের শিশুকাল, শৈশব ও কৈশোরকাল কেটেছে। বাড়িটির প্রতিটি কক্ষের কোনায় কোনায় জড়িয়ে আছে তার স্মৃতি। সুচিত্রা সেনের বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত পাবনা পৌরসভার তৎকালীন স্যানেটারি ইন্সপেক্টর পদে চাকরি করতেন। মা ইন্দিরা দাশগুপ্ত ছিলেন গৃহিণী।
পাবনা শহরের তৎকালীন মহাকালী পাঠশালায় (বর্তমানে টাউন গার্লস হাই স্কুল) পড়ালেখা শেষে পাবনা বালিকা বিদ্যালয়ে (বর্তমান সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়) নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন সুচিত্রা সেন।
নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় ১৯৪৭ সালে দেশভাগের কিছু দিন আগে পারিবারিক প্রয়োজনে সুচিত্রা সেন কলকাতা চলে যান। ১৯৫১ সালের মাঝামাঝি সময়ে সুচিত্রা সেনের বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত সপরিবারে কলকাতায় চলে যান। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি মহানায়িকা সুচিত্রা সেন।

/এমএম/এমওএফ/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
১৬ বছর পর জেনস সুমনের ফেরা (ভিডিও)
১৬ বছর পর জেনস সুমনের ফেরা (ভিডিও)
মা হারালেন বেবী নাজনীন
মা হারালেন বেবী নাজনীন
ওমর: ‘নায়িকাবিহীন’ এক থ্রিলার
সিনেমা সমালোচনাওমর: ‘নায়িকাবিহীন’ এক থ্রিলার