ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যোগাযোগ ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে গুজব শোনা যাচ্ছে। শুক্রবার (৯ মে) ইসরায়েলি একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়, নেতানিয়াহু নিজের স্বার্থে ট্রাম্পকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছেন বলে সন্দেহ মার্কিন প্রেসিডেন্টের। সেখান থেকেই দু নেতার সম্পর্ক শীতল হয়ে পড়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য মিডল ইস্ট মনিটর এ খবর জানিয়েছে।
ইসরায়েলি আর্মি রেডিওর কর্মী ইয়ানির কোজিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করেন, নেতানিয়াহু তাকে বিভিন্নভাবে নিজ স্বার্থে ব্যবহারের চেষ্টা করছেন, এমন সন্দেহ থেকেই যোগাযোগ ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প।
এই বক্তব্যের বিষয়ে মার্কিন বা ইসরায়েলি কোনও কর্মকর্তা এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেননি।
অবশ্য, কট্টর ডানপন্থি ইসরায়েলি সংবাদপত্র ইসরায়েল হায়োমের একটি প্রতিবেদনের সঙ্গে কোজিনের দাবির সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়া যায়।ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, নেতানিয়াহু এবং ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সম্পর্কে অবনতি হয়েছে এবং তাদের মধ্যে তিক্তরা বেড়েই চলেছে।
ওই পোস্টে কোজিন আরও দাবি করেন, ট্রাম্প এখন মধ্যপ্রাচ্য সংক্রান্ত ইস্যুতে নেতানিয়াহুর ওপর নির্ভর না করেই অগ্রসর হতে চান। এতে বোঝা যায়, দুই নেতার মধ্যে আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
এপ্রিলে ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমারের সঙ্গে সিনিয়র রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের এক বৈঠকের কথাও উল্লেখ করেন কোজিন। ওই বৈঠকে ট্রাম্পের করণীয় নিয়ে ডারমার তাকে নির্দেশনা দিকে খেপে ওঠেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
কোজিনের ধারণা, ডারমারের আচরণে নেতানিয়াহুর সঙ্গে ট্রাম্পের দূরত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইসরায়েল হায়োমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, নেতানিয়াহুর ওপর হতাশ হয়েছেন ট্রাম্প। মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কর্মপন্থা ঠিক করতে ইসরায়েলের জন্য অপেক্ষা না করার জন্য মনস্থির করেছেন তিনি।
প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়, নেতানিয়াহু প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে কালক্ষেপণ করছেন বলে মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ কারণেই তিনি আর ইসরায়েলের জন্য অপেক্ষা করতে নারাজ এবং এককভাবে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।