X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রিন হাউজ গ্যাসের ব্যবহার কমাতে জলবায়ু চুক্তি সম্পন্ন

বিদেশ ডেস্ক
১৫ অক্টোবর ২০১৬, ১২:৫০আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০১৬, ১৩:০৮

গ্রিন হাউজ গ্যাসের ব্যবহার কমাতে জলবায়ু চুক্তি সম্পন্ন

জলবায়ু পরিবর্তনের গতি ধীর করতে বিশ্বজুড়ে গ্রিন হাউজ গ্যাসের ব্যবহার কমানোর জন্য জাতিসংঘের উদ্যোগে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ব্যপক প্রভাবশালী হাইড্রোফ্লুরোকার্বন গ্যাসের ব্যবহার রোধে ১৫০টিরও বেশি রাষ্ট্র এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।একে জলবায়ু পরিবর্তনের গতি শ্লথ করতে এক ‘মাইলফলক’ বা ‘স্মরনীয়’ চুক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

হাইড্রোফ্লুরোকার্বন গ্যাসগুলো গ্রিন হাউজ গ্যাস নামেও পরিচিত। এই জাতীয় গ্যাস কার্বনডাইঅক্সাইডের মতো গ্যাসের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি তাপ ধারণ করে ও পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলকে দ্রুত উত্তপ্ত করে তোলে। রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, এরোসল ইত্যাদিতে এই গ্যাস ব্যবহৃত হয়।

জাতিসংঘের মহাপরিচালক জন কেরি এই চুক্তি বিষয়ে আলোচনা করতে রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালি পৌঁছেন গত বৃহস্পতিবার। শুক্রবার পর্যন্ত চলমান আলোচনা শেষে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এ প্রসঙ্গে জন কেরি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের গতি ধীর করতে এ এক স্মরণীয় পদক্ষেপ। এই চুক্তির ফলে আমরা পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি আধ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত কমিয়ে ফেলতে সমর্থ হবো।’

এই চুক্তি অনুযায়ী ধনী দেশগুলোকে এই গ্যাসের ব্যবহার কমাতে তুলনামূলকভাবে কম সময় ও দরিদ্র দেশগুলোকে বেশি সময় দেওয়া হয়।

এই চুক্তিতে অপেক্ষাকৃত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রগুলোকে এইচএফসি গ্যাসের ব্যবহার ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনতে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এই রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র।

অন্যান্য উন্নত রাষ্ট্রগুলোর জন্য এই সময় ২০২৪ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। এই তালিকায় রয়েছে চীন ও ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলো।

এ ছাড়া ভারত, পাকিস্তান, ইরান, ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু রাষ্ট্রকে ২০২৮ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি এইচএফসি উৎপাদনকারী রাষ্ট্র হচ্ছে চীন। তবে ২০১৯ সালের আগে চীন তাদের এইচএফসি উৎপাদন বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে না।

উল্লেখ্য, এই আলোচনাটি ১৯৮৭ সালের মন্ট্রিয়ল প্রটোকলেরই অংশ। ওই প্রটোকলে বায়ুমণ্ডলের উপরিতলের ওজন স্তর রক্ষা করতে ক্লোরফ্লোর কার্বন গ্যাস ব্যবহার কমানোর কথা বলা হয়েছিলো। কেননা এই গ্যাসগুলো ওজন স্তরের মুক্ত অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে ও তাতে ওজন স্তর পাতলা হয়ে যায়। এতে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি পৃথিবীতে আসতে পারে যা মানুষের ত্বক ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।    

সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স 

/ইউআর/

            

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সিরি আ’য় এবারই প্রথম এক ম্যাচে সব নারী রেফারি
সিরি আ’য় এবারই প্রথম এক ম্যাচে সব নারী রেফারি
ফেরিঘাটে টেম্পুর ধাক্কায় কলেজশিক্ষার্থী নিহত
ফেরিঘাটে টেম্পুর ধাক্কায় কলেজশিক্ষার্থী নিহত
পাকিস্তানে উপ-প্রধানমন্ত্রী হলেন ইসহাক দার, পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ পিটিআইয়ের
পাকিস্তানে উপ-প্রধানমন্ত্রী হলেন ইসহাক দার, পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ পিটিআইয়ের
দুই দফা অভিযানেও খোঁজ মেলেনি শিশুটির
দুই দফা অভিযানেও খোঁজ মেলেনি শিশুটির
সর্বাধিক পঠিত
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