X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে দেশে বাড়ছে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ আর ইন্টারনেট নজরদারি

ব্রজেশ উপাধ্যায়, যুক্তরাষ্ট্র
০৭ নভেম্বর ২০১৯, ১৬:৩১আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০১৯, ১৬:৩২

অনেক সরকারই এখন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করছে এবং জনগণের ওপর নজরদারি করছে। ‘ফ্রিডম অব দ্য নেট’ শীর্ষক নতুন এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।  ইন্টারনেটে বাকস্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন ফ্রিডম হাউসের  করা এই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় অর্ধেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা স্বাধীনতা হারাচ্ছেন এবং অনেক দেশের সরকারই সামাজিক মাধ্যমে নজরদারিতে বিনিয়োগ  বাড়াচ্ছে।  এই প্রতিবেদনে ১০০ এর মানদণ্ডে বাংলাদেশের স্কোর ৪৪ উল্লেখ করে আংশিক স্বাধীন বলা হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে ইন্টারনেট-পরাধীন দেশ বলা হয়েছে সুদানকে।

  দেশে দেশে বাড়ছে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ আর ইন্টারনেট নজরদারি

বিশ্বের ৮৭ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যে ৬৫টি দেশে বাস করেন, সেই কয়েকটি দেশের ওপর জরিপ চালিয়েছে ফ্রিডম হাউস। এর মধ্যে ৪৭টি দেশে সামাজিক মাধ্যমে রাজনৈতিক সামাজিক ও ধর্মীয় বক্তব্যের জন্য অনেককে গ্রেফতার হতে হয়েছে। ৪০টি দেশে উন্নত প্রযুক্তির নজরদারি ব্যবহার করয়েছে সামাজিক মাধ্যমে আর ৩৮টি দেশে রাজনৈতিক নেতারা অনলাইনে মতামত সাজিয়ে দেওয়ার জন্য কর্মী নিয়োগ দিয়েছে।

ফ্রিডম হাউসের প্রেসিডেন্ট মাইক আব্রাহোমোভিচ বলেন, অনেক সরকারই এখন মনে করে সামাজিক মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা সেন্সরশিপের চেয়ে বেশি কার্যকরী। তিনি বলেন, স্বৈরাচারী ও জনসমর্থিত উভয় ধরনের সরকারই এখন ব্যালট বাক্স জয়ের জন্য মানুষকে প্রভাবিত করার পাশাপাশি কম্পিউটার কৌশলের আশ্রয় নেয়। সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের বিষয়টি সামনে রেখে তারা এই অপকর্ম করে থাকে।

ইন্টারনেট স্বাধীনতার ক্ষেত্রে অবস্থানের অবনতির দিক থেকে তালিকার শীর্ষে এসেছে সুদান, কাজাখাস্তান, ব্রাজিল ও জিম্বাবুয়ের নাম।  বাংলাদেশের স্কোর ১০০ তে ৪৪, যা তাকে ‘আংশিক স্বাধীন’ তালিকাভূক্ত করেছে। আর পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের স্কোর ৫৫ , পাকিস্তানের ২৬।

প্রতিবেদনে চীনকে ইন্টারনেট স্বাধীনতার সবচেয়ে বড় লঙ্ঘনকারী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই নিয়ে টানা চারবার তাদের এই পরিস্থিতি তুলে ধরা হলো।  যুক্তরাষ্ট্রকেও ইন্টারনেট স্বাধীনতার হরণকারী আখ্যা দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির আইন শৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থা ও অভিবাসন সংস্থাগুলো নিয়মিতই সামজিক মাধ্যমে নজরদারি করে এবং ওয়ারেন্টবিহিনভাবে ভ্রমণকারীদের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস তল্লাশি করে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ব্যাপারে বলা হয়, ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে ২০১৯ সালের মে পর্যন্ত বাংলাধেশের ইন্টারনেট স্বাধীনতার ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। সরকার ইন্টারনেটে নজরদারির জন্য উন্নতি প্রযুক্তি ব্যবহার করছে যেন গুজব বা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো না যায়।

 

/এমএইচ/বিএ/
সম্পর্কিত
বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন কলকাতায় উদযাপিত হলো ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’
২০২৪ সালের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির তালিকায় বাংলাদেশ ১৬তম
বিএনপির প্রবাসী নেতাদের গ্রেফতারের অপেক্ষায় অ্যাসাইলাম শিকারিরা
সর্বশেষ খবর
খুলনায় আড়াই ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা
খুলনায় আড়াই ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা
রৌমারীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর প্রতিপক্ষের হামলা
রৌমারীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর প্রতিপক্ষের হামলা
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস