সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। রাজধানীর দামানিও সামরিক ঘাঁটির সামনে নিয়োগপ্রতাশ্যীদের ভিড় লক্ষ্য করে রবিবার (১৮ মে) এই হামলা চালানো হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, টিনেজ বয়সীরা ঘাঁটির প্রবেশদ্বারের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। এমন সময় তাদের কাছাকাছি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে আল-শাবাব নামে এক সশস্ত্রগোষ্ঠী।
সুলেইমান নামের এক সেনা ক্যাপ্টেন রয়টার্সের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি রাস্তার অন্যপাশে ছিলাম। হঠাৎ একটা টুক টুক এসে দাঁড়াল। এক লোক নেমে নিয়োগপ্রত্যাশীদের লাইনের দিকে দৌড়ে গেল। তাদের কাছাকাছি গিয়ে নিজের দেহে থাকা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। নিয়োগপ্রার্থী এবং পথচারীসহ অন্তত ১০ জন মারা গেছে। নিহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসাকর্মীরা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তারা ৩০ জন আহতকে ভর্তি করেছেন, যাদের মধ্যে ৬ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান।
হামলার পরপর সরকারি বাহিনী দ্রুত পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে।
হামলার পর এক বিবৃতিতে আল-শাবাব দাবি করে, এই হামলা তারাই ঘটিয়েছে। তারা অন্তত ৩০ জন সেনাকে হত্যা এবং আরও ৫০ জনকে আহত করেছে। তবে সরকার পক্ষ থেকে তাদের দাবির পক্ষে বা বিপক্ষে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
আল-কায়েদা সম্পৃক্ত গোষ্ঠী আল-শাবাব ২০০৭ সাল থেকে সোমালিয়ায় সশস্ত্র বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে। দেশের কেন্দ্রের দিকে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য সম্প্রতি তারা সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে।
২০২৩ সালেও প্রায় একই ধরনের আত্মঘাতী হামলা হয়েছিল। দামানিও ঘাঁটির বিপরীতে অবস্থিত জালে সিয়াদ ঘাঁটিতে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ২৫ সেনা নিহত হয়।
রবিবারের আত্মঘাতী হামলার আগের দিন এক সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। সোমালিয়ার হিরান অঞ্চলের ২৬ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার কর্নেল আবদিরাহমান হুজালেকে হত্যা করা হয়।