জেদ্দায় আরব শীর্ষ সম্মেলন শেষে শনিবার সৌদি ছেড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জেদ্দার কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান মক্কার গভর্নর প্রিন্স খালিদ আল ফয়সাল। সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ব আল ইখবারিয়া টেলিভিশনের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।
মধ্যপ্রাচ্যে চার দিনের সিরিজ সফরের অংশ হিসেবে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন বাইডেন। এর আগে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ক্ষমতায় আসার পর দেশগুলোতে এটিই তার প্রথম সফর।
জেদ্দা ত্যাগের আগে মার্কিন-আরব শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেন বাইডেন। এতে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) ছয় দেশ; সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, ওমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাশাপাশি জর্ডান, মিসর ও ইরাকের মতো দেশগুলোও অংশ নেয়।
মার্কিন-আরব শীর্ষ সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে বাইডেন বলেন, তার দেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গ ছাড়বে না। যুক্তরাষ্ট্র এমন কোনও শূন্যতা তৈরি করবে না, যেটি চীন, রাশিয়া বা ইরান পূরণ করতে পারে।
ভাষণে জনগণকে ‘প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই নেতাদের প্রশ্ন ও সমালোচনার সুযোগ দেওয়ার’ও আহ্বান জানান বাইডেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে সেই দেশগুলোই জয়ী হবে যারা তাদের জনসংখ্যার পূর্ণ সম্ভাবনা উন্মোচন করবে।
আল জাজিরার হোয়াইট হাউজ সংবাদদাতা কিম্বার্লি হ্যালকেট অবশ্য বলছেন, রাজনৈতিক অর্জন বিবেচনায় ‘খালি হাতে’ দেশে ফিরছেন বাইডেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানির দাম কমাতে সৌদি আরবকে আরও তেল সরবরাহের জন্য তাকে চাপ দিতে হবে। তবে সেই লক্ষ্যটি পূরণ হয়নি।
আল জাজিরার সিনিয়র রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা অবশ্য বাইডেনের ইসরায়েলে যাত্রাবিরতির চেয়ে সৌদি আরব সফরকে বেশি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন। তার ভাষায়, ‘ইসরায়েলের সঙ্গে ওয়াশিংটনের জোট শক্তিশালী, তাই আমি মনে করি সৌদি আরবের সঙ্গে যা ঘটছে সেটি নতুন।’