ভারতের উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বহুল প্রতীক্ষিত রাম মন্দিরের দরজা খুলছে আজ। সোমবার জমকালো এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই মন্দিরের উদ্বোধন করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নির্বাচনকে সামনে রেখে বহুল আলোচিত এই মন্দির উদ্বোধন করছে বিজেপি।
রাম মন্দিরের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে পুরো ভারত জুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। সারা বিশ্ব থেকে অযোধ্যায় এসে উপস্থিত হয়েছেন উৎসাহীরা। বিনোদন , ক্রীড়া, রাজনীতি , বিজ্ঞান জগতের খ্যাতনামা ব্যক্তিরা অযোধ্যায় এসে ভিড় জমাচ্ছেন।
এদিকে ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। উদ্বোধনকে ঘিরে অযোধ্যা পুলিশ জানিয়েছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ড্রোনের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত সাত হাজার জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি ও রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও লোকসভার বিরোধী নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকেও ট্রাস্টের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে এ অনুষ্ঠানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস।
মোগল সম্রাট বাবরের সেনাপতি মীর বাঁকি ১৫২৮ সালে অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণ করেন যা পরবর্তী সময়ে বাবরি মসজিদ নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৯২ সালে দেশটির কট্টর হিন্দুত্ববাদী জনতা ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয়। শুরু হয় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। সেই সংঘাতে ২ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে, যার বেশিরভাগই ছিলেন মুসলিম।
২০১৯ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট অযোদ্ধায় হিন্দুদের মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেয়। এরপর ২০২০ সালে মন্দিরের নির্মাণকাজ শুরু হলে দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়। পরে মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি একই শহরের আরেকটি এলাকায় মুসলমানদের মসজিদ নির্মাণের জন্য জায়গা দেওয়ার নির্দেশ দেয়।