X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাশিয়ার ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণে’ গাজা পরিস্থিতি

বিদেশ ডেস্ক
১৫ মে ২০১৮, ১৮:৩৮আপডেট : ১৫ মে ২০১৮, ২০:৩৯

ইসরায়েল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সহিংসতা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে রাশিয়া। মঙ্গলবার দেশটির কর্তৃপক্ষ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি বিনষ্ট হয় এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকতে সবাইকে, বিশেষ করে মধ্যস্থতাকারী ও সরাসরি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে আহ্বান জানায়। সোমবার গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর মঙ্গলবার এই আহ্বান জানায় তারা।

রাশিয়ার ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণে’ গাজা পরিস্থিতি

ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করে ১৯৪৮ সালের ১৫ মে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসরায়েল নামের রাষ্ট্র। ১৯৭৬ সালের ৩০ মার্চ ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ইহুদি বসতি নির্মাণের প্রতিবাদ করায় ছয় ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়। পরের বছর থেকেই ৩০ মার্চ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত পরবর্তী ছয় সপ্তাহকে ভূমি দিবস হিসেবে পালন করে আসছেন ফিলিস্তিনিরা। কর্মসূচির শেষ দিনটিকে ফিলিস্তিনিরা ‘নাকবা’ বা বিপর্যয় দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। গ্রেট রিটার্ন মার্চ খ্যাত এবারের কর্মসূচিতে সোমবারের আগ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৪ জন ফিলিস্তিনি। আর সোমবার একদিনেই নিহত হয়েছেন আরও ৫৯ জন।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কোভ বলেন, ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার ঘটনায় রাশিয়া খুবই উদ্বিগ্ন। তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

গত বছরের ৬ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের একক রাজধানীর স্বীকৃতি দেন। ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেমে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতির কথাও জানান তিনি। এই নিয়ে বিশ্বজুড়ে তুমুল নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ট্রাম্পের ওই বিতর্কিত ঘোষণার পরপরই বিক্ষোভ করতে রাস্তায় নেমে আসেন মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিরা। এ নিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভোট হলে মার্কিন স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যানের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১২৮টি দেশ। বিপরীতে ট্রাম্পের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় মাত্র ৯টি দেশ। বিশ্বজুড়ে নিন্দা আর তুমুল প্রতিবাদের মধ্যেও দূতাবাস স্থানান্তরের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে যুক্তরাষ্ট্র। তারই ধারাবাহিকতায় জেরুজালেমে দূতাবাস খোলে যুক্তরাষ্ট্র।

২০০২ সাল থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ। কিন্তু এখনও কাঙ্ক্ষিত শান্তি আসেনি।

/এমএইচ/চেক-এমওএফ/
সম্পর্কিত
চুক্তি হোক বা না হোক রাফাহতে ইসরায়েলি অভিযান চলবে: নেতানিয়াহু
হামাসকে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে নেওয়ার আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
গাজায় যুদ্ধবিরতি নাকি রাফাহতে হামলারাজনৈতিক সংশয়ের মুখোমুখি নেতানিয়াহু
সর্বশেষ খবর
আপাতত মেনশন নয়, আপিল বিভাগে সিরিয়াল অনুযায়ী চলবে মামলার শুনানি
আপাতত মেনশন নয়, আপিল বিভাগে সিরিয়াল অনুযায়ী চলবে মামলার শুনানি
ধূসর ছবির ঝকঝকে প্রিন্ট!
ধূসর ছবির ঝকঝকে প্রিন্ট!
এবার যুক্তরাষ্ট্রের সুপার গ্র্যান্ডমাস্টারের সঙ্গে ড্র করে ফাহাদের চমক
এবার যুক্তরাষ্ট্রের সুপার গ্র্যান্ডমাস্টারের সঙ্গে ড্র করে ফাহাদের চমক
আমান উল্লাহ আমানকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিলেন আপিল বিভাগ
আমান উল্লাহ আমানকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিলেন আপিল বিভাগ
সর্বাধিক পঠিত
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?