X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

মুসলিম নিষেধাজ্ঞাবিরোধী মামলা: বৈষম্য আর ট্রাম্পের ক্ষমতা প্রশ্নে যুক্তি-তর্ক

বিদেশ ডেস্ক
১৬ মে ২০১৭, ১৭:৩৬আপডেট : ১৬ মে ২০১৭, ১৭:৫৪
image

আদারত প্রাঙ্গণে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ
ছয়টি মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনজীবীর কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন মার্কিন আপিল কোর্টের বিচারপতিরা। সোমবার (১৫ মে) এক শুনানিতে বিচারপতিরা ট্রাম্পের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, প্রেসিডেন্ট আরোপিত ওই নিষেধাজ্ঞাটি মুসলিমদের জন্য বৈষম্যপূর্ণ কিনা। নিজের ক্ষমতা ব্যবহার করে এ নীতি প্রতিষ্ঠায় কেন ট্রাম্পকে আদালতের বাধা দেওয়া উচিত নয় তারও ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।

হাওয়াই অঙ্গরাজ্য কর্তৃপক্ষ ও নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সংগঠনগুলোসহ মুসলিম নিষেধাজ্ঞার বিরোধীদের অভিযোগ, ট্রাম্পের প্রথম আদেশ ও সংশোধিত আদেশ দুটিই মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যপূর্ণ। তবে মার্কিন সরকারের দাবি, ছয়টি মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করে ট্রাম্পের দেওয়া ওই আদেশে নির্দিষ্ট কোনও ধর্মের কথা উল্লেখ করা হয়নি। হামলা থেকে দেশের সুরক্ষার জন্য এ আদেশের প্রয়োজন রয়েছে বলেও দাবি তাদের।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, নাইনথ ইউএস সার্কিট কোর্ট অব আপিলসের তিন বিচারপতিবিশিষ্ট প্যানেলটি ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা পর্যালোচনার জন্য এক সপ্তাহে গঠিত দ্বিতীয় আদালত। শুনানি চলার সময় মার্কিন বিচার বিভাগকে লক্ষ্য করে নাইনথ সার্কিট জজ রিচার্ড পায়েজ বলেন, নির্বাচনি প্রচারণার সময় ট্রাম্প অনেকগুলো মুসলিমবিরোধী বক্তব্য দিয়েছিলেন। সেগুলোকে এখন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত পর্যালোচনার অন্তর্ভূক্ত করা হবে কিনা তা জানতে চান।

ট্রাম্পের মুসলিম নিষেধাজ্ঞাবিরোধী হাওয়াইয়ের এক অ্যাটর্নি বলেন,  নির্বাচনি প্রচারণাকালীন বক্তব্যগুলোর বাইরেও ট্রাম্পের মুসলিমবিরোধী অবস্থানের প্রমাণ আছে। তিনি বলেন, ‘গত ৫০ বছরে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এভাবে গণহারে কাউকে বর্জন করেনি। এটা নতুন এবং অস্বাভাবিক। এর মধ্য দিয়ে আপনারা দাবি করতে চাইছেন, একটি শ্রেণীভুক্ত জনগোষ্ঠীর কেউ বিপজ্জনক হলে তাদের সবাইকে নিষিদ্ধ করতে হবে।’  

তবে বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই ট্রাম্প ওই আদেশ দিয়েছেন।

ক্ষমতা গ্রহণের পরই ২৭ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে এক নির্বাহী আদেশে সাত মুসলিম-প্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র সফরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশগুলো হলো- ইরাক, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেন।যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসবাদীদের প্রবেশ বন্ধের যুক্তি দেখিয়ে ওই আদেশ দেন ট্রাম্প। কিন্তু সমালোচকরা একে বৈষম্য বলে আখ্যায়িত করেন। নোবেল বিজয়ী শিক্ষা অধিকারকর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতা,বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ট্রাম্পের এ নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেন।

 পরে সিয়াটলের একজন বিচারক ট্রাম্পের ওই নিষেধাজ্ঞা স্থগিতের আদেশ দেন। ট্রাম্প প্রশাসন ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলেও সান-ফ্রান্সিসকোভিত্তিক তিন বিচারকের প্যানেল তা খারিজ করেন।

এরপর সাত মুসলিম-প্রধান দেশের নাগরিকদের ওপর স্থগিত হয়ে যাওয়া নিষেধাজ্ঞা সংশোধন করে ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। নতুন জারি করা নিষেধাজ্ঞায় আগের তালিকায় থাকা ইরাককে বাদ দেওয়া হয়। তবে অপর ছয়টি দেশের নাগরিকদের জন্য নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হয়।

/এফইউ/

 

সম্পর্কিত
ইসরায়েলকে অস্ত্রের চালান দেওয়া স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র?
মিসরে চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনা, গাজায় বোমা ফেলছে ইসরায়েল
দ্বিতীয় সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ, আটক ২ সহস্রাধিক
সর্বশেষ খবর
খুলনায় আড়াই ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা
খুলনায় আড়াই ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা
রৌমারীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর প্রতিপক্ষের হামলা
রৌমারীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর প্রতিপক্ষের হামলা
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস