X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন প্রজনন কৌশলে জন্মগ্রহণ করলো ‘তিন ব্যক্তির সন্তান’

বিদেশ ডেস্ক
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১০:৩৮আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১০:৪০
image

বিশ্বে এই প্রথম বিজ্ঞানের নতুন এক উপায় ব্যবহার করে এমন একটি শিশুর জন্ম দেওয়া হয়েছে যার জন্মের পেছনে তিনজন মানুষের ভূমিকা রয়েছে। ‘তিন ব্যক্তির প্রজনন কৌশল’-এর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা এই শিশুটির জন্ম দিয়েছেন।

চিকিৎসকের কোলে ওই নবজাতক শিশু

এই শিশুটির জন্মের পেছনে তাদের পিতা মাতা ছাড়াও আরও একজনের অবদান ছিল। নিউ সায়েন্টিস্ট সাময়িকীতে এই খবরটি প্রকাশিত হয়েছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, নবজাতক শিশুটি একটি ছেলে। তার বয়স এখন পাঁচ মাস। এই শিশুটির শরীরে স্বাভাবিকভাবেই ছিলো তার মা ও বাবার ডিএনএ। কিন্তু তারপরেও তৃতীয় আরেক ব্যক্তির কাছ থেকে ছোট্ট একটি জেনেটিক কোড নিয়ে সেটি তার শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তৃতীয় ওই ব্যক্তিটি একজন দাতা।

শিশুটির মা জর্ডানের নাগরিক। তার জিনে কিছু ত্রুটি ছিল। শিশুটি যাতে ত্রুটিমুক্ত হয়ে জন্মাতে পারে, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকরা সেটা নিশ্চিত করেছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। তারা বলছেন, যেসব পরিবারে জিনগত ত্রুটি বা সমস্যা আছে বিজ্ঞানের এই আবিষ্কার তাদেরকে সাহায্য করতে পারে।

তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এই কাজটি করার আগে বহু বিষয় পরীক্ষা করে নেওয়া খুব জরুরী।

‘মাইট্রোকন্ড্রিয়াল ডোনেশন’ নামের এই প্রক্রিয়াটি নিয়ে এখনও প্রচুর বিতর্ক হচ্ছে। তিন জন মানুষের শরীর থেকে ডিএনএ নিয়ে এই প্রথম যে কোনও শিশুর জন্ম হলো, তা কিন্তু নয়। নব্বইয়ে দশকে এই কাজটি প্রথম হয়েছে। তবে এবার যেভাবে করা হলো সেটি একেবারে নতুন এবং তাৎপর্যপূর্ণ প্রক্রিয়া।

ডিম্বাণুতে সূচ দিয়ে শুক্রাণু প্রবেশ করানো হচ্ছে

প্রত্যেক কোষের ভেতরে থাকে ছোট্ট একটি কম্পার্টমেন্ট যাকে বলা হয় মাইটোকন্ড্রিয়া। এই মাইটোকন্ড্রিয়া খাদ্য থেকে জ্বালানী তৈরি করে।

কোনও কোনও নারীর মাইটোকন্ড্রিয়ায় জিনগত ত্রুটি থাকে এবং সেটি তাদের সন্তানদের মধ্যেও ছড়িয়ে দিতে পারে। জর্ডানের ওই পরিবারটির যে ত্রুটি ছিলো তার নাম ‘লেই সিন্ড্রোম’। আর এই ত্রুটির ফলে শিশুটির মৃত্যুও হতে পারতো।

এই ত্রুটি সংশোধন করতে বিজ্ঞানীদেরকে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকদের এই দলটিকে এসব করতে যেতে হয়েছে মেক্সিকোতে, যেখানে এসব নিষিদ্ধ করতে কোনও আইন কার্যকর নেই। যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের গবেষণা আইনত নিষিদ্ধ।

এই প্রক্রিয়ায় ডাক্তাররা মায়ের ডিম্বাণু থেকে গুরুত্বপূর্ণ সব ডিএনএ সংগ্রহ করেছেন। একই সঙ্গে দাতার ডিম্বাণু থেকেও স্বাস্থ্যকর মাইটোকন্ড্রিয়া সংগ্রহ করা হয়। তারপর এই দুটোকে নিষিক্ত করা হয় পিতার শুক্রাণুতে। তারপর শিশুটির জন্ম হয়েছে। ডাক্তাররা বলছেন, শিশুটি সুস্থ আছে। এবং এখনও পর্যন্ত তার শরীরে কোনও ত্রুটি ধরা পড়েনি।

সৌজন্যে: বিবিসি বাংলা।

/এসএ/

সম্পর্কিত
মিসরে চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনা, গাজায় বোমা ফেলছে ইসরায়েল
দ্বিতীয় সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ, আটক ২ সহস্রাধিক
মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা নীতিগত সিদ্ধান্ত, আইনি নয়: কাদের
সর্বশেষ খবর
সুন্দরবনে আগুন ছড়ানো রুখতে দেওয়া হয়েছে বেরিকেট
সুন্দরবনে আগুন ছড়ানো রুখতে দেওয়া হয়েছে বেরিকেট
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
ন্যাশনাল ব্যাংকে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন, নিয়োগ পেলেন ১০ জন 
ন্যাশনাল ব্যাংকে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন, নিয়োগ পেলেন ১০ জন 
সর্বাধিক পঠিত
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
সব জেনেও পুলিশকে কিছু জানাননি মিল্টনের স্ত্রী
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবি হারুনসব জেনেও পুলিশকে কিছু জানাননি মিল্টনের স্ত্রী