X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

তালেবান নেতাদের ‘ভ্রমণ খরচ’ দিতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র

বিদেশ ডেস্ক
১৭ মে ২০১৯, ২০:৪৯আপডেট : ১৭ মে ২০১৯, ২০:৫৪

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অংশ নেওয়া আফগানিস্তানের বিদ্রোহী গোষ্ঠী তালেবান প্রতিনিধিদের ভ্রমণ খরচ পরিশোধ করতে চেয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। দীর্ঘ ১৭ বছরের  আফগান যুদ্ধ অবসানে কাতারের দোহায় বেশ কয়েক দফা আলোচনায় বসেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান প্রতিনিধিরা। তবে এই খরচ সন্ত্রাসীদের সহায়তা বিবেচিত হতে পারে বলে তা প্রত্যাখান করে মার্কিন সরকারের এক কমিটি। যুক্তরাষ্ট্রের এক আইনপ্রণেতার মুখপাত্র ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

আফগানিস্তানের তালেবান বিদ্রোহী

নাইন ইলেভেন হামলার পর ২০০১ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের নির্দেশে শুরু হওয়া আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয় ২০১৪ সালে। তবে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা অব্যাহত রাখলেও দেশটির অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান। এমন প্রেক্ষাপটে দেশটিতে শান্তি স্থাপনে ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ছয় দফায় তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসেছে যুক্তরাষ্ট্র।

এসব বৈঠক আয়োজনের ব্যয় নির্বাহ করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে অনুরোধ জানানোর কথা নিশ্চিত করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর। তবে বুধবার মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিরক্ষা ব্যয় বরাদ্দ উপকমিটি পেন্টাগনের জন্য ৬৯ হাজার ২০ কোটি ডলারের ব্যয় অনুমোদন করলেও তাতে নেই তালেবান নেতাদের খাবার আর বাসস্থানের খরচ। ওই কমিটির চেয়ারম্যান ইন্ডিয়ানার আইন প্রণেতা পিটার ভিসক্লোস্কির মুখপাত্র কেভিন স্পাইসার বলেছেন, পেন্টাগনের তরফ থেকে ওই বৈঠকে তালেবান প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ, খাবার ও বাসস্থান আর ভ্রমণ খরচ চাওয়া হয়েছিল।

কেভিন স্পাইসার বলেন, বরাদ্দ করা তহবিল থেকে এমন কোনও বৈঠকে অংশ নেওয়া তালেবান প্রতিনিধিদের খরচ বহন করা যাবে না। যেখানে আফগান সরকারের প্রতিনিধি বা নারীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ রয়েছে। ভিকোলোস্কি বলেন, এই বিধানটি যুক্ত করা হয়েছে কারণ তা না হলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সহায়তারোধ ঠেকানো আইনের লঙ্ঘন হতো।

আফগান সরকারকে যুক্তরাষ্ট্রের পুতুল সরকার অভিহিত করে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে তালেবান।

 

/জেজে/এএ/
সম্পর্কিত
ইসরায়েলকে অস্ত্রের চালান দেওয়া স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র?
লাদাখ সীমান্তে বিরোধচীনের সঙ্গে আলোচনায় আশাবাদী রাজনাথ সিং
মিসরে চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনা, গাজায় বোমা ফেলছে ইসরায়েল
সর্বশেষ খবর
খুলনায় আড়াই ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা
খুলনায় আড়াই ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা
রৌমারীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর প্রতিপক্ষের হামলা
রৌমারীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর প্রতিপক্ষের হামলা
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস