ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা প্যারিসে একত্রিত হচ্ছেন। সোমবারের এই বৈঠকে তারা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য একটি কৌশল তৈরি করতে পারেন। এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দূতরা ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তির লক্ষ্যে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই আলোচনায় ইউরোপীয় নেতাদের রাখা হচ্ছে না। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস এ খবর জানিয়েছে।
প্যারিসে এই বৈঠকটি তাড়াহুড়ো করে আয়োজন করা হয়েছে। এর আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট জে. ডি. ভ্যান্স মিউনিখে এক বক্তৃতায় ইউরোপের উগ্র-ডানপন্থি গোষ্ঠীগুলোকে ক্ষমতা থেকে বাদ দেওয়ার সমালোচনা করেন এবং এই সপ্তাহে সৌদি আরবে ইউক্রেন বা ইউরোপীয় নেতাদের উপস্থিতি ছাড়াই রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করার মার্কিন পরিকল্পনার কথা জানান।
প্যারিসে জার্মানি, ব্রিটেন, ইতালি, পোল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্কের নেতারা অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট এবং ন্যাটোর মহাসচিবও উপস্থিত থাকবেন।
তাদের আলোচ্যসূচিতে রয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তি চুক্তি নিশ্চিত করার জন্য ইউরোপীয়রা স্বল্পমেয়াদে এবং দীর্ঘমেয়াদে কী প্রতিশ্রুতি দিতে প্রস্তুত, বিশেষ করে যখন তারা একটি আক্রমণাত্মক ও সম্প্রসারণবাদী রাশিয়ার মুখোমুখি এবং মার্কিন সমর্থনের আশ্বাস প্রত্যাহারের পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে।
এই অনানুষ্ঠানিক বৈঠকটি আয়োজন করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি ইউরোপীয় সার্বভৌমত্ব ও আত্মরক্ষার সক্ষমতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন। ম্যাক্রোঁর একজন উপদেষ্টা বলেছেন, এটি আসন্ন সপ্তাহগুলোতে ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে অনুরূপ অনেক বৈঠকের প্রথম হতে পারে।
ফরাসি রাজনৈতিক প্রথা অনুযায়ী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই উপদেষ্টা রবিবার রাতে বলেছেন, ইউরোপীয়দের আরও বেশি করতে হবে, আরও ভালো করতে হবে এবং আমাদের সম্মিলিত নিরাপত্তার দিকে সুসংগতভাবে কাজ করতে হবে।
নেতারা ইউক্রেনে শান্তিরক্ষা বাহিনীতে ইউরোপীয় অবদানের রূপ কী হতে পারে, যার মধ্যে ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ এবং সম্ভাব্য সেনা মোতায়েন অন্তর্ভুক্ত, তা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।
রবিবার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বলেছেন যে তিনি ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে নিজস্ব সেনা মোতায়েন করতে প্রস্তুত ও ইচ্ছুক।
স্টারমার লিখেছেন, দীর্ঘমেয়াদে সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে একটি স্থায়ী শান্তি ইউক্রেনে নিশ্চিত করা অপরিহার্য।