মিস আর্থ একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতা। যা ২০ বছর ধরে বিশ্বের প্রায় ৯৪টি দেশে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবার সেটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশেও।
ট্রিপল নাইন গ্লোবাল নামের কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান এটি বাংলাদেশে আয়োজনের অনুমতি পেয়েছে। সে হিসেবে এ বছর থেকে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেলো। যার মাধ্যমে নারীর বাহ্যিক চাকচিক্যের চেয়ে বুদ্ধি-বিবেকের সৌন্দর্যকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
ট্রিপল নাইন গ্লোবাল ও অশেষ লি. এর যৌথ উদ্যোগে এই প্রতিযোগিতার রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে ২৫ জুলাই থেকে। চলবে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত। মূল প্রতিযোগিতা শুরু হবে ২২ আগস্ট থেকে, শেষ হবে ৪ অক্টোবর। রেজিস্ট্রেশন করা যাবে এই লাইনে ক্লিক করে।
মিস আর্থ বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিরেক্টর নায়লা নোমান বারী জানান, মূল আন্তর্জাতিক পর্ব শুরু হবে ২২ অক্টোবর থেকে ফিলিপাইনের ম্যানিলা শহরে। শেষ হবে ডিসেম্বরে। এদিকে করোনাকালের কারণে ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ এর এবারের কার্যক্রম হবে অনলাইনের মাধ্যমে। যার ফলে প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতা সম্পূর্ণভাবে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
আয়োজকরা জানান, যে সকল নারী অব্যবহৃত প্লাস্টিক, কাপড়, ই-ওয়েস্ট, মেটাল, পেপার ও অর্গানিক ওয়েস্ট দিয়ে আবার নতুন পণ্য তৈরি করতে পারে তারা এই প্রতিযোগিতায় বিশেষভাবে গুরুত্ব পাবেন। প্রত্যেকটি প্রতিযোগী পাচ্ছেন একটি নিশ্চিত উপহার এবং সেরা ১৬ জন বিজয়ী পাচ্ছেন আকর্ষণীয় পুরস্কার। পাশাপাশি প্রায় এক হাজার সৃজনশীল প্রতিযোগীকে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে তুলে ধরা হবে।
মিস আর্থ বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিরেক্টর নায়লা নোমান বারী বলেন, ‘‘আমরা এ সকল মেয়েদের ডাকছি ‘সুপার গার্ল’ নামে। প্রত্যেকটি পরিবারে একটি করে সুপার গার্ল আছে। যাদের সৌখিনতাই হয়ে উঠতে পারে পরিবারের দুঃসময়য়ের কাণ্ডারি। আমরা রি-ইউজ ও রি-সাইকেল পণ্য ব্যবহারে জনগণকে সচেতন করে তুলতে সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিবাচক ব্যবহার করতে চাই। পাশাপাশি পরিবেশে দূষণ রোধে এ সকল পণ্যের নতুন ক্রেতা ও বিক্রেতা তৈরিতে অবদান রাখতে চাই।’
এর প্রধান উপদেষ্টা চলচ্চিত্র নির্মাতা নোমান রবিন বলেন, ‘বছরে অন্তত দুইবার সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, গ্লোবাল প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের শুভাকাঙ্ক্ষীদের বিভিন্ন সামগ্রী উপহার হিসেবে দিয়ে থাকেন। নতুন করে প্লাস্টিক বা অন্যান্য পণ্য উৎপাদনে উৎসাহ প্রদান না করে কেন আমরা আমাদের শিক্ষিত তরুণীদের হাতের তৈরি রি-সাইকেল, রি-ইউজ পণ্য উপহার হিসেবে ব্যবহার করবো না? এতে প্রকৃতিতে জঞ্জাল কিছুটা হলেও কমবে, বাড়বে সচেতনতা, নিজের পায়ে দাঁড়াবে কিছু শিক্ষিত বিবেকবান নারী। তাই আমাদের এই উদ্যোগের সঙ্গে সকলকে একাত্ম হবার আহ্বান জানাচ্ছি।’