X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘হ্যাঁ, গুলি করার সময় নিহত সিমি সদস্যরা নিরস্ত্র ছিলো, তো কি হয়েছে’

বিদেশ ডেস্ক
০৩ নভেম্বর ২০১৬, ০৬:২৪আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০১৬, ০৭:২৪

‘হ্যাঁ, গুলি করার সময় নিহত সিমি সদস্যরা নিরস্ত্র ছিলো, তো কি হয়েছে’ ভারতের ভোপালে বিতর্কিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৮ মুসলিম ছাত্রনেতাদের গুলিকরার সময় তারা নিরস্ত্র ছিলো বলে জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের অ্যান্টি-টেরর স্কোয়াডের প্রধান সঞ্জিব শামি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে এ কথা বলেন তিনি।

রবিবার (৩০ অক্টোবর) গভীর রাতে ভোপালের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার সেন্ট্রাল জেল ভেঙে ভারতে নিষিদ্ধঘোষিত স্টুডেন্টস ইসলামিক ম্যুভমেন্ট অব ইন্ডিয়ার (সিমি)  আট সদস্য কারারক্ষীকে হত্যা করে পালিয়েছে বলে তাদের ছবি ও নাম প্রকাশ করে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। পালানোর প্রায় ১০ ঘণ্টার মধ্যেই তাদের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে। ভোপালের সিনিয়র পুলিশ অফিসার যোগেশ চৌধুরী বলেন, সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে ভোপাল সেন্ট্রাল জেল থেকে ১০ কিলোমিটার দুরে ওই আট পলাতক বন্দিকে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যা করা হয়। এর পরই বন্দুকযুদ্ধ নিয়ে বিভিন্ন বিতর্ক শুরু হয়। চলমান বিতর্কের মাঝেই মধ্যপ্রদেশের অ্যান্টি-টেরর স্কোয়াডের প্রধান সিমি সদস্যরা নিরস্ত্র বলে স্বীকার করলেন।

এনডিটিভির খবরের স্ক্রিনশট

সিমি সদস্যরা নিরস্ত্র ছিলো স্বীকার করলেও সঞ্জিব শামি বলেন, ‘আইনে সুনির্ধারিতভাবে উল্লেখ করা আছে কখন পুলিশ শক্তি প্রয়োগ করতে পারবে এবং কখন হত্যা করতে পারবে। নিহতরা ছিলো ভয়ংকর সন্ত্রাসী। পুলিশ যদি দেখে তাদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে, তাহলে তারা সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করতে পারে।’

নিহত ৮ সিমি সদস্য

এর আগে সোমবারও শামি একই দাবি করেছিলেন যে, সিমি সদস্যরা নিরস্ত্র ছিলো। তবে তার এ বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে আসছেন পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তারা। নিজের এ অবস্থানে অনড় আছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বন্দুকযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া বাহিনীর প্রধান শামি আরও বলেন, পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়া না হলেও শক্তি প্রয়োগ করা যায়।

ভারতের শীর্ষ মানবাধিকার সংগঠন মধ্যপ্রদেশের সরকারের কাছে ‘ঠাণ্ডা মাথায়’ ৮ সিমি সদস্যকে হত্যার ব্যাখ্যা চেয়েছে। এ দাবি আরও প্রতিষ্ঠিত হয় যখন সিমি সদস্যদের গুলি করার কয়েকটি ভিডিওতে তাদের নিরস্ত্র দেখা যায়।

মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীভুপেন্দ্র সিংহ বলেন, বন্দুকযুদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন করার কিছু নেই। তিনি জানিয়েছেন, বিতর্কিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাটি তদন্ত করবে না এনআইএ।

১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ছাত্র সংগঠন এসআইএমআই বা সিমি। এই সংগঠনটির বিরুদ্ধে নাশকতায় মদদ দেওয়ার অভিযোগ এনে ২০০১ সালে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারতের তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকার। তবে এখনও পর্যন্ত ওই সংগঠনটির কোনও সহিংস কর্মকণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয়নি। সূত্র: এনডিটিভি।

/এএ/

সম্পর্কিত
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ভারতেরই অংশ: এস জয়শঙ্কর
ভারতের উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস অফিসে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর
লাদাখ সীমান্তে বিরোধচীনের সঙ্গে আলোচনায় আশাবাদী রাজনাথ সিং
সর্বশেষ খবর
আরও ২-৩ দিন পর্যবেক্ষণে থাকবে সুন্দরবনের আগুন লাগা এলাকা
আরও ২-৩ দিন পর্যবেক্ষণে থাকবে সুন্দরবনের আগুন লাগা এলাকা
রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলা চালাতে ওআইসির সহযোগিতা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলা চালাতে ওআইসির সহযোগিতা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
লাপাতা লেডিস: বিস্ময় জাগানো কে এই তরুণ
লাপাতা লেডিস: বিস্ময় জাগানো কে এই তরুণ
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা রেখে পুরস্কার পেলো সানশাইন ব্রিকস
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা রেখে পুরস্কার পেলো সানশাইন ব্রিকস
সর্বাধিক পঠিত
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?