শীতে জুবুথুবু দিল্লিবাসী। এক দশকের মধ্যে জানুয়ারি মাসে শহরটিতে স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কম। প্রভাব পড়েছে গৃহহীনদের ওপর। মারা গেছেন দেড় শতাধিক মানুষ। শহরের ২ কোটি বাসিন্দা সারা বছর ধরে গ্রীষ্মের তাপ, প্রবল বর্ষণ ও শরতের শেষে তীব্র বিষাক্ত ধোঁয়াশার মতো পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে আসছে।
চলতি মাসে প্রবল শীতের সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি নাগরিকদের মধ্যে একটা চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি জানুয়ারির গত মঙ্গলবার দিল্লিতে এক দশকের মধ্যে ১২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। যা ২০১৩ সালের জানুয়ারির পর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
গৃহহীনদের জন্য নির্মিত এক আশ্রয়কেন্দ্র থাকেন ৩০ বছর বয়সী দিল্লির বাসিন্দা মুখেশ। তিনি বলেন, ‘অস্বীকার করার উপায় নেই যে এবার খুব শীত’।
মুখেশসহ আরও কয়েকজন মিলে আশ্রয়কেন্দ্রে আগুন জ্বালিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এমন দৃশ্য জানুয়ারি মাসে দিল্লির প্রতি রাতেই চোখে পড়ে। তিনি আরও বলেন, গত ১০ দিনে খুবই শীত পড়েছে। বিশেষ করে গত সপ্তাহ থেকে সূর্যের দেখা নেই। এ নিয়ে আমরা ভীষণ চিন্তিত ছিলাম, কারণ উষ্ণতার জন্য আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।
দিল্লিজুড়ে গৃহহীনদের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান পাওয়াটা কঠিন। তবে ভারতের ২০১১ সালের আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী, শহরটির ৪৭ হাজার বাসিন্দা গৃহহীন। তবে সরকারি পরিসংখ্যান বলছে প্রকৃত সংখ্যা মাত্র ৯ হাজার তিনশ। সেন্টার ফর হোলিস্টিক ডেভেলপমেন্টের সুনীল কুমার আলোদিয়া কয়েক দশক ধরে দিল্লির আশ্রয়হীনদের নিয়ে কাজ করছেন। তার মতে, এ বছর শীতে দিল্লিতে অন্তত ১৭৬ জন মারা গেছেন।
একে স্বাভাবিক পরিস্থিতি মানতে নারাজ ভারতীয় ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক পলিসির অঞ্জল প্রকাশ। তিনি বলেন, এরকম অস্বাভাবিক আবহাওয়া ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।