X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতে সেরা ২০-এ জয়ার চলচ্চিত্র, দেখে নিন বাকিগুলোও

বিনোদন ডেস্ক
২৩ এপ্রিল ২০২০, ১৯:৩৯আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২০, ০১:০৯

জয়া আহসান বিশ্বের ৫০টি দেশের চলচ্চিত্র সমালোচক ও সাংবাদিকদের নিয়ে প্রতিষ্ঠিত সংগঠন ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফিল্ম ক্রিটিকস’ (এফআইপিআরইএসসিআই)। প্রতি বছরের মতো এবারও তারা বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র মূল্যায়ন করছে।
তারা ঘোষণা করেছে ২০১৯ সালে ভারতের সেরা ২০ চলচ্চিত্রের নাম। মূলত এফআইপিআরইএসসিআই-ইন্ডিয়া আয়োজিত ‘গ্র্যান্ডপ্রিক্স’-এর গ্র্যান্ড ফিনালেতে স্থান পাওয়া চলচ্চিত্র এগুলো। আর এতে জায়গা করে নিয়েছে জয়া আহসান অভিনীত ‘বিনি সুতোয়’। আছে কলকাতার আরও একটি চলচ্চিত্র; অপর্ণা সেনের ‘ঘরে বাইরে আজ’। সংগঠনটি শিগগিরই সেরা ছবির নাম ঘোষণা করবে বলে জানালেন জয়া। তবে তার আগে দেখে নেওয়া যাক এতে স্থান পাওয়া বেশ কিছু চলচ্চিত্রের হালহকিকত—

বিনি সুতোয় (বাংলা)

পরিচালক: অতনু ঘোষ

কলকাতার নির্মাতা অতনু ঘোষের পরিচালনায় ‘বিনি সুতোয়’ ছবিতে জয়ার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে কলকাতা ও টাকিতে এর শুটিং হয়। ছবির গল্পে দেখা যাবে, এক রিয়েলিটি শোতে কাকতালীয়ভাবে দেখা হয় দুজনের। অডিশন শেষ হওয়ার পর একটা জায়গা পেরিয়ে বাসে উঠতে গিয়ে শ্রাবণী (জয়া) পড়ে যায়। তার এই অবস্থা দেখে ছুটে আসেন কাজল (ঋত্বিক)। এভাবে দুজনের মধ্যে একটি যোগসূত্র তৈরি হয়। বাইরে থেকে তারা একে অপরকে যেভাবে দেখছে, আতশ কাঁচের নিচে কি সেটা রাতারাতি পাল্টে যাবে? সে উত্তরই পুরো ছবিতে দর্শকরা খুঁজে নেবেন।

ঘরে বাইরে আজ (বাংলা)
পরিচালক: অপর্ণা সেন
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস ‘ঘরে বাইরে’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এটি নির্মাণ করেছেন অপর্ণা সেন। ‘ঘরে বাইরে’-তে রবিঠাকুর যে চিরকালীন সম্পর্কের গল্প বলেছিলেন, আর সেটিকে দাঁড়া করিয়েছিলেন এক ঐতিহাসিক রাজনৈতিক অবস্থার পটভূমিতে। অপর্ণা সেনও সেখান থেকে এক কদমও সরে আসেননি। উপন্যাসের মতোই এর কাহিনিতে উঠে এসেছে বিমলা, নিখিলেশ আর সন্দীপরা। একুশ শতকে এসে বিমলাকে বাধ্য করা হয় তার জন্মপ্রাপ্ত নামটিকে ঝেড়ে ফেলতে। এর বদলে তাকে দেওয়া হয় বৃন্দা নামটি। একসময় সে লেখাপড়া শিখে উচ্চশিক্ষিত হওয়ার পর আর্থিকভাবেও স্বাবলম্বী হয়। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন যিশু সেনগুপ্ত, অনির্বাণ ভট্টাচার্য ও তুহিনা দাস।

আমিষ: (অসমীয়া)
পরিচালক: ভাস্কর হাজারিকা
দুই নিষ্পাপ প্রেমিক-প্রেমিকার গল্প উঠে এসেছে এতে। যারা সামাজিক কুসংস্কারের কাছে নিজেদের ভালোবাসা বলি দেয়। কিন্তু একটা পর্যায়ে তাদের ভয়ঙ্কর অপরাধের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়।

