দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে নির্বাচনে আগে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধ বিক্ষোভ করেছে ভারতের বিরোধী দলগুলো। রবিবার (৩১ মার্চ) বিক্ষোভের বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার ক্ষমতাসীন দল বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটে কারচুপি ও বড় অঙ্কের কর দাবি করে হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
নয়া দিল্লিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, নরেন্দ্র মোদি এই নির্বাচনের ফল আগেই নির্ধারণের চেষ্টা করছেন।
এ সময় সমবেতরা ‘লজ্জা’ বলে স্লোগান দেন।
মোদির কট্টর সমালোচক ও দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনকারী কেজরিওয়ালকে ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের এক মাসের কম সময় আগে তাকে গ্রেফতার করা হলো। আসন্ন নির্বাচনে মোদি রেকর্ড তৃতীয়বার জয়ী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মোদিবিরোধী ২৭ দলের ‘ইন্ডিয়া’ জোটের গুরুত্বপূর্ণ দল কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি।
কেজরিওয়ালের দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে মোদির সরকার ও বিজেপি গ্রেফতারের ঘটনায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ অস্বীকার করেছে।
রাহুল গান্ধী বলেছেন, বিজেপি যদি ফল নির্ধারিত এই নির্বাচনে জয়ী হয় এবং সংবিধান পরিবর্তন করে, তা দেশে আগুন ধরিয়ে দেবে। এটি কোনও সাধারণ নির্বাচন নয়। এই নির্বাচন দেশকে রক্ষার, সংবিধান রক্ষার।
সমাবেশে বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক দলসহ ভারতের বিরোধী দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচনে আসন বণ্টন নিয়ে জটিলতার মধ্যেও তারা সবাই একমঞ্চে ঐক্যবদ্ধভাবে হাজির হয়েছিলেন।
বিজেপির মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বিরোধীদের এই সমাবেশ তাদের দুর্নীতির কর্মকাণ্ড আড়াল করার জন্য।
কংগ্রেস অভিযোগ করছে, তাদের দল কর সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছে। সরকার তাদের কাছে বড় অঙ্কের কর দাব করছে, বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। দলটিকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে সরকার এসব পদক্ষেপ নিচ্ছে।
সমালোচকরা বলছেন, মোদি ও তার দল দেশটির তদন্তকারী সংস্থা ও কর কর্তৃপক্ষকে রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন ও নির্বাচনে নিরপেক্ষ সুযোগ হ্রাস করতে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। বিজেপি এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
সমাবেশে কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনিতা কেজরিওয়াল বলেছেন, এই ফ্যাসিবাদ ভারতে টিকবে না। আমরা লড়াই করব এবং জয়ী হবো।