ভ্যাঙ্কুভার থেকে সিডনি যাওয়ার পথে এয়ার কানাডার একটি ফ্লাইট বড় ধরনের ঝাঁকুনি বা টারবুলেন্সের মুখোমুখি হয়েছে। এতে আহত হয়েছে ৩৫ জন আরোহী। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই টারবুলেন্সের কবলে পড়ে এয়ার কানাডা ফ্লাইট ৩৩। পরে হোনোলুলুর ড্যানিয়েল কে. ইনুয়ে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানটি জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়।
যাত্রাপথে ঝড়ো বাতাস বা টারবুলেন্সের শিকার হওয়াটা বিমানের জন্য খুবই সাধারণ ঘটনা। তবে এক্ষেত্রে ক্ষতির মাত্রাটা নির্ভর করে টারবুলেন্সের মাত্রার ওপর। কেননা, টারবুলেন্স হালকা, মাঝারি এবং ভারি তিন ধরনেরই হতে পারে। হালকা মাত্রার টার্বুলেন্সে পড়লে বিমানকে তেমন একটা ঝাঁকুনির মুখে পড়তে হয় না।
বৃহস্পতিবার ২৬৯ যাত্রী ও ১৫ জন ক্রু সদস্যকে নিয়ে ভ্যাঙ্কুভার থেকে সিডনির উদ্দেশে যাত্রা করে এয়ার কানাডার ফ্লাইট ৩৩। কোনও ধরনের পূর্বাভাস ছাড়াই হঠাৎ করে টারবুলেন্সের মুখোমুখি হয়ে বিমানটি ঝাঁকুনি খেতে থাকে।
মাইকেল বেইলি নামে এক বিমান আরোহী বলেন, ‘আমরা দ্রুত গতির টারবুলেন্সের আঘাতের সন্মুখীন হয়েছি। অনেক মানুষ বিমানের ছাদের সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছে। অনেক চিৎকার করছিলো তারা।’
ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মুখপাত্র আয়ান গ্রেগর বলেন, বিমানটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৬ হাজার ফুট উঁচু দিয়ে উড়ছিলো। ঘটনার সময় এটি হোনোলুলু থেকে প্রায় ৬০০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিলো।
কানাডা এয়ার কর্তৃপক্ষের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ফ্লাইট, যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে আমরা সবচেয়ে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। পূর্ব সতর্কতা হিসেবে হোনোলুলুর যাত্রীদের পরীক্ষার জন্য চিকিৎসকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’