বাংলাদেশের ‘ডুব’খ্যাত ভারতীয় অভিনেতা ইরফান খানের শারীরিক অবস্থান হঠাৎ অবনতি হয়েছে। এ কারণে আজ মঙ্গলবার মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধিরুবাই আম্বানি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। তিনি এখন নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন।
ইরফানের মুখপাত্র খবরটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘কোলন সংক্রমণের কারণে ৫৩ বছর বয়সী এই তারকাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। তিনি এখন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন। মনোবল তাকে বরাবরই টিকে থাকার লড়াইয়ে সহায়তা করেছে। আমরা আশাবাদী, অগাধ ইচ্ছাশক্তি এবং শুভানুধ্যায়ীদের প্রার্থনার সুবাদে শিগগিরই তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।’
নবভারত টাইমস পত্রিকা জানিয়েছে, হাসপাতালে ইরফানের পাশে তার স্ত্রী সুতপা ও তাদের দুই ছেলে আছেন।
২০১৮ সালের মে মাসে নিওরোএন্ডোক্রাইন টিউমারে আক্রান্ত হন ইরফান। উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে অনেকটা সময় ছিলেন তিনি।
এ বছর ‘অ্যাংরেজি মিডিয়াম’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় ফিরেছেন ইরফান। তবে এর প্রচারণা করতে পারেননি তিনি। এটি তারই অভিনীত অভাবনীয় ব্যবসাসফল ছবি ‘হিন্দি মিডিয়াম’-এর সিক্যুয়েল। হোমি আদাজানিয়ার পরিচালনায় এতে আরও অভিনয় করেছেন কারিনা কাপুর, রাধিকা মদন ও দীপক দোবরিয়াল।
‘অ্যাংরেজি মিডিয়াম’ মুক্তির পর দর্শকরা ভালোই দেখছিল। কিন্তু কয়েকদিন পরই কোভিড-১৯ রোগের প্রাদুর্ভাবের কারণে সিনেমা হল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ডিজনি প্লাস হটস্টারে এখন ছবিটি দেখা যাচ্ছে।
অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই নিয়ে কিছুদিন আগে আবেগঘন কথা লিখেছিলেন ইরফান, ‘আমার বাজি ছিল অন্যরকম। দ্রুতগতির একটি ট্রেনে ঘুরছিলাম। স্বপ্ন, পরিকল্পনা, আকাঙ্ক্ষা ও লক্ষ্য ছিল। এগুলোকে ঘিরে খুব ব্যস্ত ছিলাম। হঠাৎ কেউ আমার কাঁধে টোকা দিলো এবং আমি পিছু ফিরে তাকালাম। তিনি টিকিট কালেক্টর। আমাকে জানালেন, ‘আপনার গন্তব্য চলে এসেছে। অনুগ্রহ করে নামুন।‘ আমি দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে বললাম, ‘না, না। আমার গন্তব্য আসেনি।’ টিকিট কালেক্টর বললেন, ‘না, এটাই। কখনও কখনও এমন হয়।’
এদিকে গত ২৫ এপ্রিল ইরফানের মা সাইদা বেগম রাজস্থানে মারা গেছেন। সারাভারতে আরোপিত অবরোধের (লকডাউন) কারণে তাকে সামনে থেকে শেষবারের মতো দেখা হয়নি তার। ভিডিও কলের মাধ্যমে মাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান তিনি।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া