X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রস্থানে আবদুল কাদের: মজনুর স্মৃতিতে বদি ভাই

বিনোদন রিপোর্ট
২৬ ডিসেম্বর ২০২০, ১৩:১৩আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২০, ১৪:৪৩

‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকে যথাক্রমে বদি, বাকের ভাই ও মজনু ৯০ দশকে বিটিভির ধারাবাহিক ‘কোথাও কেউ নেই’ দিয়ে জনপ্রিয়তা পান আবদুল কাদের ও লুৎফর রহমান জর্জ-এর। দুজনেই ছিলেন বিখ্যাত ‘বাকের ভাই’ চরিত্রের ডান ও বাম হাত। একজনের নাম বদি আরেকজন মজনু। এরমধ্যে শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বদি। শোকে পাথর মজনু তথা শক্তিমান অভিনেতা লুৎফর রহমান জর্জ। স্মৃতি থেকে বলেছেন তার প্রিয় ‘বদি ভাই’ প্রসঙ্গে-

১৯৯৩ সালে ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটক দিয়েই আমার টেলিভিশনে অভিষেক হয়। তবে থিয়েটার করার কারণে আবদুল কাদের ভাইয়ের সঙ্গে আগে থেকেই চেনা-জানা।
তখন সময়টা অন্যরকম ছিল। থিয়েটারে কেউ কাজ করলেই অন্য সব দলের সদস্যদের সঙ্গে উঠবস হতো। আবদুল কাদের ছিলেন সেই সূত্রে আমার বড় ভাই। প্রচণ্ড প্রাণশক্তিতে ভরপুর একজন মানুষ। একটা উদাহরণ দিলে আরও বোঝা যাবে। সেটা হলো সাজু খাদেম। তাকে এখন যেমন দর্শকরা খুব হাসিখুশি ও আড্ডাবাজ হিসেবে দেখতে পান, তেমনই ছিলেন কাদের ভাই। তিনি কোথাও হাজির মানে পুরো মজলিস তার কব্জায়। সারাক্ষণ মাতিয়ে রাখতেন।
‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকেও কিন্তু তার অভিনয়টা দর্শকরা বেশ উপভোগ করতেন। তিনিও উপভোগ করতেন। কারণ এই নাটকে কাদের ভাইয়ের যে ট্রেডমার্ক অভিনয়, সেটা থেকে তিনি বের হয়ে এসেছিলেন। রিহার্সালে নানারকম প্রপস ব্যবহার করতেন। যেন চরিত্রটা আরও প্রাণবন্ত হয়।
কিন্তু সেখানেও তার নানারকম হাসির কাণ্ড থাকত। একটা মজার ঘটনা বলি। শেষ পর্বে কাদের ভাই মানে বদি আমাদের (বাকের ভাই) বিরুদ্ধে সাক্ষী দেবেন। শুটিংয়ে হঠাৎ তিনি দাড়ি নিয়ে হাজির! আমি কইলাম, ‘এটা কী করলেন? মুখে দাড়ি!’
বললেন, ‘কাউরে কইয়ো না। জনগণের মাইর একটাও মাটিতে পাড়বে না। শুটিং শেষ করে মুখে দাড়ি লাগয়ে ভাগবো।’
সত্যি বলতে, তিনি প্রচণ্ড আমুদে মানুষ ছিলেন। যদি আমি চোখ বন্ধ করে কাদের ভাইকে ভাবি, তাহলে কখনও তার মলিন মুখ চোখে আসবে না। কারণ তিনি সবসময় হাসতেন।


আমার বড় ভাইয়ের জন্য সবাই দোয়া করবেন।
অনুলিখন: ওয়ালিউল বিশ্বাস

/এম/এমএম/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
পুষ্পা: আসবে তৃতীয় কিস্তি!
পুষ্পা: আসবে তৃতীয় কিস্তি!
সমুদ্র সৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
সমুদ্র সৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
যুক্তরাষ্ট্রে নোমান রবিনের ‘ছাই থেকে ফুল’
যুক্তরাষ্ট্রে নোমান রবিনের ‘ছাই থেকে ফুল’
২৪ বছর পরে আবার একসঙ্গে...
২৪ বছর পরে আবার একসঙ্গে...
সুবিধাবঞ্চিত ৪ শতাধিক বাচ্চার সঙ্গে ‘মেঘনা কন্যা’র ইফতার
সুবিধাবঞ্চিত ৪ শতাধিক বাচ্চার সঙ্গে ‘মেঘনা কন্যা’র ইফতার