X
বুধবার, ০১ মে ২০২৪
১৮ বৈশাখ ১৪৩১

‘দুয়ার্তের মাদকবিরোধী লড়াই হত্যাকাণ্ডের চারণভূমিতে পরিণত হবে’

বিদেশ ডেস্ক
১২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৩:০৭আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৩:৩২

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুয়ার্তের ‘মাদকবিরোধী লড়াই’ অব্যাহত থাকলে এটি ‘হত্যাকাণ্ডের চারণভূমি’তে পরিণত হবে। এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে দেশটির কমিশন অন হিউম্যান রাইটস (সিএইচআর)। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

‘দুয়ার্তের মাদকবিরোধী লড়াই হত্যাকাণ্ডের চারণভূমিতে পরিণত হবে’ কর্মকতারা বলছেন, ২০১৬ সালে দুয়ার্তে ফিলিপাইনের ক্ষমতায় আসার পর দেশটিতে এ পর্যন্ত পুলিশের হাতে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। তবে মানবাধিকার সংস্থা ও বিরোধীদের দাবি, দুয়ার্তের কথিত অভিযানে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

ফিলিপাইনের কমিশন অন হিউম্যান রাইটস (সিএইচআর)-এর কমিশনার গেনডোলিন পিমেনটেল-গানা আল জাজিরা’কে বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ের কাঠামে এবং এর নেপথ্যের অভিপ্রায় নিয়ে আমরা প্রশ্ন তুলছি।

তিনি বলেন, আপনি প্রত্যেককে হত্যা করতে পারেন না। ইতোমধ্যেই অনেকে প্রাণ হারিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে এটি খুনের চারণভূমিতে পরিণত হবে।

সিএইচআর-এর কমিশনার বলেন, ক্ষমতায় আসার পর প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ছয় মাস ধরে এই ধরপাকড় চালানো হবে। পরে তিনি বললেন, তার  মেয়াদজুড়ে এটা চলতে থাকবে।

দুয়ার্তের কথিত মাদকবিরোধী অভিযানে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোর একটি হচ্ছে সেবু প্রদেশ। মাদকবিরোধী অভিযানের নামে মেরে ফেলার ভয়ে সন্ত্রস্ত সেখানকার বাসিন্দারা। এমনকি প্রেসিডেন্টের আদেশ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে পুলিশ সদস্যদেরও নির্মম নিষ্ঠুরতা দেখাতে হচ্ছে।

সেবু সিটি পুলিশের পরিচালক রোনিয়া গারমা বলেন, ‘পুলিশকে যুদ্ধ করতে হবে। সমান্তরাল ক্ষতি হবে, এমনকি নিরপরাধ মানুষও ঘটনার শিকার হবে।’ ‘দুয়ার্তের মাদকবিরোধী লড়াই হত্যাকাণ্ডের চারণভূমিতে পরিণত হবে’

ফিলিপাইনের কমিশন অন হিউম্যান রাইটস (সিএইচআর)-এর পক্ষ থেকে মাদক সংক্রান্ত অপরাধে সন্দেহভাজনদের মেরে ফেলার বদলে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

ফিলিপাইনে সন্দেহভাজন মাদকসেবী ও বিক্রেতাদের লাশ অন্ধকারে, ব্রিজের নিচে এমনকি ময়লার স্তূপেও পড়ে থাকতে দেখা যায়। অনেক সময় নিহতের গলায় কার্ডবোর্ডে লেখা থাকে, ‘আমি একজন মাতাল। আমাকে পছন্দ করবেন না।’

লাশের সংখ্যা বাড়ছে কালুকান, মালাবন, নাভোটাস ও ভালেনজুয়েলা জেলায়। রাজধানী ম্যানিলা থেকে দূরে ঘনবসতিপূর্ণ এসব জেলা আবাসিক ও শিল্প এলাকা হলেও হত্যাক্ষেত্র হিসেবেই পরিচিতি পেয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন ও নিহতের পরিবারগুলো ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছে।

মাদকযুদ্ধে শুরুর পর পুলিশ যখন সমালোচনায় পড়ে তখন তাদের সমর্থনে দুয়ার্তে ঘোষণা দিয়েছিলেন, আপনারা নিজেদের দায়িত্ব পালন করুন। দায়িত্ব পালনের সময় আপনারা যদি ১ হাজার মানুষকেও হত্যা করেন তাহলে আমি আপনাদের রক্ষা করবো।

ফিলিপাইনে মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের ধরে ধরে হত্যা করা হয়। কোনও গ্রেফতার বা বিচারের মুখোমুখি করা হয় না তাদের। মানবাধিকার গোষ্ঠী, সংবাদমাধ্যম ও পুলিশের নিহতের সংখ্যা নিয়ে পৃথক পরিসংখ্যান রয়েছে।

/এমপি/
সম্পর্কিত
লাইয়ের অভিষেক পরবর্তী চীনা সামরিক মহড়া নিয়ে সতর্ক অবস্থানে তাইওয়ান
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট শুরু
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
সর্বশেষ খবর
বঙ্গবন্ধু শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন: এমপি কাজী নাবিল
বঙ্গবন্ধু শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন: এমপি কাজী নাবিল
ত্যাগের মহিমায় স্বামী বিবেকানন্দ মানবসেবা করে গেছেন: মেয়র তাপস
ত্যাগের মহিমায় স্বামী বিবেকানন্দ মানবসেবা করে গেছেন: মেয়র তাপস
জাকের পার্টির ‘বিশ্ব ইসলামি সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত
জাকের পার্টির ‘বিশ্ব ইসলামি সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত
গাজায় ইউক্রেনের চেয়েও বেশি ধ্বংসস্তূপ রয়েছে: জাতিসংঘ
গাজায় ইউক্রেনের চেয়েও বেশি ধ্বংসস্তূপ রয়েছে: জাতিসংঘ
সর্বাধিক পঠিত
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
‘মানুষের কত ফ্রেন্ড, কাউকে পাশে পাইলে আমার এমন মৃত্যু হইতো না’
‘মানুষের কত ফ্রেন্ড, কাউকে পাশে পাইলে আমার এমন মৃত্যু হইতো না’
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
মিল্টন সমাদ্দার আটক
মিল্টন সমাদ্দার আটক