করোনা সংক্রমণের পর একদিন আগে-পরে বাংলাদেশ ও ভারতের সিনেমা হলগুলো খুলে যাচ্ছে।
দীর্ঘ সাত মাস পর প্রেক্ষাগৃহগুলো খুললেও নতুন ছবি মুক্তি দিচ্ছে না ভারতের প্রযোজকরা। মহামারির পর শুভ সূচনা হিসেবে তারা বেছে নিয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে তৈরি ‘পি এম নরেন্দ্র মোদি’ ছবিটিকে। এই ছবিটি ১৬ অক্টোবর থেকে প্রদর্শিত হবে ভারতের প্রেক্ষাগৃহে।
অন্যদিকে বাংলাদেশের অবস্থাও প্রায় একই। প্রযোজকরা নতুন ছবি এখনই মুক্তি দিতে নারাজ। বেশিরভাগেরই ভাষ্য এমন, ‘আগে আমরা দুই-তিন সপ্তাহ পর্যালোচনা করি, দর্শক হলে ফিরুক। তারপর নতুন ছবি।’
তাই বলে ভারতের মতো বাংলাদেশেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে নির্মিত ‘হাসিনা: আ ডটারস টেল’ প্রদর্শিত হওয়ার কোনও আলাপ শোনা যায়নি সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে। উল্টো, সাত মাস পর সিনেমা হলগুলোর শুভ সূচনা হতে যাচ্ছে সমালোচিত ইউটিউবার হিরো আলমের ছবি ‘সাহসী হিরো আলম’ দিয়ে।
ভারতে আজ (১৫ অক্টোবর) থেকে হল চালু করার কথা থাকলেও মূলত আগামীকাল থেকে চলবে বেশিরভাগ প্রেক্ষাগৃহ। আর কালকেই বাংলাদেশের প্রায় ৫০টি প্রেক্ষাগৃহে আসবে ‘সাহসী হিরো আলম’।
এ ছবিটির প্রযোজক হিরো আলম নিজেই। তিনি বলেন, ‘করোনা দুর্যোগের পর ছবি মুক্তি দেওয়ার সাহস কেউ করেনি। কেউ এগিয়ে আসেনি। আমি নিজে এগিয়ে এসেছি। মুখে অনেক কথা বলা যায়, কিন্তু বাস্তবে তা করা কঠিন। অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, ক্ষতির মুখে পড়বো কিনা? আমি আপাতত সেটা ভাবছি না। ছবি মুক্তি না দিলে হল চলবে না। এটা আরও বড় ক্ষতি।’
অন্যদিকে, নতুন ছবির খোঁজ-খবর নিতে প্রযোজক সমিতিতে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, আপাতত ‘সাহসী হিরো আলম’-ই মুক্তি পাচ্ছে। দুটি নতুন ছবি মুক্তির জন্য এসেছিল। তবে তারা আবার পিছিয়ে গেছে। তাই চলতি সপ্তাহে একটি ছবিই বাংলাদেশে মুক্তি পাবে।
এদিক ভারতে মুক্তি পাওয়া ‘পি এম নরেন্দ্র মোদি’ ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিবেক ওবেরয়।
গত বছর ২৪ মে এই বায়োপিকটি মুক্তি পেয়েছিল। মূলত সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে, একজন চা বিক্রেতা হিসেবে জীবন শুরু করে কীভাবে নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেলেন। আলোচনা ও সমালোচনায় থাকা এ ছবিটি পরিচালনা করেছেন ওমাঙ্গ কুমার। মুক্তির প্রথম দিনেই প্রায় ২.৮৮ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল এটি।
গত লোকসভা নির্বাচনের আগে ছবিটির মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচনি বিধিভঙ্গের দায়ে মুক্তি আটকে গিয়েছিল ‘পি এম নরেন্দ্র মোদি’। অবশেষে ২৪ মে ২০১৯ মুক্তি পায় বায়োপিকটি।
এতে আরও অভিনয় করেছেন বোমান ইরানি, বরখা বিস্ত সেনগুপ্ত, জরিনা ওয়াহাব, দর্শন কুমার, রাজেন্দ্র গুপ্ত, অঞ্জন শ্রীবাস্তব।