X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

নিজের সঙ্গেই সামরিক প্রতিযোগিতায় নেমেছে যুক্তরাষ্ট্র!

মাহাদী হাসান
২১ মার্চ ২০১৭, ১৮:৫৫আপডেট : ২৩ মার্চ ২০১৭, ০৬:৫৫
image

নিজের সঙ্গেই সামরিক প্রতিযোগিতায় নেমেছে যুক্তরাষ্ট্র!
ঐতিহাসিক শপথ অনুষ্ঠানেই ‘র‍্যাডিক্যাল ইসলামি সন্ত্রাসবাদ’কে সমূলে উৎপাটনের আহ্বান জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে (সিপিএসি) দেওয়া বক্তৃতায় সুনির্দিষ্টভাবে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)-কে ‘পৃথিবীর সবথেকে বড় শত্রু’ উল্লেখ করে তাদের নির্মূল করার প্রতিশ্রিুতি দেন তিনি। ১৭ মার্চ সামরিক খাতের বরাদ্দ ১০ শতাংশ বাড়িয়ে পরবর্তী বছরের সেই বাজেট প্রস্তাব করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। বিপরীতে বৈদেশিক মানবিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন সেবা খাতে কমিয়ে দেন বরাদ্দ। ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির ধারাবাহিকতা উল্লেখ করে দুই রাজনীতি বিশ্লেষক বলছেন, বাস্তবে মার্কিনিরা তেমন কোনও নিরাপত্তা-হুমকিতে নেই। জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে যুক্তরাষ্ট্র এবার নিজের সঙ্গেই সামরিক প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। ট্রাম্পের নেতৃত্বে বিশ্বে পরমাণু হুমকি আরও জোরালো হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে তাদের।

২০ জানুয়ারির শপথ অনুষ্ঠানে ট্রাম্প পূর্বসুরীদের ধারাবাহিকতা ভেঙে সরাসরি ইসলাম ও মুসলমান পরিচয় নির্দিষ্ট করে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। বলেন, “দেশ থেকে ‘ইসলামি মৌলবাদী সন্ত্রাসবাদ’ সমূলে উৎপাটিত করা হবে। যারা আমাদের ক্ষতি করবে তাদের আমরা দেশছাড়া করব, জাতির সুরক্ষার জন্য আমরা নতুন পদক্ষেপ নেব'। তবে সেই নতুন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। দেখা গেছে পুরনো বুশ যুগের প্রতিধ্বনি, সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির ধারাবাহিক পদক্ষেপ।

 

উল্লেখ্য, একুশ শতকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক খাতে ব্যয় বৃদ্ধির পরিসংখ্যানে নজর ফেললে দেখা যায়, বিল ক্লিনটনের সময় সামরিক বাজেট ৩০২ বিলিয়ন থেকে ৩১৩ বিলিয়নে পৌঁছায়। জর্জ বুশের সময় এই বাজেট ৩৫৭ বিলিয়ন থেকে হয় ৪৬৫ বিলিয়ন ডলার। ২০০৮ সালে এটি বেড়ে দাঁড়ায় ৬২১ বিলিয়ন ডলার। বরাবরই যুদ্ধের বিপক্ষে কথা বলা বারাক ওবামার সময় এই বাজেট ২০১১ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৭১১ বিলিয়ন ডলারে। তবে পরে অবশ্য এটা কমে ৫৯৬ বিলিয়র ডলারে নামিয়ে আনতে সমর্থ হয় তার প্রশাসন। এবার ট্রাম্প প্রস্তাব করেছেন ২০১৮ সালে সামরিক বাজেট হবে ৬৫০ বিলিয়ন ডলার। তার সামরিক বাজেট ওবামার চেয়ে ৩০ বিলিয়ন ডলার বেশি।

সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিসির ফেলো এবং সিআইএর সাবেক বিশ্লেষক মেলভিন গুডম্যান মনে করেন, ট্রাম্প প্রস্তাবিত বাজেটটি সামরিকতার জাতীয় নিরাপত্তা রীতির বিকশিত ধাপ। স্টিভ ব্যাননের ভাষায় যা ‘প্রশাসনিক অবস্থার বিনির্মাণ’।

এদিকে বার্মিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক জেমস পেট্রাস ২১ শতকের দুই দশকে মার্কিন সামরিকতার এই বিস্তৃতিকে বলছেন ‘অভূতপূর্ব’। ‘ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান যে দলের প্রেসিডেন্টই ক্ষমতায় থাক, সামরিক খাত সবসময়ই বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। ট্রাম্পের ক্ষেত্রে মিডিয়া সামরিকতা বিস্তারের প্রসঙ্গ এমনভাবে ফলাও করছে যে বারাক ওবামা, জর্জ বুশ কিংবা বিল ক্লিনটনের সামরিকতা বিস্তৃতির প্রয়াস ঢাকা পড়ে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘‌‌‌‌বিগত ১৮ বছরে যদি সামরিকতাকে বিশ্লেষণ করা হয় তবে একটা বিষয়ই সামনে আসবে। তা হলো মার্কিন সাম্রাজ্যবাদে সামরিকতা সবসময়েই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’

নিজের সঙ্গেই সামরিক প্রতিযোগিতায় নেমেছে যুক্তরাষ্ট্র!

