X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান

ব্রজেশ উপাধ্যায়, যুক্তরাষ্ট্র
১৯ জুলাই ২০১৯, ১০:০০আপডেট : ১৯ জুলাই ২০১৯, ১০:১৮

মিয়ানমারে ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রসহ ১২টি দেশ। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর আয়োজিত ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে আয়োজিত মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে দেশগুলো একটি উদ্বেগের চিঠিতে স্বাক্ষর করেন।

রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ৭ লাখেরও বেশি মানুষ। বর্তমানে বাংলাদেশের কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে বাস করা রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি। মিয়ানমারে ফিরলে আবারও নিপীড়নের শিকার হতে পারেন এমন শঙ্কায় রয়েছেন এসব রোহিঙ্গা।

১২টি দেশের স্বাক্ষর করা বিবৃতিতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয় যেন সাংবিধানিকভাবে সবার অধিকার নিশ্চিত করা হয়। এছাড়া নিপীড়নকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করে সবাইকে মানবিক সহায়তা পৌছানোরও আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা রাখাইনে ভয়াবহ সহিংসতা ও রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের ঘটনায় উদ্বিগ্ন। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে সাত লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে। রাখাইনেও বাস্তুচ্যুত হয়েছে অনেকে।

এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এমন সম্মেলন আয়োজন করলো যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইউক্রেন, আজারবাইজান, সাইপ্রাস, জর্ডান, জর্জিয়া ও মার্শাল দ্বীপ। বিবৃতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ধর্মীয় স্বাধীনতার ব্যাপার গুরুত্বারোপ করা হয়। 

রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান

বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা ও অন্যান্য মুসলিম সম্প্রদায়সহ মিয়ানমারের অনেক সংখ্যালঘুরা তাদের বিশ্বাসের কারণে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। বলা হয়, ‘আমরা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি যেন রাখাইনে রোহিঙ্গা নিরাপদ, সম্মানজনক ও স্বেচ্ছামূলক প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা হয়।

মিয়ানমারে ২০২০ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্যায়কারীদের বিচারের আহ্বান জানায় দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। তারা বলেন, ‘আমরা নাগরিকত্ব, ভোটাধিকারসহ সমঅধিকার বাস্তবায়নের গুরুত্বারোপ করছি।

দুইদিন আগেই মিয়ানমারের সেনাপ্রধানসহ শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।  রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল রাখাইনে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয় ওয়াশিংটন। পররাষ্ট্র দফতর থেকে জানানো হয়, সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাংসহ আরও  তিনজন সেনা ও তাদের পরিবারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

ওই চিঠি ছাড়াও সন্ত্রাস-বিরোধীসহ  ও মানবাধিকার লঙ্ঘন মোকাবিলায় নিরাপত্তা বিষয়ক আরেকটি স্টেটমেন্ট অব কনসার্ন চিঠিতে স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ।

/এমএইচ/
সম্পর্কিত
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
চীনের দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক ধসে নিহত ৩৬
লাইয়ের অভিষেক পরবর্তী চীনা সামরিক মহড়া নিয়ে সতর্ক অবস্থানে তাইওয়ান
সর্বশেষ খবর
ওটিটিতে উঠলো মস্কোজয়ী ‘আদিম’
ওটিটিতে উঠলো মস্কোজয়ী ‘আদিম’
গাজার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৪০০ ইসরায়েলি হামলা
গাজার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৪০০ ইসরায়েলি হামলা
উ. কোরিয়ার হুমকির মুখে কূটনৈতিক সতর্কতা বাড়ালো দ. কোরিয়া
উ. কোরিয়ার হুমকির মুখে কূটনৈতিক সতর্কতা বাড়ালো দ. কোরিয়া
অবশেষে সমুদ্রশহরকে ভিজিয়ে দিলো স্বস্তির বৃষ্টি
অবশেষে সমুদ্রশহরকে ভিজিয়ে দিলো স্বস্তির বৃষ্টি
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টন সমাদ্দার আটক
মিল্টন সমাদ্দার আটক
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
মে দিবসে ফুঁসে উঠলেন সিনেমা শ্রমিকরা
মে দিবসে ফুঁসে উঠলেন সিনেমা শ্রমিকরা