থাইল্যান্ড পুলিশের সাবেক এক প্রধানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। নির্যাতন চালিয়ে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে এই দণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই মামলার পর পুলিশি নৃশংসতার বিরুদ্ধে দেশটিতে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়।
থিটিসান উথানাপন নামে সাবেক এই পুলিশ প্রধানের ডাক নাম জো ফেরারি। বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল গাড়ি থাকার কারণে তাকে এই নামে ডাকা হয়ে থাকে।
গত আগস্টে থিটিসান উথানাপনকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, মাদক মামলায় অভিযুক্ত ২৪ বছরের এক সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় মাথায় প্লাস্টিক ব্যাগ দিয়ে মুড়ে দিচ্ছে সাবেক এই পুলিশ প্রধান ও তার সহকর্মীরা। পরে ওই সন্দেহভাজনের মৃত্যু হয়।
৪১ বছর বয়সী থিটিসান উথানাপনকে বুধবার দণ্ড দেয় একটি থাই আদালত। প্রথমে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলেও কিছুক্ষণের মধ্যে তা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করা হয়।
সন্দেহভাজন জিরাপং থানাপাতকে বাঁচানোর চেষ্টা এবং তার শেষকৃত্যের খরচ বহন করার কথা উল্লেখ করে দণ্ড কমায় আদালত।
ওই জিজ্ঞাসাবাদে জড়িত আরও ছয় কর্মকর্তার মধ্যে পাঁচ জনকে খুনে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয়েছে। সপ্তম আরেক কর্মকর্তা স্বীকারোক্তি দেওয়ায় তাকে আরও কম দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
খুনের শিকার হওয়া ব্যক্তির বাবা বলেন, তিনি ‘রায়ের সময়ে অসহায় বোধ করেছেন এবং আমার স্ত্রী কাঁদছেন’। বুধবার আদালতের বাইরে জাকরিত ক্লান্দি বলেন, ‘সাত কর্মকর্তারই তাদের শিক্ষা পাওয়া এবং তাদের অপরাধের মূল্য পরিশোধ করা উচিত।’
জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশি নৃশংসতার ভিডিও গত বছর ছড়িয়ে পড়লে দায়িত্ব ছাড়তে বাধ্য হয় থিটিসান উথানাপন। পরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে সে। পরে পুলিশের এক সংবাদ সম্মেলনে উথানাপন দাবি করে সন্দেহভাজনের মৃত্যু ছিল একটি দুর্ঘটনা। তার বক্তব্য ছিল, ‘তাকে খুনের উদ্দেশ্য আমার ছিল না...আমি তথ্য পেতে চাইছিলাম যাতে মাদক ব্যবসা ধ্বংস করতে পারি।’ সন্দেহভাজনের কাছে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগও অস্বীকার করে সে।
সূত্র: বিবিসি