২৭ জানুয়ারি মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগনে গিয়ে সামরিক খাত পুনর্গঠনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের আদেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ওই আদেশের খসড়া হাতে পেয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছিল, পেন্টাগনকে আইএসসহ অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীর মোকাবেলা এবং নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর সঙ্গে যুদ্ধের সম্ভাব্য ফলাফল যাচাই করে সামরিক বাজেটের একটা ধারণা দিতে বলা হয় ওই আদেশে। যাচাইকৃত সম্ভাব্যতার নিরিখে ২০১৭ সালের বাকী দিনগুলো এবং পরবর্তী ২০১৮ সালের জন্য সামরিক পরিকল্পনা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরে কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি উল্লেখ করে, আবারও মুসলিম মিত্রদের নিয়ে ইসলামিক স্টেট (আইএস) নির্মূলের পরিকল্পনার কথা জানান ট্রাম্প।

তবে জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকির কথা মানতে নারাজ গুডম্যান। তিনি বলেন, ‘প্রতিরক্ষা খাতের খরচ অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির উপর নির্ভর করে করা উচিত। কিন্তু এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের সেরকম কোনও হুমকি নেই। যদি এই বাজেট কার্যকর হয়ে যায় তবে ট্রাম্প প্রশাসনকে এটা স্বীকার করতেই হবে যে যুক্তরাষ্ট্রই এখন একমাত্র দেশ যারা বিশ্বের যেকোনও স্থানে আকাশ বা নৌপথে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে।’ গুডম্যানের মতে, রাশিয়ার নৌবাহিনীর ক্ষমতা সীমাবদ্ধ। চীনের নৌবাহিনীও আঞ্চলিকভাবে ক্ষমতাধর, বৈশ্বিক নয়। এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীকে মোকাবেলা করার মতোও কোনো বাহিনী নেই। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সেনাঘাঁটিও যুক্তরাষ্ট্রেরেই রয়েছে বলে দাবি করেন গুডম্যান। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো আর কোনও দেশই এতটা সামরিক ক্ষমতা প্রয়োগ করেনি। তবে বাস্তবতা হল গবেষণা, অবকাঠামো, অপরাশেন্স, ব্যবস্থাপনাসহ পেন্টাগনের বাজেটের প্রত্যেকটি বিষয়ের ক্ষেত্রেই খরচ কমানো সম্ভব।

জাতীয় নিরাপত্তা যে কেবলই অজুহাত, তার প্রমাণ মেলে সিএটিও ইনস্টিটিউটের তথ্যেও। তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা সাতটি দেশের একজন নাগরিকও গত ৪০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে কাউকে হত্যা করেনি। অতীত ইতিহাসে দৃষ্টি ফেলে দেখা যায়, গণবিধ্বংসী অস্ত্রের মিথ্যে অজুহাতে দখল করা হয়েছিল ইরাক। চিলকট রিপোর্টেও যার প্রমাণ মিলেছে। সৌদি নাগরিকদের হামলায় কেঁপে ওঠা টুইন টাওয়ার হামলার দায় পরিশোধ করতে হয়েছিল আফগানিস্তানকে, কেবল বিন লাদেন তাদের দেশে ছিল; এমন অজুহাতে। সব ক্ষেত্রেই জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাত তোলা হতো।  

নিজের সঙ্গেই সামরিক প্রতিযোগিতায় নেমেছে যুক্তরাষ্ট্র!

গত শতকের নব্বই এর দশকে অবসান হয় কয়েক দশকের সামরিকতার দম্ভ প্রকাশে চলা রুশ-মার্কিন শীতল যুদ্ধ। পরমাণু অস্ত্রের বিস্তার বোধে কখন এসটিএআরটি (স্ট্রাটেজিক আর্মস রিডাকশন ট্রিটি) -স্টার্ট নামে একটি চুক্তি হয়। আর এবারের চুক্তিটাকে বলা হচ্ছে নতুন স্টার্ট চুক্তি৷ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে ১৯৯১ সালে চুক্তিটি প্রথম স্বাক্ষরিত হয়েছিল৷ বিশ্বে যত পরমাণু অস্ত্র রয়েছে তার প্রায় ৯০ শতাংশই আছে এই দুটি দেশের কাছে৷

তবে সম্প্রতি রুশ-মার্কিন সামরিক বিস্তৃতি রোধের স্টার্ট চুক্তির ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এতে করে ট্রাম্পের নেতৃত্বে বিশ্বে পারমাণবিক বিস্তৃতির আকাঙ্ক্ষা জোরালো হওয়ার আশঙ্কাও প্রবল হচ্ছে। ফেব্রুয়ারিতে স্টার্ট চুক্তির ব্যাপারে পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। রাশিয়া এই চুক্তির আওতায় পারমাণবিক অস্ত্র কমাতে চাইলেও ট্রাম্প রাজি হননি। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই সংখ্যা কামাতে চাইলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প বাড়ানোর পক্ষে।

সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিসির ফেলো এবং হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেলভিন গুডম্যান মনে করেন, নিশ্চিতভাবেই সেখানে অপ্রয়োজনীয়ভাবে পারমাণবিক শক্তি বাড়ানো হবে। অথচ এটা কমানো সম্ভব বলে মত দেন সিআইএর সাবেক এই বিশ্লেষক।

ব্রিটেন, ফ্রান্স, ভারত, পাকিস্তান, চীন ও ইসরায়েলেল মতো বিশ্বের অন্যান্য পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোও মনে করে ২০০-৩০০ পারমাণবিক অস্ত্র যথেষ্ট। কয়েকবছর আগে মার্কিন বিমানবাহিনীর দুই কর্মকর্তা একটি লেখায় বলেন, ৩৩১টি পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিরক্ষার জন্য যথেষ্ট, অথচ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কাছে হাজার হাজার পারমাণবিক অস্ত্র আছে।

জেমস প্যাট্রিস মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্র এই মুহূর্তে দুই সাম্রাজ্যবাদী শক্তির মুখোমুখি অবস্থান দেখছে। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের মূলে প্রতিষ্ঠিত সামরিকতা। এর মাঝেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ১৭টি গোয়েন্দা সংস্থা। আছে বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী। একইসঙ্গে এলিট শ্রেণী ও পুঁজিবাদী নেতারা যারা সুবিধাভোগ করে থাকেন তারাও এই সাম্রাজ্যবাদের অংশ। অন্যদিকে ট্রাম্প একটি বিকল্পধারার সাম্রাজ্যবাদ তৈরি করতে যাচ্ছেন। সামরিক শক্তি দিয়ে তিনি ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক বাজার দখল করতে চান। ট্রাম্প জানেন, ইউরোপের বাজার থেকে রাশিয়াকে আলাদা করা যাবেনা। তাই তিনি বৈশ্বিক একটি পরিকল্পনা নিয়েছেন যার দ্বারা উপকৃত হবে মার্কিন ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান।

আইজেনআওয়ারের বিখ্যাত উক্তি, ‘সামরিক বাজেট বাড়ানোয় ‘মানবতা লোহার শিকে ঝুলছে’। সেই উক্তির প্রসঙ্গ টেনে আইজেনআওয়ার বলেন, ‘উত্তর আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ায় মার্কিন সামরিক আগ্রাসনে একটা বিষয় নিশ্চিত। এই মুহূর্তে সামরিক বাজেট কমিয়ে একটি বাস্তবসম্মত বাজেট তৈরি করা প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো আগে দেখা উচিত। সামরিক খাতে যুক্তরাষ্ট্র নিজের সঙ্গেই প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এটা থামানো প্রয়োজন।’

/বিএ/

সম্পর্কিত
মিসরে চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনা, গাজায় বোমা ফেলছে ইসরায়েল
দ্বিতীয় সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ, আটক ২ সহস্রাধিক
মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা নীতিগত সিদ্ধান্ত, আইনি নয়: কাদের
সর্বশেষ খবর
নারায়ণগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ, আহত ৩
নারায়ণগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ, আহত ৩
সুন্দরবনে আগুন ছড়ানো রুখতে দেওয়া হয়েছে বেরিকেট
সুন্দরবনে আগুন ছড়ানো রুখতে দেওয়া হয়েছে বেরিকেট
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
সর্বাধিক পঠিত
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
সব জেনেও পুলিশকে কিছু জানাননি মিল্টনের স্ত্রী
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবি হারুনসব জেনেও পুলিশকে কিছু জানাননি মিল্টনের স্ত্রী