X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২১ বৈশাখ ১৪৩১

মার্কিন বাজেটের বৈদেশিক সহায়তা কমায় বিশ্বজুড়ে অস্থিতিশীলতার আশঙ্কা

বিদেশ ডেস্ক
১৭ মার্চ ২০১৭, ০৪:৪৪আপডেট : ১৭ মার্চ ২০১৭, ১৪:৪৪
image

মার্কিন বাজেটের বৈদেশিক সহায়তা কমায় বিশ্বজুড়ে অস্থিতিশীলতার আশঙ্কা

যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা খাতে ২৮ শতাংশ বাজেট কমানোর প্রস্তাব দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই বাজেট হ্রাসে জাতিসংঘ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কাজ করা সংস্থাগুলিতে মার্কিন সহায়তা কমে যাবে। এই প্রস্তাবনাটি শুরু হবে ১ অক্টোবর। পররাষ্ট্র দফতর ও ইউএসএআইডিতে ২৮ শতাংশ বাজেট কমবে দেশটির।

ট্রাম্পের বাজেট পরিচালক মিক মালভ্যানে বলেন, ‘এটি শক্তিশালী ক্ষমতা, নরম বা দুর্বল নয়। বাজেটও সেরকম। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামরিক খাতকে শক্তিশালী করতে চান।’  

তবে জাতিসংঘে হঠাৎ করে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তা কমে গেলে বিশ্বে অস্থিরতা আরও বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুয়েতেরেজ। বৃহস্পতিবার তার ‍মুখপাত্র স্টেফেনি দুজারিক বলেন, ‘আর্থিক সহায়তা কমে গেলে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে।’ তিনি বলেন, ‘মহাসচিব সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের প্রয়োজনীয়তা বোঝেন এবং বিশ্বাস করেন সামরিক খাতে ব্যয় বাড়ানো প্রয়োজন। তবে এর চেয়েও বেশি প্রয়োজনীয় খাত রয়েছে।’

এছাড়া ফ্রান্সের জাতিসংঘ দূত ফ্রাসোয়া দেলার্তে বলেন, `এই মুহূর্তেই জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী ভূমিকা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে পেছনে সরে যাওয়ায় বৈশ্বিক নীতিতে পরিবর্তন আসবে। আর ইতিহাস বলছে এই সময়েই সবচেয়ে বেশি অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়।' মার্কিন প্রেসিডেন্ট কূটনীতি ও বিদেশি সহায়তায় ২৮ শতাংশ বাজেট কমানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। এতে করে জাতিসংঘ ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তা কমে যাবে। শান্তিরক্ষা মিশনেও বরাদ্দ কমবে ২৫ শতাংশ।

তবে জাতিসংঘের মার্কিন দূত নিক্কি হেলি এক বিবৃতিতে দাবি করেন, ‘অনেক ক্ষেত্রেই জাতিসংঘ প্রয়োজনের বেশি অর্থ ব্যয় করে। আর এই বোঝা সবচেয়ে বেশি পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের উপর।’  

জাতিসংঘে সবচেয়ে বেশি আর্থিক সহায়তা প্রদান করে যুক্তরাষ্ট্র। মোট বাজেটের ২২ শতাংশ এবং শান্তিরক্ষা মিশনের ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র, টাকার অংকে যা দাঁড়ায় যথাক্রমে ৫৪০ কোটি ডলার ও ৭৯০ কোটি ডলার। হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের বাজেট ৫ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বাড়াতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন। আগের বছরের তুলনায় এটা ১০ শতাংশ বেশি।

২০১৮ অর্থবছরের জন্য ট্রাম্পের প্রস্তাবিত বাজেট কার্যকর হবে চলতি বছরের ১ অক্টোবর থেকে। তবে এর আগে কংগ্রেসে বাজেট আলোচনায় চাপের মুখে পড়তে হবে ট্রাম্প প্রশাসনকে। বিশেষ করে সামাজিক বিভিন্ন কর্মসূচির ব্যয় সংকোচনে ট্রাম্প প্রশাসনকে আইনপ্রণেতাদের ব্যাপক বিরোধিতার মুখে পড়তে হতে পারে।

সামরিক ব্যয় বাড়াতে বিভিন্ন খাতে ৯ থেকে ২৯ ভাগ পর্যন্ত ব্যয় সংকোচনের প্রস্তাব করা হয়েছে। সুনির্দিষ্টভাবে স্বতন্ত্র ১৯টি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার বাজেট সংকোচনের কথা বলা হয়েছে। এই বাজেট সংকোচনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা যাবে পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা (ইপিএ) এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর।

প্রস্তাবিত বাজেটে পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার ব্যয় ৩১ শতাংশেরও বেশি কমাতে কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। সংস্থাটির বাজেট ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার করার কথা বলেছেন তিনি। পররাষ্ট্র দফতরের ব্যয় ২৮ শতাংশ কমিয়ে ১০ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার করার প্রস্তাব করা হয়েছে

সূত্র : রয়টার্স

/এমএইচ/বিএ/

সম্পর্কিত
‘সরকারকে যারা চাপ দেবে তারা নিজেরাই যথেষ্ট চাপে রয়েছে’
যুক্তরাষ্ট্রের ‘নেসা সেন্টার’ প্রতিনিধি দলের ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন
বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ নিয়ে মুখ খুললেন বাইডেন
সর্বশেষ খবর
একই উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী মা-ছেলে ও নাতি
একই উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী মা-ছেলে ও নাতি
আজকের আবহাওয়া: ঢাকাসহ ৬ বিভাগে ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
আজকের আবহাওয়া: ঢাকাসহ ৬ বিভাগে ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
যশের ছবিটি ছেড়ে দিলেন কারিনা!
যশের ছবিটি ছেড়ে দিলেন কারিনা!
গাম্বিয়ার কৃষি খাতে বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানির বিষয়ে আলোচনা
গাম্বিয়ার কৃষি খাতে বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানির বিষয়ে আলোচনা
সর্বাধিক পঠিত
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের এখন কী হবে
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের এখন কী হবে