ইতালিতে বসবাসরত ২ লাখ প্রবাসীকে আপাতত বাংলাদেশ ভ্রমণ না করার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার। ইতালিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার প্রেক্ষাপটে তিনি এই আহ্বান জানালেন। একই সঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ইতালির আইন মেনে চলতে ও নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মহামারীতে পরিণত হওয়া এ ভাইরাস ঠেকাতে বিভিন্ন পদক্ষেপের পাশাপাশি পুরো ইতালিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সরকার। কিন্তু থামছে না বিপর্যয়, প্রতিদিন হু হু করে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওমিটারস ডট ইনফো’র হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ সময় রবিবার বিকাল পর্যন্ত ইতালিতে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ১৫৭ জনে। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪৪১ জনের। চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯৬৬ জন।
রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবহান সিকদার বলেন, এই মুহূর্তে সবাইকে ইতালির সরকারের আইন মানতে হবে এবং নিজ বাসায় অবস্থান করে দেশকে সুরক্ষা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আপনার সচেতনতা করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে। নিজের ও অন্যের সুরক্ষায় সর্তকতা অবলম্বন করুন। আপাতত বাংলাদেশ ভ্রমণে বিরত থাকুন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, যারা বাংলাদেশে কোয়ান্টোইনে আছেন তাদের উচিত নিজ আত্মীয় ও দেশের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করা এবং ধৈর্য ধারণ করে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করা।
এর আগেও বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত প্রবাসীদের বেশ কয়েকবার অনুরোধ জানিয়েছেন অতি প্রয়োজন ছাড়া দেশে ভ্রমণ না করতে। অথচ ইতোমধ্যে অনেকেই ইতালির আইন ভঙ্গ করে এবং বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে সাড়া না দিয়ে দেশে ভ্রমণ করেছেন।
রবিবারও ইতালি প্রবাসী আরও ১৫২ জন বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে করে বাংলাদেশ পৌঁছেছেন। ওই দিন সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তাদেরকে আশকোনার হজ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর আগে শনিবার ইতালি থেকে ১৪২ জন দেশে আসার পর বিমানবন্দর থেকে তাদের আশকোনার হজ ক্যাম্পে নেওয়া হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাদেরকে বাড়ি ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়। তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।