X
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের পক্ষেই রায় পার্লামেন্টের

বিদেশ ডেস্ক
০৯ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৪:০২আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৪:২৫
image

পার্ক জিউন হাই দুর্নীতিজনিত কেলেঙ্কারিকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন হাইকে অভিশংসিত করার পক্ষে রায় দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে এ রায় আসে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পেতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। অর্থাৎ ৯ বিচারক বিশিষ্ট সাংবিধানিক আদালতই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে। পার্ক চূড়ান্তভাবে অভিশংসিত হবেন কি হবেন না সে সিদ্ধান্ত জানাতে ছয় মাস সময় পাবেন তারা। আর সে পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত থাকবেন পার্ক। 
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার অনুষ্ঠিত পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে ২৩৪ জন পার্ককে অভিশংসিত করার পক্ষে ভোট দেয়। আর বিপক্ষে ভোট দেয় ৫৬ জন। এর মানে হলো পার্কের দল সায়েনুরি পার্টির কিছু সদস্যও তাকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছে। পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের বিল পাশ করতে দুই তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৩০০ সদস্যের পার্লামেন্টে ২০০ জনের সমর্থন দরকার ছিল। পার্লামেন্টে তিন বিরোধীদলের ১৭২ জন সদস্য রয়েছেন। অর্থাৎ,অভিশংসনের জন্য বিরোধীদের ভোট ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের ২৮ জনের সমর্থন দরকার ছিল। এর মানে হলো পার্কের দল সায়েনুরি পার্টির কিছু সদস্যও তাকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে এটি এক বিরল ঘটনা। এর আগে ২০০৪ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট রো মো-হিউনকে পদ থেকে সরানোর জন্য অভিশংসন বিল আনা হয়েছিল। 
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন পার্ক। তার আরও ১৫ মাস মেয়াদ আছে। তবে দায়িত্বগ্রহণের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠে। পার্কের বিরুদ্ধে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ,তিনি তার বন্ধুকে অবৈধভাবে ক্ষমতার নেপথ্যে থেকে দুর্নীতি করার সুযোগ করে দেন। পার্ক জিউন-হাইয়ের বন্ধু চোই সুন-সিল প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্পর্কের সুবাদে অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদানের নামে ৬৫.৫ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেন। এর মধ্যে স্যামসাং এবং হুন্দাই-এর মতো কোম্পানিও রয়েছে। ওই অর্থ সন্দেহভাজন একটি ফাউন্ডেশনের নামে নেওয়া হয়। পরে তিনি সেখান থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হন।

পার্ক জিউনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বন্ধুকে ওই অর্থ তুলতে সাহায্য করেন। তিনি চোই সুন-সিলকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমতি দিয়েছিলেন। প্রতারণা, বলপ্রয়োগ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে চোই সুন-সিলকে চলতি মাসের গোড়ার দিকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া গোপন রাষ্ট্রীয় নথি প্রকাশের অভিযোগে প্রেসিডেন্টের অপর এক সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়।


/এফইউ/

 

সম্পর্কিত
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট শুরু
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
সর্বশেষ খবর
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ড সদস্য হলেন কাজী নাবিল আহমেদ ও সেলিম মাহমুদ
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ড সদস্য হলেন কাজী নাবিল আহমেদ ও সেলিম মাহমুদ
ফুরফুরে মেজাজে পান্নু
ফুরফুরে মেজাজে পান্নু
টোল আদায়ে দেড় হাজার কোটির মাইলফলকে পদ্মা সেতু
টোল আদায়ে দেড় হাজার কোটির মাইলফলকে পদ্মা সেতু
যে সাফল্যে নতুন ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশের মাসফিয়া আফরিন 
যে সাফল্যে নতুন ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশের মাসফিয়া আফরিন 
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
তাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
প্রাক-প্রাথমিক বন্ধই থাকছেতাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু