দক্ষিণ চীন সাগরের প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জে দুটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির বোমারু বিমান (বোম্বার) মোতায়েন করেছে বেইজিং। স্যাটেলাইট ইমেজ পর্যালোচনার তথ্য যাচাই করে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্যারাসেলের মালিকানা নিয়ে ভিয়েতনামের সঙ্গে বিবাদ রয়েছে চীনের। বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুতে প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা তুলে ধরতেই সম্ভবত বোম্বার মোতায়েন করলো বেইজিং।
সিঙ্গাপুরের রাজারত্ম আন্তর্জাতিক অধ্যয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ কোলিন কোহ বলেছেন, দীর্ঘ পাল্লার বোম্বারগুলো প্যারাসেলে থাকার প্রয়োজন নেই। এটি মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইনসহ একাধিক পক্ষের প্রতি বেইজিংয়ের রাজনৈতিক ও সামরিক সতর্ক বার্তা।
মার্চের শেষদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা হেগসেথের ফিলিপাইন সফরে দুটি এইচ-৬ বিমান বিতর্কিত স্কারবোরা শোলের ওপর দিয়ে উড়ে যেতে দেখা যায়। ওই সফরেই ফিলিপাইনের প্রতি ‘লৌহসম অঙ্গীকার’ ব্যক্ত করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে, ২০২০ সালে উডি দ্বীপে বোম্বার রেখে বিতর্ক তৈরি করেছিল বেইজিং। এবার ফিলিপাইনের সঙ্গে চলমান সম্পর্কের টানাপড়েন এবং তাইওয়ান নিয়ে অস্থিরতার মাঝে দীর্ঘপাল্লার এইচ-সিক্স বোম্বার মোতায়েন করলো বেইজিং।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এইচ-৬ বিমানগুলোর মোতায়েন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার বড় কারণ হলো, স্নায়ুযুদ্ধ আমলের এয়ারফ্রেমকে আধুনিকীকরণ করায় এখন এগুলো জাহাজ বিধ্বংসী ও ভূমি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে। কিছু সংস্করণ আবার পারমাণবিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপেও সক্ষম।
এদিকে, কুটনীতিকদের বরাতে জানা গেছে, আগামী মাসে একটি ব্রিটিশ রণতরি দক্ষিণ চীন সাগরে মোতায়েন করা হবে, যা খুবই বিরল একটি ঘটনা।
বোম্বার মোতায়েনের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চীন, ফিলিপাইন এবং ভিয়েতনামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল রয়টার্স। তবে কোনও পক্ষ থেকেই সাড়া পাওয়া যায়নি।