সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিলের ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। পরিবর্তনশীল সময়ে দামেস্ককে সহায়তা করতে বুধবার (১২ মার্চ) এই সিদ্ধান্তের কথা জানায় অটোয়া। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে কানাডা সরকার জানিয়েছে, সিরিয়া একটি পরিবর্তনশীল সময় অতিক্রম করছে। এই প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রায়ণ, স্থিতিশীলতা অর্জন এবং মানবিক সহায়তা প্রদানে তাদের সমর্থন দিতে আগামী ছয় মাসের জন্য আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ সিরিয়া গঠনে নিজেদের সমর্থন জানাতে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা পাঠাচ্ছে কানাডা। সিরিয়ার ত্রাণ সহায়তার জন্য আট কোটি ৪০ লাখ কানাডীয় ডলারের তহবিল গঠন করা হচ্ছে।
কানাডাসহ একাধিক পশ্চিমা রাষ্ট্র সিরিয়ার ওপর দীর্ঘদিন ধরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছিল। তবে গত বছরের শেষদিকে আল কায়েদার সাবেক সহযোগী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামস বা এইচটিএসের ব্যাপক হামলায় আসাদ পরিবারের অর্ধশতাব্দীর শাসনের অবসান ঘটে। এরপর থেকে দামেস্কের প্রতি বিভিন্ন দেশের অবস্থানে কিছু পরিবর্তন আসতে দেখা যায়।
অটোয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লেবাননে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত স্টেফানি ম্যাককলামকে সিরিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা শিথিলের অংশ হিসেবে কানাডা ছয় মাসের জন্য একটি সাধারণ আদেশ জারি করতে যাচ্ছে। এর ফলে, সিরিয়ায় গণতন্ত্রায়ণ, স্থিতিশীলতা এবং মানবিক সহায়তা প্রদান সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেন এবং অন্যান্য সেবা পরিচালনায় অনুমতি দেওয়া হলো।
সিরিয়ায় ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থায়নের জন্যও নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার কথা জানিয়েছে কানাডা। এই সিদ্ধান্তের আওতায় থাকা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে সিরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কানাডা এই ঘোষণা এমন একটা সময় দিয়েছে, যখন সিরিয়ার নতুন শাসক গোষ্ঠী আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত হচ্ছে।
আল কায়েদার সঙ্গে ২০১৬ সালে সম্পর্ক ছিন্ন করা এইচটিএসের নেতা আহমেদ আল-শারা আপাতত সিরিয়ার শাসক। তাদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ উঠেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও যুদ্ধ বিশ্লেষকদের অভিযোগ, বিভিন্ন গ্রামে হামলা চালিয়ে আলওয়াইট গোষ্ঠীর শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। সাবেক শাসক বাশার আল-আসাদ ছিলেন এই গোষ্ঠীর সদস্য।