মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সুরের বরপুত্র আলাউদ্দীন আলী। বেলা ৪টা ১০ মিনিট নাগাদ দাফন সম্পন্ন হয়।
বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেন আলাউদ্দীন আলীর জামাতা কাজী ফায়সাল আহমেদ।
এর আগে বেলা সোয়া দুইটা থেকে ৩টা পর্যন্ত এই সুর স্রষ্টার মরদেহ নিয়ে আসা হয় চার দশকের কর্মস্থল বিএফডিসিতে। সেখানে শিল্পীদের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয় ফুলেল ভালোবাসা। এখানে তৃতীয় জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।
তারও আগে সকাল ১১টার দিকে মরদেহ বারডেমের হিমঘর থেকে নেওয়া হয় রামপুরা। এরপর বাদ জোহর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় আলাউদ্দীন আলীর আবাসস্থল খিলগাঁওয়ে। সেখানকার নূর-ই-বাগ মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, রবিবার (৯ আগস্ট) বিকাল ৫টা ৫০ মিনিট নাগাদ রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি সংগীত পরিচালক আলাউদ্দীন আলী। তার মৃত্যুর খবরে শোক নেমে আসে দেশের সংগীতাঙ্গনে।
২০১৫ সালের জুন মাসে আলাউদ্দীন আলীর শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর থেকে তিনি কয়েক দফায় বিদেশেও চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে তিনি সেভাবে আর উঠে দাঁড়াতে পারেননি। ফিরতে পারেননি স্বাভাবিক জীবনে, সংগীতে।
আলাউদ্দীন আলী বাংলাদেশের বরেণ্য সুরকার, সংগীত পরিচালক ও গীতিকার। এ পর্যন্ত ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এরমধ্যে ১৯৭৮ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত টানা তিনবার পুরস্কৃত হয়ে সংগীত পরিচালক হিসেবে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। সে রেকর্ড আজও কেউ ভাঙতে পারেনি।
ছবি: মাহমুদ মানজুর