আর্টিকেল ১৫ (হিন্দি)
পরিচালক: অনুভব সিনহা

তরুণ আইপিএস অফিসার পোস্টিং হয় এক গ্রামীণ থানায়। যেখানে মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপনের থেকে কয়েক ‘শ মাইল দূরে থাকেন। সভ্যতার ও প্রগতির আড়ালে লুকিয়ে থাকা সমাজের এক ভয়াবহ ছবি। সেখানেই তিনটি মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার খবর আসে থানায়। সেখান থেকেই সামনে উঠে আসতে থাকে একের পর এক রহস্য। এখানে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন আয়ুষ্মান খুরানা।


সুপার ডিলাক্স (তামিল)
পরিচালক: থিয়াগরাজন কুমাররাজ
সমাজের অচ্ছুৎ কিছু মানুষের গল্প উঠে এসেছে এতে। পর্ন ছবিতে অভিনয় করা এক মা, মনের টানে সাড়া দিয়ে পুরুষ থেকে নারী হওয়া এক মানুষ এবং এক স্ত্রীর পরকীয়ার সূত্র ধরে ফেঁসে যাওয়া দম্পতির গল্প একই সঙ্গে দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি এতে ধর্ম, সমাজ ও সংস্কৃতির উপরে মানবতা—এই বার্তাও খুবই শক্তিশালীভাবে দেওয়া হয়েছে। ছবিতে অভিনয় করেছেন ইন্ডাস্ট্রির জাঁদরেল কিছু শিল্পী। এরমধ্যে আছেন বিজয় সেতুপাতি, ‌‌‘বাহুবলি’-খ্যাত রাম্যা কৃষ্ণন, সামান্থা ও ফারাধ।

চোলা (মালয়ালাম)
পরিচালক: সানল কুমার সসিধরণ
কিশোর-কিশোরীর প্রেম কাহিনি এটা। শহর দেখার জন্য খুব ভোরে গ্রামের একটি স্থানে হাজির হয় মেয়েটি। কিন্তু ছেলের সঙ্গে একজন অদ্ভুত ব্যক্তি হাজির হয়। তাদের নিয়ে গল্পটি এগুবে।


হিলেরো (গুজরাটি)
পরিচালক: অভিষেক শাহ
১৯৭৫ সালের একটি ঘটনা নিয়ে ছবিটি নির্মিত। গুজরাটের এক গ্রামে বধূ হয়ে আসে এক কিশোরী। পরে গ্রামের মেয়েদের সঙ্গে দলবেঁধে দূরে একটি স্থানে পানি আনতে যায়। ঘটনাক্রমে এক ঢুলিকে পানি দিয়ে তার জীবন বাঁচায়। পরবর্তী সময়ে সেই ঢুলির ঢোলেই গড়ে ওঠে তাদের নাচের দল।


কুম্বলঙ্গি নাইটস (মালয়ালাম)
পরিচালক: মধু সি নারায়নন
চার ভাইয়ের গল্প এতে উঠে এসেছে। সাজি, বনি, ফ্যাঙ্কি ও ববি কুম্বলঙ্গি গ্রামের ছোট এক বাড়িতে বাস করে। যখন তাদের বাবা মারা যায় মা ধর্মীয় দিকে ঝুঁকে পড়ে। একদিন চার ভাই তাদের নিজেদের মধ্যে ভালোবাসার কথা বলে। বিশেষ করে ববির ভালোবাসার কথা শুনে তিন ভাই তার পাশে এসে দাঁড়ায়।


রান কল্যাণী: (মালয়ালাম)
পরিচালক: গীথা জে
কল্যাণী নামের এক তরুণী মানুষের বাসায় কাজ করে। বিভিন্ন বাসার নানা চরিত্র তার জানাশোনা। তার সংগ্রাম ও দৃষ্টিভঙ্গি এ ছবিতে কাব্যিকভাবে উঠে এসেছে।


ট্রিস আন্ডার দ্য সান (মালয়ালাম)
পরিচালক বিজুকুমার দামোদরন
কেরালার একটি পরিবারের গল্প দেখা যাবে এখানে। ভয়াবহ এক বন্যা তারা ভাসমান হয়ে পড়ে। সরকারি কোনও সাহায্য পায় না। এরপর তারা হিমাচল প্রদেশে চলে আসে। শুরু হয় সংগ্রামের নতুন জীবন।

/এম/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
সন্ধ্যা নামিলো শ্যাম: গানে ও চিত্রে মুগ্ধতার সমন্বয়
সন্ধ্যা নামিলো শ্যাম: গানে ও চিত্রে মুগ্ধতার সমন্বয়
রসায়ন পরীক্ষায় ১০ জনের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠতা’!
রসায়ন পরীক্ষায় ১০ জনের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠতা’!
শাকিবের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা অন্যরকম: চঞ্চল
শাকিবের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা অন্যরকম: চঞ্চল