নাইজেরিয়ার নিষিদ্ধঘোষিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আইপিওবি’র (ইন্ডিজিনাস পিপল অব বিয়াফ্রা) অসহযোগ আদেশকে ঘিরে গত চার বছরে সাত শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা। গোষ্ঠীটির উদ্দেশ্য হচ্ছে, ইগবো জাতিগোষ্ঠী অধ্যুষিত দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের স্বাধীনতা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, অসহযোগ আন্দোলনের উদ্দেশ্যে প্রতি সোমবার এবং বিশেষ কিছু দিনে জনসাধারণকে ঘরে বসে থাকার আদেশ দেয় আইপিওবি। এই আদেশ না মানার কারণে যেমন তাদের হামলায় মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, তেমনি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষেও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২১ সালে যখন গোষ্ঠীটি মানুষকে ঘরে বসে থাকার আদেশ দিতো, তখন প্রায় ৮২ শতাংশ মানুষ সাড়া দিতেন। এখন সেই সমর্থন হ্রাস পেয়ে মাত্র ২৯ শতাংশে নেমে এসেছে।
সরকারি প্রতিবেদনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আইপিওবির এক মুখপাত্র। তিনি বলেন, এসব প্রাণহানির জন্য আমরা দায়ী নই। আইপিওবি’র বদনাম করতে সরকারের ভাড়া করা অপরাধীরা লুটতরাজ, হানাহানি ইত্যাদির ঘটাচ্ছে।
এই পাল্টা অভিযোগের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
২০২১ সালের আগস্টে আইপিওবি তাদের নেতা নামদি কানুর মুক্তির দাবিতে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাঁচ রাজ্যে এই আন্দোলন শুরু করে। পরে কানুর নির্দেশে সাপ্তাহিক আন্দোলন স্থগিত করে তারা। তবে কানু আদালতে হাজিরা দিলে সেসব দিনে আবারও আন্দোলন চালু রাখে।
তবে আইপিওবির সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন উপদল এবং অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী সাপ্তাহিক প্রতিবাদ জোরপূর্বক বাস্তবায়ন করে চলেছে। তারা এমনকি সরকারি স্থাপনা ও সরকারপন্থিদের ওপর হামলাও করছে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘরে বসে থাকার আদেশের কারণে প্রতি সোমবার ও বিশেষ কিছু দিনে দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড একরকম স্থবির হয়ে পড়ে। এই অসহযোগের কারণে এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ৪৭৯ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়েছে।