ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী প্রস্তাব পাস করেছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা। দেশের চতুর্থ রাজ্য হিসেবে সোমবার এ প্রস্তাব করে পশ্চিমবঙ্গ। এর আগে কেরালা, পাঞ্জাব ও রাজস্থানের বিধানসভাও একই ধরনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সোমবার রাজ্য বিধানসভায় দেওয়া ভাষণে মমতা বলেন, আমাদের রাজ্যে সিএএ, এনআরসি আর এনপিআর করার অনুমতি দেবো না। মানুষ আতঙ্কে আছে। সব ধরনের নথির জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে হয়রান হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই লড়াই শুধু সংখ্যালঘুদের না। আমার হিন্দু ভাই-বোনেদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, তারা সামনে থেকে এই লড়াইটা লড়ছেন। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করবো।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সিএএ অনুযায়ী আপনি বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত হবেন। এটা একটা ভয়ঙ্কর খেলা। এটা মানুষকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে নিয়ে যাবে। তাই ওদের (বিজেপি) ফাঁদে পা দেবেন না।’
কথিত নাগরিক তালিকা থেকে বাদপড়াদের জন্য তৈরি বন্দিশিবির নিয়ে কথা বলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘আপনাকে সন্দেহভাজন নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করে বন্দিশিবিরে পাঠানো গ্রহণযোগ্য নয়। যেভাবে সবকিছু চলছে এখন তো মনে হচ্ছে না জন্মালেই ভালো হতো। এখন মানুষ ভীত-শঙ্কিত। তারা ভাবছেন দেশ ছাড়তে হবে! সব ধরণের নথির জন্য আবার মানুষ লাইনে দাঁড়াতে শুরু করেছেন। হেনস্থার একশেষ।’
ইতিমধ্যে মমতাকে পাকিস্তানের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর’ তকমা দিয়েছে বিজেপি। সেই তকমাকে কটাক্ষের সুরে বিঁধে মমতা বলেছেন, ‘ওরা সবসময় পাকিস্তান নিয়ে কথা বলে, আর ভারত নিয়ে কম ভাবে।’
গত ১ ডিসেম্বর আইনে পরিণত হয় ভারতের মুসলিমবিদ্বেষী নাগরিকত্ব বিল। তারপর থেকে দেশজুড়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এই আন্দোলন সবচেয়ে ব্যাপক আকার নিয়েছিল জামিয়া মিলিয়া, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ও জেএনইউ-তে।