প্রায় তিন দশক আগে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবির থেকে পুরনো পোশাক সংগ্রহের কাজ শুরু করেন আইডা আবু সিত্তা নামের ফিলিস্তিনি এক নারী ফ্যাশন ডিজাইনার। সংগ্রহ করা পুরনো পোশাকগুলোতে সমসাময়িক আর ঐতিহ্যগত উপাদানের এক মিশ্রণ যুক্ত করে করেন তিনি। এভাবে পুরনো পোশাকের ডিজাইনে সিত্তা নিয়ে আসেন নতুন মাত্রা। সেইসঙ্গে দেশীয় ঐতিহ্যের ধারক হয়ে উঠে পোশাকগুলো। আর বিভিন্ন ফ্যাশন শোতে উপস্থাপনের মাধ্যমে সে ঐতিহ্যেরই বর্ণনা দিয়ে যায় পোশাকগুলো।
ওইসব পোশাকের মধ্য দিয়ে আইডা আবু সিত্তা ফিলিস্তিনিদের পরিচয়ের রাজনীতিকে সামনে আনার চেষ্টা করেন।
সম্প্রতি আবু সিত্তা আয়োজিত ফ্যাশন শোতে অংশ নেওয়া এক মডেল কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেন, সিত্তার লক্ষ্য হলো ফিলিস্তিনের যেসব ঐতিহ্যকে ইসরায়েল ধ্বংস করার চেষ্টা করছে সেগুলো রক্ষা করা।
বয়স্ক কিংবা তরুণ সব বয়সী নারীর কাছেই দিন দিন সিত্তার ডিজাইন করা পোশাকগুলোর চাহিদা বাড়ছে। সম্প্রতি গাজা সিটির একটি হোটেলে আয়োজিত ফ্যাশন শোতেও সিত্তার ডিজাইন করা পোশাকগুলো উপস্থাপন করা হয়। সেই ফ্যাশন শো-এর উল্লেখযোগ্য কিছু ছবি নিচে দেওয়া হল-
প্রায় তিন দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের পুরনো পোশাক সংগ্রহ করছেন সিত্তা।
ইসরায়েলের দখলে থাকা বিরশেবা শহর থেকে এ পর্যন্ত ৭০টি পোশাক সংগ্রহ করেছেন সিত্তা।
হাতের কাজ করা পুরনো কাপড় আর আধুনিক এমব্রয়ডারির মিশ্রণে শাল তৈরি করেছেন সিত্তা।
চলতি মাসে গাজা সিটির রুটস হোটেলের ফ্যাশন শোতে সিত্তার পোশাকের প্রদর্শনী হয়।
ফ্যাশন শোটির প্রবেশ ফি ধরা হয় ৪০ ডলার করে। এখান থেকে আয় হওয়া অর্থগুলো একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হবে যারা ক্যান্সার আক্রান্ত নারীদের সহায়তা দিয়ে থাকে।
ফ্যাশন শোতে ক্যাটওয়াক করছেন এক দল নারী।
কোনও কোনও নারী অনুষ্ঠানটির ছোট ছোট ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়েছেন।
ভিডিওগুলো ভাইরাল হওয়ার পর কট্টর ইসলামপন্থীরা ওই নারীদের হিজাব না পরার সমালোচনা করেন। তবে সিত্তা বলছেন, এ বিতর্কের মধ্য দিয়ে তার ফ্যাশন শো-এ সত্যিকারের উদ্দেশ্যকে নস্যাৎ করা হচ্ছে।
শিগগিরই আরেকটি ফ্যাশন শো-এর পরিকল্পনা করছেন সিত্তা।
সূত্র: আল জাজিরা
/এফইউ/বিএ/
